দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′৪৯″ উত্তর ৯০°৪৩′৫৬″ পূর্ব / ২৪.৮৮০৪° উত্তর ৯০.৭৩২১° পূর্ব / 24.8804; 90.7321
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়
দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ
অবস্থান
মানচিত্র

স্থানাঙ্ক২৪°৫২′৪৯″ উত্তর ৯০°৪৩′৫৬″ পূর্ব / ২৪.৮৮০৪° উত্তর ৯০.৭৩২১° পূর্ব / 24.8804; 90.7321
তথ্য
ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮৯ (1889)
অধ্যক্ষজ্ঞানই শক্তি
প্রধান শিক্ষকএ.বি.এম শাহজাহান কবির
অনুষদ৫০
শ্রেণী১ম থেকে ১০ম
লিঙ্গবালক ও বালিকা
ভর্তি২৫০০
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তনএকর
ক্যাম্পাসের ধরননগর
রংসাদা ও নীল
প্রকাশনাবার্ষিকী (বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন)
ওয়েবসাইটdutthighschool.edu.bd

দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের নেত্রকোণা শহরে অবস্থিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এটি ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহের নেত্রকোণায় প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। ময়মনসিংহের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর রমেশ চন্দ্র দত্ত বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।[১] বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার জন্য তাঁর নাম অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল 'দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়'। তৎকালীন বৃটিশ আমলে এ বিদ্যালয় ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরিপ্রাপ্ত একমাত্র বিদ্যালয়। ১৮৯৫ সালে, এই বিদ্যালয়ের ছাত্র আনন্দ চন্দ্র মজুমদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৮৯৫ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন এবং পাঁচ বছরে রাজেন্দ্র কুমার দত্ত ১৯০০ সালে নবম স্থান অধিকার করেছিলেন।

১৯৩০-এর দশকে, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় নেত্রকোণায় নারী শিক্ষা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নেত্রকোণা শহরে তিনটি উচ্চ বিদ্যালয় ছিল, তবে মহিলাদের জন্য কোনও উচ্চ বিদ্যালয় ছিল না। দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান রেক্টর জৈনেশ রঞ্জন রায় ১৯৩৩ সালে আট জন ছাত্রী নিয়ে সপ্তম শ্রেণির পৃথক বিভাগ চালু করেন। ১৯৩৭ সালে আট জন প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় শান্তিনিকেতনের বাইরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম উদ্‌যাপন করে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৩০ সালে রবীন্দ্র জৈন উত্সবের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শান্তিনিকেতনের সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ শৈলজা রঞ্জন মজুমদার। এক সময় দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় ছিল নেত্রকোণায় ছাত্র আন্দোলনের এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র।

দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[২][৩]

শিক্ষার্থীদের ভর্তির চাপ সামলাতে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টিতে দুই শিফট চালু করা হয়।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি মুক্তারপাড়ায় অবস্থিত। এর সামনে নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাশেই নেত্রকোণা শহীদ মিনার অবস্থিত।

প্রাতিষ্ঠানিক[সম্পাদনা]

দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় নেত্রকোণার প্রাচীনতম উচ্চ বিদ্যালয়।[৪] স্কুল তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য বিভাগ আছে। ছেলেদের এবং মেয়েদের বিভাগ পৃথক। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৯৬%। ৪২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়।[১]

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]

  • নলিনী কান্ত সরকার, অবিভক্ত বাংলার অর্থমন্ত্রী ও কলকাতা কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র[১]
  • শৈলজা রঞ্জন মজুমদার, শান্তি নিকেতনের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যক্ষ
  • অমিতাভ চৌধুরী, কলকাতার নামজাদা সাংবাদিক
  • সিদ্দিকুর রহমান, প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব
  • ড. কামাল সিদ্দিকী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব
  • দুলাল হাফিজ, প্রাক্তন সচিব
  • হেলাল হাফিজ, কবি
  • ডা. মোফাক্কারুল ইসলাম ভুঁইয়া, ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেইজড্ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা
  • উজ্জল বিকাশ দত্ত, সাবেক সচিব ও সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
  • হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপিও বর্তমান রাষ্ট্রদূত[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "১২৭ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়"দৈনিক শিক্ষা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৪ 
  2. "১২৭ বছর দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়"জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৪ 
  3. "১২৭ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০১৭-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৪ 
  4. "List of High Schools" (XLS)মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৫