দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ (জন্মঃ ১৯৮৬) হচ্ছেন ভারতের একজন নারী যিনি একাধারে সাংবাদিক, তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং পুরুষ-অধিকার কর্মী।[১][২][৩] ভরদ্বাজ পুরুষদের অধিকারের পক্ষের একটি তথ্যচিত্র বানিয়ে মূলত আলোচনায় এসেছিলেন, ঐ তথ্যচিত্রটির নাম ছিলো "বিয়ের শহীদেরা" (ইংরেজিতে "মার্টার্স অব ম্যারেজ"), তথ্যচিত্রটি ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪৯৮ক-এর অপব্যবহার নিয়ে, এই আইনটি হচ্ছে যৌতুক বিরোধী আইন যেটা একজন নারী এবং তার পরিবার ঐ নারীটির স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন।[২][৪][৫] দীপিকা "রোহতাক সহোদরাদের ছড়ানো ভিডিও সমালোচনা"র অনুসন্ধান করেন, তিনি গবেষণা করে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে রোহতাক সহোদরারা যে পুরুষদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন তা মিথ্যা।[৬]

শিক্ষা এবং কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দীপিকা ২০০৬ সালে হরিয়ানা রাজ্যের টেকনোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল এ্যান্ড সায়েন্সেস থেকে বি. টেক (স্নাতক-প্রযুক্তি) সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে তিনি সাংবাদিক হবার প্রশিক্ষণ নেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব জার্নালিজম এ্যান্ড নিউ মিডিয়া থেকে।[৭]

২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ইনফোসিসে চাকরি করতেন[৭], এরপর তিনি অন্য কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠেন (সাংবাদিকতা এবং তথ্যচিত্র বানানো)।[৮] তার বানানো প্রথম তথ্যচিত্র ছিলো "গ্রামীণ ডাক সেবক" -এটা ২০০৯ সালের "জীবিকাঃ এশীয় বাস্তববাদী তথ্যচিত্র উৎসব"-এ বিদ্যার্থী-বিজয়ী পুরস্কার পেয়েছিলো।[৯] ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে তিনি এক্সচেঞ্জফরমিডিয়ার একজন সম্পাদকীয় উপদেষ্টা কর্মী।[৭]

পুরুষ-অধিকার কর্ম[সম্পাদনা]

দীপিকা বলেন যে, পুরুষেরাও নারীদের মত মানুষ, এবং তাদেরও অধিকার আছে সমাজে সুন্দরভাবে বাঁচার, তার মতে বহু ভারতীয় নারী তাদের জন্য প্রণীত "নারীসুরক্ষা আইন"-এর অপব্যবহার করে পুরুষদের প্রতি পুরুষবিদ্বেষ প্রয়োগ করেন যা সমাজ এগোতে বাঁধা দেয় অর্থাৎ যা সুস্থ সমাজের পথে অন্তরায়।[১০]

পুরুষরা নারীদের দ্বারা অনেক মানসিক অত্যাচারের স্বীকার হয় - এই কথাটা দীপিকা অনেক জোরালো ভাবে তুলে ধরেছেন, তিনি বলেন অনেক নারীই পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌনহয়রানির অভিযোগ তুলে থাকেন, যেটার প্রমাণও দীপিকা বিভিন্নভাবে দেখিয়েছেন।[১১][১২] নারীদের হ্যাশ মি টু আন্দোলনের মত দীপিকা হ্যাশ মেন টু আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About Author"swarajyamag.com। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  2. "The woman who fights for men's rights" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২০। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  3. "International Women's Day: Woman activist fights for men abused by women"WION (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০ 
  4. Desai, Rahul (২০১৮-০৫-২৫)। "The Indian venal code"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  5. "Haryana woman's film lends voice to harassed married men"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২১। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  6. "Rohtak eve-teasing case gets another turn with a fourth video surfacing"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১২-১২। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  7. VisualCV.com। "Deepika Bhardwaj - Editorial Consultant at exchange4media - VisualCV"visualcv.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  8. "In pursuit of purpose: Tales of alternative careers from Gurugram"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১ 
  9. "International Men's Day: 'I'm a Man Who Faced Domestic Abuse'"The Quint (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-১৯। ২০১৯-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৬ 
  10. "ভারতে ডিভোর্স- নারীর স্বর্গ, পুরুষের নরক"ntvbd.com। ২৭ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২০ 
  11. "Filmmaker Deepika Narayan Bhardwaj: #MenToo is as important as #MeToo - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৬ 
  12. "Knowing man's side of the narrative"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-১৬। ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০