দাসত্ব এবং ট্রান্সআটলান্টিক দাস বাণিজ্যের শিকারদের আন্তর্জাতিক স্মরণ দিবস
২০০৬ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, ৬১/১৯ প্রস্তাবের মাধ্যমে , উল্লেখ করে যে দাস ব্যবসা এবং দাসত্ব মানবতার ইতিহাসে এবং মানবাধিকারের সবচেয়ে খারাপ দিক। ২৫ মার্চ ২০০৭ তারিখকে ট্রান্সআটলান্টিক দাস ব্যবসা বিলোপের দুই শততম বার্ষিকী স্মরণ দিবস হিসেবে মনোনীত করে। পরের বছর, রেজোলিউশন ৬২/১২২ এর মাধ্যমে , ২৫ মার্চকে ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে দাসত্ব এবং ট্রান্সআটলান্টিক দাস বাণিজ্যের শিকারদের আন্তর্জাতিক স্মরণ দিবস হিসেবে মনোনীত করে। উল্লেখ্য, এই দিবসটি ২৫ মার্চ বার্ষিক ভাবে পালিত হবে বলে ঠিক হয়।[১]
২৫ মার্চ এর গুরুত্ব
[সম্পাদনা]১৮০৭ সালের ২৫ মার্চ যুক্তরাজ্যে দাস বাণিজ্য বিলোপ আইন পাস হয়। সেই দিন থেকে, ক্রীতদাসদের ক্রয়, বিক্রয়, বিনিময়, বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সকল ধরণের লেনদেন বন্ধ হয়। যারা দাস হিসেবে বিক্রি, স্থানান্তর, ব্যবহার, বা লেনদেন করতে ইচ্ছুক, উপকূল বা আফ্রিকার যেকোনো অংশে বা দেশ থেকে বহন করতে ইচ্ছুক, তা বিলুপ্ত, নিষিদ্ধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হয়। তবে এই আইনটি আফ্রিকানদের দাসত্বের ট্রান্সআটলান্টিক বাণিজ্য বাতিল করলেও, এটি দাসত্ব বিলোপ সম্পূর্ণভাবে করতে পারেনি। যা পরবর্তী কয়েক দশক ধরে অব্যাহত ছিল। দাসত্বপ্রথা বিলুপ্তির ফলে ক্রীতদাস আফ্রিকানদের শক্তিশালী এবং জোরালো প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে হাইতিয়ান বিপ্লব ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে ১৮০৪ সালে হাইতি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দাসত্বপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের সংগ্রামের ফলে স্বাধীন হওয়া প্রথম দেশ হল হাইতি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.un.org/en/observances/transatlantic-slave-trade সংগ্ৰহের তারিখ:২৫ মার্চ ২০২৫