থিয়েনচিন বন্দর
থিয়েনচিন বন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | চীন |
অবস্থান | থিয়েনচিন |
বিস্তারিত | |
পরিচালনা করে | থিয়েনচিন বন্দর কর্তৃপক্ষ |
মালিক | চীন সরকার |
উপলব্ধ নোঙরের স্থান | ২১৭ (চালু ১৪০ টি) |
পরিসংখ্যান | |
বার্ষিক কার্গো টন | ৫০০ মিলিয়ন টন |
বার্ষিক কন্টেইনারের আয়তন | ১৩ মিলিয়ন টিইইউ |
থিয়েনচিন বন্দর হল চীনের একটি প্রধান বন্দর। এই বন্দরটি চীনের উত্তর অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বন্দর। বন্দরটি বোহাই উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে থিয়েনচিন শহর গড়ে উঠেছে। বন্দরটি বিশ্বের চতুর্থ ব্যস্ততম কন্টেইনার বন্দর।[১] এই বন্দরটি বেইজিং এর প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত।এই বন্দর শহর থেকে বেইজিং এর দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার।বন্দরটি চীন মধ্যে মানুষ দ্বারা সবচেয়ে বড় বন্দর।এই বন্দরটি ১২১ বর্গ কিলোমিটার যায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। থিয়েনচিন বন্দরটি বোহাই উপসাগর এর তীরে ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রেখা বরাবর গড়ে উঠেছে।বন্দরটির সঙ্গে বিশ্বের ১৮০টি দেশের ৬০০ বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।বন্দরটি পশ্চাৎ ভূমিতে বেইজিং ও থিয়েনচিনের মত দেশের প্রথম সারির মহানগরীতে অবস্থিত। এই বন্দরের ১৪০টি চালু জেটি রয়েছে।এই বন্দর দ্বারা বছরে ৫০০ মিলিয়ন টন কার্গো পণ্য ও ১৩ মিলিয়ন কন্টেইনার পরিবহন করা হয়। চীনের উত্তর অংশের অর্থনীতি এই বন্দরের উপর অনেক অংশেই নির্ভরশীল।বন্দরটি কে কেন্দ্র করে থিয়েনচিন শহরের বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে।এই বন্দরে জাহাজ নির্মাণ শিল্প রয়েছে।চীনের বৈদেশিক বিনিজ্যের অনেক অংশই এই বন্দর দ্বারা সম্পন্ন হয়।
অবস্থান
[সম্পাদনা]থিয়েনচিন বন্দরটি চীন দেশের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত। এই বন্দরটি চীন এর পূর্ব উপকূল এর বোহাই উপসাগর এর তীরে গড়ে উঠেছে। এটি থিয়েনচিন শহরের বন্দর।এই বন্দরটি চীন এর রাজধানী শহর বেইজিং থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।বন্দরটি ৩৮.৫৮ ডিগ্রী উত্তর ও ১১৭.৭৮ ডিগ্রী পূর্বে অবস্থান করছে।এই বন্দর সমুদ্র সমতল থেকে ০ মিটার থেকে ২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বন্দরটি ১৮৬০ প্রথম প্রতিষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়।এই সময় বন্দরটি এই এলাকার নদী যা হলুদ নদী নামে পরিচিত সেই নদীর মহনায় গড়ে ওঠে।এর পর এই মহনার পাশের আরও কিছু নদীর খাড়িতে বন্দরটির কর্মকান্ডের প্রসার ঘটে।ধীরে ধীরে বন্দরটি কে কনদওর করে থিয়েনচিন শহর ও শিল্প এলাকা বা শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
পোতাশ্রয়
[সম্পাদনা]থিয়েনচিন বন্দরের পোতাশ্রয়টি একটি স্বাভাবিক ভাবে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়। পোতাশ্রয়টির গড় গভীরতা ১০ মিটার বা ৩১ ফুট এর বেশি।ফলে এই বন্দরের বড় জাহাজ সহজেই প্রবেশ করতে বা নোঙর করতে পাড়ে।
পরিকাঠামো
[সম্পাদনা]বন্দরটিতে পণ্য দ্রব্য পরিবহনের জন্য উন্নত পরিকাঠামোোর ব্যবস্থা রয়েছে।বন্দরের কন্টেইনার নামানো ও জাহাজে কন্টেইনার তোলার জন্য সুব্যবস্থা রয়েজে।এই বন্দর ঘণ্টায় ১৪০ টি কন্টেইনার পরিবহন করতে পারে।
পশ্চাৎভূমি
[সম্পাদনা]বন্দরটির পশ্চাৎ ভূমি দেশের অন্য বন্দর গুলির থেকে অনেক বড়।এই বন্দর দ্বারা দেশের উত্তর ভাগের পণ্য দ্রব্য পরিবহন করা হয়।
আমদানি-রপ্তানি
[সম্পাদনা]এই বন্দর দ্বারা খনিজ তেল, কোক কয়লা প্রভৃতি আমদানি করা হয়। বন্দরটির দ্বারা ইস্পাত, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি রপ্তানি করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "থিয়েনচিন বন্দর"। প্রতিক্ষন। সংগ্রহের তারিখ ২৩-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]