দক্ষিণ গোয়া জেলা
দক্ষিণ গোয়া জেলা | |
---|---|
জেলা | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | গোয়া |
সদরদপ্তর | মারগাও |
আয়তন | |
• মোট | ১,৯৬৬ বর্গকিমি (৭৫৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬,৩৯,৯৬২ |
• জনঘনত্ব | ৩৩০/বর্গকিমি (৮৪০/বর্গমাইল) |
জনমিতি | |
• স্বাক্ষরতা | ৮৫.৫৩% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৯৮০ |
ওয়েবসাইট | southgoa |
দক্ষিণ গোয়া জেলা (কোঙ্কণী: दक्षिण गोंय, প্রতিবর্ণী. দক্ষিণ গোঁয়) হল পশ্চিম ভারতের গোয়া রাজ্যের দুটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। মারগাও এ জেলার সদরদপ্তর বা প্রশাসনিক রাজধানী। এই জেলার উত্তরে উত্তর গোয়া জেলা, পূর্ব ও দক্ষিণে কর্ণাটক রাজ্যের উত্তর কন্নড় জেলা ও পশ্চিমে আরব সাগর অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গোয়ায় ১৫১০ সালে প্রথম পতুর্গিজ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। ১৭শ ও ১৮শ শতাব্দীতে পতুর্গিজদের এই উপনিবেশের সীমানা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়, যা বর্তমান উত্তর ও দক্ষিণ গোয়ার সীমানা। ১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর গোয়া ভারতের অধিভুক্ত হয়। গোয়া ও অন্য দুটি পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৯৬৫ সালে গোয়া এবং দমন ও দিউ নিয়ে একটি মাত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়। সেই সময় গোয়া এবং দমন ও দিউ একটি মাত্র জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৯৮৭ সালের ৩০ মে গোয়া পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি পায় (দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই থেকে যায়)। এই সময় গোয়াকে উত্তর গোয়া ও দক্ষিণ গোয়া জেলায় বিভক্ত করা হয়। পণ্ড তালুক পূর্বে উত্তর গোয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল, ২০১৫ সালে এটিকে দক্ষিণ গোয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভূগোল
[সম্পাদনা]দক্ষিণ গোয়া জেলা ভারতের পশ্চিমের ছোট্ট রাজ্য গোয়ায়, আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এই জেলা উত্তরে উত্তর গোয়া জেলা, পূর্ব ও দক্ষিণে কর্ণাটক রাজ্যের উত্তর কন্নড় জেলা ও পশ্চিমে আরব সাগর দ্বারা বেষ্টিত। সমুদ্রপূষ্ঠ থেকে এ জেলার গড় উচ্চতা ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট। এ জেলা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষা জলবায়ু বৈশিষ্ট্যযুক্ত। গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত উষ্ণ এবং শীতকালে হালকা ঠান্ডা থাকে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল, যখন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯০ ° ফাঃ) অবধি পৌঁছে যায় এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শীতকালে যখন তাপমাত্রা সাধারণত ২০-২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৬৮-৮২° ফাঃ) মধ্যে থাকে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং মৃদু বাতাসের সাথে বর্ষা দেখা দেয়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২,৮৮১ মিমি (১১৩.৪ ইঞ্চি)।
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে, দক্ষিণ গোয়া জেলার জনসংখ্যা ৬৩৯,৯৬২,[১] যা মন্টিনেগ্রো রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান[২] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট রাজ্যের জনসংখ্যার সমান।[৩] জনসংখ্যা অনুসারে ভারতের জেলাগুলির মধ্যে এই জেলার স্থান ৫১৫তম (ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে)। এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩২৬ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৮৪০ জন/বর্গমাইল), ২০০১ থেকে ২০১১ এর দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৬৩%, জেলার লিঙ্গ অনুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮০ জন নারী, এবং সাক্ষরতার হার ছিল ৮৫.৫৩%।[১]
কোঙ্কানি ভাষা দক্ষিণ গোয়া জেলায় বসবাসরত বেশিরভাগ মানুষের মাতৃভাষা। মারাঠি ভাষাও প্রচুর সংখ্যক লোকের দ্বারা কথিত হয়। ইংরেজি এবং হিন্দি জেলার বেশিরভাগ লোকই বুঝতে পারে এবং ভাঙ্গা ভাঙ্গা জবাব দিতে পারে। পর্তুগিজ ভাষাও অল্প সংখ্যক লোকের কথিত ভাষা এবং বুঝতে পারে।
২০১১ ভারতীয় জনগণনার তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ গোয়া জেলার ৬৬.৪৪% লোক কোঙ্কানি ভাষা, ১২.৩৮% হিন্দি ভাষা, ৬.৪৫% মারাঠি, ৫.৯৮% কান্নাড়া, ৩.৪৯% উর্দু, ১.০০% মালয়ালম, ০.৮৬% তেলুগু, ০.৫৫% বাংলা, ০.৪৯% তামিল, ০.৪৯% গুজরাটি, ০.৪৪% ওড়িয়া এবং ০.৪২% ইংরেজি ভাষাকে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে।
প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]জেলার সদরদপ্তর মারগাও শহরে অবস্থিত। জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলো জেলা কালেক্টর, তিনি ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিসের সদস্য। জেলাটি ৫টি উপবিভাগ ও ৭টি তালুকে বিভক্ত; উপবিভাগ সমুহ হল- পন্ড, মোরমুগাও, মোরগাও, কুইপেম ও ধারবানদোরা। তালুক সমুহ হল- পন্ড, মোরমুগাও, সালকেট (মোরগাও), কুইপেম, কানাকোনা (চৌদি) সাংগুয়াম ও ধারবানদোরা।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]দক্ষিণ গোয়া জেলায় বেশ কিছু ভালমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- এইএস কলেজ, ভাস্কো দা গামা, পাদ্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পার্বতীবাই কলেজ প্রভৃতি।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Montenegro 661,807 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। United States Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Vermont 625,741