থিওরি অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স
| লেখক | কেনেথ ওয়াল্টজ |
|---|---|
| বিষয় | আন্তর্জাতিক সম্পর্ক |
| প্রকাশিত | ১৯৭৯ (McGraw-Hill) |
| পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২৫১ |
থিওরি অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স (ইংরেজি: Theory of International Politics) হলো ১৯৭৯ সালের কেনেথ ওয়াল্টজের লেখা বই। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব বিষয়ক একটি গ্রন্থ, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যাখ্যার জন্য একটি কাঠামোগত বাস্তবতাবাদী তত্ত্ব, অর্থাৎ নব্যবাস্তববাদ তৈরি করে।[১] নব্যধ্রুপদী অর্থনীতির প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়াল্টজ যুক্তি দেন যে, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক চালিকা নীতি (ordering principle) হলো নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্যিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রগুলো একে অপরের থেকে 'কার্যগতভাবে অভিন্ন' (functionally undifferentiated) এবং তাদের মধ্যে কোনো 'ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন সম্পর্ক' (relations of super- and subordination) নেই। রাষ্ট্রগুলোকে কেবল তাদের নিজ নিজ সক্ষমতা দিয়েই আলাদা করা যায়।
ওয়াল্টজ আন্তর্জাতিক রাজনীতির হ্রাসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে পারে না, কেনো
ওয়াল্টজ যুক্তি দেন যে, রাষ্ট্রীয় আচরণের সাধারণ ধরণগুলো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নৈরাজ্যিক কাঠামো থেকে উদ্ভূত প্রণোদনার ফল হিসেবেই বোঝা যায়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রগুলো অন্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেদের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দেয়, যা সহযোগিতার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। এই বইয়ের অন্যতম প্রধান একটি সিদ্ধান্ত হলো, রাষ্ট্রগুলো ক্ষমতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করার প্রবণতা দেখায়।[২][৩] ওয়াল্টজ আরও বলেন যে, দ্বিমেরু ব্যবস্থা (দুটি মহাশক্তির উপস্থিতি) বহুমেরু ব্যবস্থার (তিন বা ততোধিক মহাশক্তির উপস্থিতি) চেয়ে বেশি স্থিতিশীল।
এই বইটিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী বইগুলোর একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি আলোচনার ধারায় একটি মৌলিক পরিবর্তন এনেছে এবং নৈরাজ্যের ধারণাকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।[৪] মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এটি সবচেয়ে বেশি পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৫] জন মিয়ারশাইমার এটিকে বিংশ শতাব্দীর তিনটি সবচেয়ে প্রভাবশালী বাস্তবতাবাদী কাজের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[৬] চার্লস গ্লেজার এটিকে নব্যবাস্তববাদী ধারার "নির্ধারক কাজ" (defining work) বলে অভিহিত করেছেন[৭] এবং রবার্ট জার্ভিস ১৯৯৮ সালে লিখেছিলেন যে বইটি বিগত দশকে এই বিষয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই ছিল।[৮] এউ বইটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষেত্রে বাস্তবতাবাদের পুনরুত্থান ঘটিয়েছিল।[৯]

প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]কেনেথ ওয়াল্টজের থিওরি অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স (১৯৭৯) এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়, যখন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শাস্ত্রে দুটি প্রধান বিতর্ক চলছিল। প্রথমত, রাজনৈতিক বাস্তবতাবাদ ও উদারনীতিবাদের মধ্যেকার আদর্শগত বিতর্ক এবং দ্বিতীয়ত, ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক পদ্ধতির সঙ্গে নতুন বৈজ্ঞানিক ও আচরণবাদী (behavioralist) পদ্ধতির সংঘাত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যয়ন মূলত ইতিহাসনির্ভর এবং বর্ণনামূলক ছিল[১০][১১][১২] যেখানে রাষ্ট্রনেতাদের সিদ্ধান্ত বা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকেই প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে দেখা হতো।[১৩]
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াল্টজ তাঁর তত্ত্বে ধ্রুপদী বাস্তববাদের মূল ধারণাগুলোকে অক্ষুণ্ণ রেখেও রাষ্ট্রীয় আচরণের ব্যাখ্যার কেন্দ্রবিন্দুতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার গঠন বা 'স্ট্রাকচার'কে নিয়ে আসেন।[১৪] তিনি যুক্তি দেন যে, রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা নেতাদের স্বভাবের চেয়েও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নৈরাজ্যিক প্রকৃতিই তাদের আচরণের মূল নির্ধারক। তাঁর এই নতুন দৃষ্টিকোণটি নব্যবাস্তববাদ বা স্ট্রাকচারাল রিয়ালিজম নামে পরিচিতি পায়।
বইয়ের বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]কেনেথ ওয়াল্টজের থিওরি অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শাস্ত্রে একটি যুগান্তকারী গ্রন্থ, যা মূলত একটি বৈজ্ঞানিক ও কাঠামোগত তত্ত্ব উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। বইটির বিষয়বস্তুকে কয়েকটি মূল অংশে ভাগ করা যায়:
হ্রাসবাদী তত্ত্বের (Reductionist Theories) সমালোচনা
[সম্পাদনা]ওয়াল্টজ তাঁর বই শুরু করেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিদ্যমান তত্ত্বগুলোর সমালোচনার মাধ্যমে। তিনি এই তত্ত্বগুলোকে "হ্রাসবাদী" (reductionist) বলে আখ্যায়িত করেন। হ্রাসবাদী তত্ত্বগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির ফলাফলকে ব্যবস্থার একক বা ইউনিটের (অর্থাৎ, রাষ্ট্র) অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য দিয়ে ব্যাখ্যা করে। যেমন: রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা (গণতান্ত্রিক না স্বৈরাচারী), অর্থনৈতিক কাঠামো, বা রাষ্ট্রনেতাদের মনস্তত্ত্ব।
ওয়াল্টজের মূল যুক্তি হলো, এই তত্ত্বগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে না কেন ভিন্ন ভিন্ন অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায়শই একই রকম আচরণ করে। উদাহরণস্বরূপ, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী, বা রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ক্ষমতার ভারসাম্য (balance of power) বজায় রাখার জন্য একই ধরনের নীতি গ্রহণ করেছে। ওয়াল্টজের মতে, এর কারণ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যেই নিহিত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার কাঠামো
[সম্পাদনা]ওয়াল্টজ একটি নতুন "ব্যবস্থা-কেন্দ্রিক" (system-level) তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যা নব্যবাস্তববাদ নামে পরিচিত। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো (structure) রয়েছে যা রাষ্ট্রগুলোর আচরণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কার্যক্রমকে একটি নির্দিষ্ট দিকে চালিত করে। এই কাঠামোটি তিনটি মূল উপাদান নিয়ে গঠিত:
- আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূল শৃঙ্খলা-নীতি হলো নৈরাজ্য (anarchy)। এর অর্থ বিশৃঙ্খলা বা সংঘাত নয়, বরং একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি। অর্থাৎ, এমন কোনো বিশ্ব-সরকার নেই যা রাষ্ট্রগুলোর ওপর আইন প্রয়োগ করতে পারে। এর বিপরীতে, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি হলো ক্রমোচ্চ শ্রেণিবিভক্ত (hierarchic), যেখানে একটি কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যমান।
- ওয়াল্টজ যুক্তি দেন যে, নৈরাজ্যিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রগুলো "কার্যগতভাবে অভিন্ন" (functionally undifferentiated)। অর্থাৎ, তাদের মধ্যে শ্রম বিভাজন নেই। সব রাষ্ট্রকেই নিজের নিরাপত্তা, কর আদায় এবং নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার মতো একই ধরনের মৌলিক কাজগুলো করতে হয়।
- যেহেতু সব রাষ্ট্র কার্যগতভাবে একই, তাই তাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয় কেবল তাদের সক্ষমতার (capabilities) বণ্টনের ভিত্তিতে। সক্ষমতা বলতে বোঝায় একটি রাষ্ট্রের সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার কাঠামো সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় শুধুমাত্র তখনই, যখন প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন পরিবর্তিত হয়। এই বণ্টনের ওপর ভিত্তি করেই ব্যবস্থাটি একমেরু (unipolar), দ্বিমেরু (bipolar), বা বহুমেরু (multipolar) হিসেবে পরিচিত হয়।
কাঠামোর ফলাফল
[সম্পাদনা]এই নৈরাজ্যিক কাঠামোর কারণে রাষ্ট্রগুলো একটি "আত্মরক্ষা" (self-help) ব্যবস্থায় বাস করে। যেহেতু কোনো বিশ্ব-পুলিশ নেই, তাই প্রতিটি রাষ্ট্রকে নিজের নিরাপত্তার জন্য নিজেকেই দায়ী থাকতে হয়। এই নিরাপত্তাহীনতা থেকে তৈরি হয় "নিরাপত্তা উভয়সংকট" (security dilemma), যেখানে একটি রাষ্ট্র নিজের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য যে পদক্ষেপ নেয়, তা অন্য রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সব রাষ্ট্রই ক্রমাগত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
ওয়াল্টজের তত্ত্বের কেন্দ্রীয় ভবিষ্যদ্বাণী হলো, এই ব্যবস্থা রাষ্ট্রগুলোকে ক্ষমতার ভারসাম্য (balance of power) বজায় রাখতে উৎসাহিত করে। কোনো রাষ্ট্র যদি অতিরিক্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে, তবে অন্য রাষ্ট্রগুলো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য একত্রিত হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি জোট বা ভারসাম্য তৈরি করবে। ওয়াল্টজের মতে, রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী শক্তির সাথে হাত মেলানোর (bandwagoning) চেয়ে ভারসাম্য তৈরি করাকেই (balancing) বেশি নিরাপদ মনে করে।
মেরুকরণ এবং স্থিতিশীলতা
[সম্পাদনা]বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্ত হলো মেরুকরণ (polarity) এবং ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে ওয়াল্টজের বিশ্লেষণ। তিনি যুক্তি দেন যে, দ্বিমেরু ব্যবস্থা (যেমন স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন) বহুমেরু ব্যবস্থার চেয়ে বেশি স্থিতিশীল। এর কারণ হলো:
- দ্বিমেরু ব্যবস্থায় মাত্র দুটি প্রধান শক্তি থাকায় ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কম থাকে।
- শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয় এবং দায়িত্বের বিভাজন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকে না।
- উভয় শক্তিই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকে, যা বড় ধরনের যুদ্ধকে প্রতিহত করে।
বিপরীতে, বহুমেরু ব্যবস্থায় অনেকগুলো শক্তি থাকায় জোটের রাজনীতি জটিল হয়, দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা বাড়ে এবং কে কার বন্ধু বা শত্রু, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, যা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা কমিয়ে দেয়।[১৫]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lobell, Steven E. (২০১০)। "Structural Realism/Offensive and Defensive Realism"। Oxford Research Encyclopedia of International Studies (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.1093/acrefore/9780190846626.013.304। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০৮৪৬৬২-৬।
- ↑ Wohlforth, William C.; Little, Richard; Kaufman, Stuart J.; Kang, David; Jones, Charles A.; Hui, Victoria Tin-Bor; Eckstein, Arthur; Deudney, Daniel; Brenner, William L. (২৪ জুলাই ২০১৬)। "Testing Balance-of-Power Theory in World History"। European Journal of International Relations (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ (2): ১৫৫–১৮৫। ডিওআই:10.1177/1354066107076951। এস২সিআইডি 145419574।
- ↑ Little, Richard, সম্পাদক (২০০৭), "Kenneth N. Waltz's Theory of International Politics", The Balance of Power in International Relations: Metaphors, Myths and Models, Cambridge: Cambridge University Press, পৃ. ১৬৭–২১২, ডিওআই:10.1017/cbo9780511816635.006, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮৭৪৮৮-৫, সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২১
- ↑ Donnelly, Jack (১ নভেম্বর ২০১৫)। "The discourse of anarchy in IR"। International Theory। ৭ (3): ৩৯৩–৪২৫। ডিওআই:10.1017/S1752971915000111। আইএসএসএন 1752-9727। এস২সিআইডি 143360196।
- ↑ Colgan, Jeff D. (১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Where Is International Relations Going? Evidence from Graduate Training"। International Studies Quarterly (ইংরেজি ভাষায়)। ৬০ (3): ৪৮৬–৪৯৮। ডিওআই:10.1093/isq/sqv017। আইএসএসএন 0020-8833।
- ↑ Mearsheimer, John (২০০১)। The Tragedy of Great Power Politics। W.W. Norton। পৃ. ১৪।
- ↑ Glaser, Charles L. (২০১০)। Rational Theory of International Politics। Princeton University Press। পৃ. ১৪৯। আইএসবিএন ৯৭৮০৬৯১১৪৩৭২৯।
- ↑ Jervis, Robert (১৯৯৮)। System Effects: Complexity in Political and Social Life (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃ. ৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০০৮-২২৪০-৯।
- ↑ Milner, Helen V. (১৯৯৮)। "Rationalizing Politics: The Emerging Synthesis of International, American, and Comparative Politics"। International Organization (ইংরেজি ভাষায়)। ৫২ (4): ৭৫৯–৭৮৬। ডিওআই:10.1162/002081898550743। আইএসএসএন 1531-5088। এস২সিআইডি 145584969।
- ↑ Jadesola Tai Babatola (২০২০)। "Impact of History in International Relations since 1945" (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.13140/RG.2.2.18850.58560।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ Jackson, Peter (২০০৬)। "Post-War Politics and the Historiography of French Strategy and Diplomacy Before the Second World War"। History Compass (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ (5): ৮৭০–৯০৫। ডিওআই:10.1111/j.1478-0542.2006.00344.x। আইএসএসএন 1478-0542।
- ↑ Heeraman, Anand (২০০৯)। "International Relations and Development Started Post World War II"। SSRN Electronic Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.2139/ssrn.2167280। আইএসএসএন 1556-5068।
- ↑ Korab-Karpowicz, W. Julian (২৬ জুলাই ২০১০)। "Political Realism in International Relations"।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ Camisão, Sandrina Antunes and Isabel (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Introducing Realism in International Relations Theory"। E-International Relations (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২৫।
- ↑ Waltz, Kenneth N. (1979). Theory of International Politics. Waveland Press. p. 161-176. ISBN 978-1-57766-482-1.