দূরবীন (চলচ্চিত্র)
দূরবীন | |
---|---|
পরিচালক | জাফর ফিরোজ |
প্রযোজক | অনুপম সাংস্কৃতির সংসদ |
রচয়িতা | জাফর ফিরোজ |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | পারভেজ জুয়েল |
সম্পাদক | সামসুল আলম |
পরিবেশক | বাংলাদেশ ডিজিটাল ফ্লিম সোসাইটি |
মুক্তি | ২৯ অক্টোবর ২০০৯[১] |
স্থিতিকাল | ৯৪ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
দূরবীন ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, জাফর ফিরোজ পরিচালিত একটি শিশু ও কিশোরদের উপযোগী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে ভারতীয় বাঙালি লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত দূরবীন উপন্যাসের আলোকে। চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছে লাবিব, কাজী আখতারুজ্জামান, মাহবুব মুকুল, জাফর ফিরোজ, আফনান। এটি বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত কিশোরদের জন্য নির্মিত প্রথম ডিজিটাল চলচ্চিত্র।[২]
কাহিনী[সম্পাদনা]
লাবীব একজন বিদ্যালয় পড়ুয়া বালক যে সাম্যতায় বিশ্বাসী। যে সব জীবন্ত প্রাণীকে ভালবাসে। লাবীবের মা মারা যায় কয়েক বছর আগে। তার বিদ্যালয়ের বন্ধু আছে। যদিও যে একজন ভাল ছাত্র, তবুও যে তার পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারে না মায়ের অনুপস্থিতির কারণে। একদিন তার বিদ্যালয়ে এক নতুন শ্রেণী শিক্ষক আসে। শিক্ষক তাকে আকর্ষণীয় শিক্ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিখতে অনুপ্রাণিত করে। তারা ভাল বন্ধু হয়ে। লাবীবের বাবা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেয় ভাল শিক্ষার জন্য লাবীবকে বিদেশে পাঠাবে, কিন্তু লাবীব এটা গ্রহণ করতে পারে না কারণ এতে তাকে তার বন্ধুদের এবং তার নতুন শিক্ষককে ছেড়ে যেতে হবে। লাবীব শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে ওঠে। কিছুদিন পর বাবা তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ও লাবীবকে তার স্থলেই থাকতে দেয়।
অভিনয়ে[সম্পাদনা]
এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন:
- জাফর ফিরোজ - সাঈফ স্যার
- লাবিব - লাবিব
- কাজী আখতারুজ্জামান -
- মাহবুব মুকুল -
- আবদুল্লাহিল কাফি -
- ফেরদৌস কামাল -
- আমান -
- সাইফুল্লাহ -
- বানা -
- আফনান -
- ইব্রাহিম -
- ফয়সাল -
- প্রান্ত দাস -
- উইলিয়াম তারিক -
- তুহিন -
- রুবিনা -
- মেহেদী হাসান -
- আবদুল হাই শিকদার -
মুক্তি[সম্পাদনা]
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।[৩] স্টার সিনাপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটি উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, নারী ও শিশু প্রতিমন্ত্রী শারমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চেয়ারম্যান শিল্পী মুস্তাফা মনওয়ার, বাংলাদেশ ডিজিটাল ফিল্ম সোসাইটির উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলা, সেভ দ্য চিল্ড্রেন অস্ট্রেলিয়ার দেশ পরিচালক সুলতান মাহমুদ; চলচ্চিত্র তারকা ইলিয়াস কাঞ্চন। সেভ দ্য চিলড্রেনস, ইউনিসেফ সহ অনেক শিশু সংগঠন একটি সফল চলচ্চিত্র হিসাবে দুরবেনের প্রশংসা করেন। এই ছবিটি বাংলাদেশের অনেক জেলা শহরে প্রদর্শিত হয়।[৪]
পুরস্কার[সম্পাদনা]
দূরবীন চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য জাফর ফিরোজ মুম্বাই ফ্লিম একাডেমী থেকে আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে পুরস্কার পান।[৫]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ দৈনিক করতোয়া[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] ০৬ আগস্ট, ২০১২
- ↑ "বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ ডিজিটাল পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র দূরবীন"। আরটিএনএন। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "'দূরবীন' চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী"। সমকাল। ১ নভেম্বর ২০০৯। ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৯।
- ↑ "জেলা শহরে দূরবীন"। কালের কণ্ঠ। ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ মাসিক নতুন কিশোরকন্ঠ পত্রিকার বাংলাদেশের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে অক্টোবর, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ