দাদমর্দন
দাদমর্দন Senna alata | |
---|---|
![]() | |
দাদমর্দন ফুল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
উপপরিবার: | Caesalpinioideae |
গোত্র: | Cassieae |
উপগোত্র: | Cassiinae |
গণ: | Senna |
প্রজাতি: | S. alata |
দ্বিপদী নাম | |
Senna alata (L.) Roxb. | |
প্রতিশব্দ | |
|
দাদমর্দন (ইংরেজি: candle bush), (বৈজ্ঞানিক নাম: Senna alata) গুল্ম শ্রেণীর গাছ যা পৌষ্পিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বা ঔষধি গাছ হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনে বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয়। ময়লার ভাগাড় কিংবা পরিত্যক্ত স্থানে আপনাআপনিই জন্মে। গাছে কোনো সুমিষ্ট ফল হয় না, কাঠও মূল্যহীন।[১]
উৎপত্তি[সম্পাদনা]
আলংকারিক পুষ্পবৃক্ষের জন্যই বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয়। এরা ক্যাশিয়া জাতের ফুল। ক্যাশিয়ার আরেকটি বুনো জাতের নাম কালকাসুন্দা। পথের ধারে ও পাহাড়ে অঢেল দেখা যায়। দাদমর্দন কখনো কখনো ডোবার ধার, খেতের মধ্যবর্তী আল এবং অনাবাদি স্থানেও জন্মায়।[১]
ব্যবহার[সম্পাদনা]
সারা দেশে মূলত ঔষধি গাছ হিসেবেই এরা পরিচিত। বিশেষ করে চর্মরোগে এই গাছ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে দাদ ও পাঁচড়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য। দাদের বাহ্যিক নিরাময়ের জন্য টাটকা পাতার লেই ব্যবহার করা হয়। আবার ঝলসানো পাতাও রেচক। এসব ছাড়াও যৌনরোগ চিকিৎসায় এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে এই গাছ সাধারণত টনিক হিসেবে কাজে লাগে।[১]
আকার[সম্পাদনা]
দাদমর্দন দ্রুত বর্ধনশীল নরম-কাষ্ঠল গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড পুরু ও হলদেটে। ফুল ফোটার মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি। ডালের আগায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার খাড়া ডাঁটায় হলুদ রঙের ফুল নিচ থেকে ওপরের দিকে ফোটে।[১]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
-
S. alata in Malaysia
-
Inflorescences and foliage
-
S. alata in southern Vietnam
-
S. alata leaves
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ বাহারি ফুল দাদমর্দন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মোকারম হোসেন, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১২-১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।