দারুলইফতা-দেওবন্দ.কম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দারুলইফতা-দেওবন্দ.কম
সাইটের স্ক্রিনশট ; ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ নেওয়া
সাইটের প্রকার
উপলব্ধ
দেশভারত
মালিকদারুল উলুম দেওবন্দ
প্রধান ব্যক্তিহাবিবুর রহমান খায়রাবাদী
ওয়েবসাইটdarulifta-deoband.com/en
বাণিজ্যিকনা
নিবন্ধনপ্রয়োজন
চালুর তারিখ২০০৭; ১৭ বছর আগে (2007)
বর্তমান অবস্থাসক্রিয়

দারুলইফতা-দেওবন্দ.কম (ইংরেজি: darulifta-deoband.com) দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়া বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি দ্বিভাষিক (উর্দু ও ইংরেজি) ফতোয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট। ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যানে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বিভাষিক ফতোয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট।[১] বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর দারুল উলুম দেওবন্দে প্রায় ১৫০০০ ফতোয়া চাওয়া হয়, যার মধ্যে ৬ থেকে ৭ হাজার অনলাইনের মাধ্যমে চাওয়া হয়ে থাকে।[২] ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন ওয়েবসাইটটির বিষয়বস্তু দেশের আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে সরকারকে এটি বন্ধ করার সুপারিশ করেছে।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দারুল উলুম দেওবন্দ

ভারতের নগর ও শহরগুলোতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর ২০০২ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু করে। ওয়েবসাইট এবং ইমেইল যোগাযোগ শুরুর পর দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ বা দারুল ইফতার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আসা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া শুরু হয়। এভাবে অনলাইন প্রশ্ন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির কারণে ২০০৫ সালে অনলাইন ফতোয়া বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর ফতোয়া বিভাগের কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হয় এবং একটি পৃথক ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দারুলইফতা-দেওবন্দ.কম নামে একটি দ্বিভাষিক (উর্দু ও ইংরেজি) ওয়েবসাইট চালু হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই ওয়েবসাইটে উর্দু ও ইংরেজি বিভাগে প্রায় ত্রিশ হাজার নির্বাচিত ফতোয়া রয়েছে, যেটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বিভাষিক ফতোয়া ওয়েবসাইট।[১] ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়েবসাইটটির ইংরেজি বিভাগে ৯,১৮১ ও উর্দু বিভাগে ৩২,৮১২টি ফতোয়া রয়েছে। উত্তরদাতা মুফতিদের সংখ্যা ৯ জন, যাদের প্রধান হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী[৪]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

শিশু অধিকার সুরক্ষা আইন ১৩(১)(জ)–এর অধীনে একটি অভিযোগ বিবেচনা করে ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন বলেছে, দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া পোর্টালে দেওয়া ব্যাখ্যা ও উত্তরগুলো দেশের আইন ও বিধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কমিশন দাবি করেছে, এই ধরনের মন্তব্য শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং ইন্টারনেটে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস তাদের জন্য ক্ষতিকর। এই জাতীয় বিষয়গুলো মুছে না ফেলা পর্যন্ত ওয়েবসাইটির অ্যাক্সেস নিষিদ্ধ করার জন্য তারা উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে।[৩]

স্টুডেন্টস ইসলামিক অরগানাইজেশন অব ইন্ডিয়া এটিকে "মাদ্রাসাকে দুর্বল করার আরেকটি প্রচেষ্টা" হিসেবে উল্লেখ করেছে।[৫] দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আবুল কাসেম নোমানী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, যারা শরিয়তের আলোকে ফতোয়া খুঁজেন তাদেরকেই শুধুমাত্র শরিয়তের আলোকে উত্তর দেওয়া হয়। এখানে বাধ্যবাধকতার কোনো বিষয় নেই।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উল্লাহ, মুহাম্মদ (২০১৮)। The Contribution of Deoband School to Hanafi Fiqh A Study of Its Response to Modern Issues and Challenges [হানাফি ফিকহে দেওবন্দিদের অবদান : আধুনিক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি অধ্যয়ন] (গবেষণাপত্র)। ভারত: জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১০৫–১০৬। hdl:10603/326073 
  2. হাশমি, রিয়াজ (১০ নভেম্বর ২০১৭)। "Uttar pradesh: Darul Uloom Deoband's fresh decrees revive debate over relevance of fatwas" [উত্তর প্রদেশ: দারুল উলুম দেওবন্দের নতুন ডিক্রি ফতোয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিতর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছে]। ইন্ডিয়া টুডে। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "NCPCR asks UP government to probe Darul Uloom Deoband portal for 'unlawful' fatwas" [এনসিপিসিআর ইউপি সরকারকে 'বেআইনি' ফতোয়াগুলোর জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ পোর্টালের তদন্ত করতে বলেছে]। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১৬ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. "সম্পর্কে"দারুলইফতা-দেওবন্দ.কম। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. "NCPCR Asks UP Govt To Investigate Darul Uloom Deoband Portal For 'Unlawful & Deceptive' Fatwas" [এনসিপিসিআর ইউপি সরকারকে 'বেআইনি ও প্রতারণামূলক' ফতোয়াগুলোর জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ পোর্টালের তদন্ত করতে বলেছে]। এবিপি নিউজ। ১৬ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Controversy on Fatwas: Know what Mohtamim said on the order of investigation of the portal of Darul Uloom Deoband" [ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক: দারুল উলুম দেওবন্দের পোর্টাল তদন্তের নির্দেশে কী বললেন মোহতামিম]। দি ইন্ডিয়া প্রিন্ট। ১৭ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]