ত্বহা কারান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত্বহা কারান
২০২১ সালে কারান
প্রধান মুফতি, মুসলিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
কাজের মেয়াদ
২০১৫ – ২০২১
পূর্বসূরীইউসুফ কারান
উপাধিছোট শাফি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯৬৯-০৬-০২)২ জুন ১৯৬৯
কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১১ জুন ২০২১(2021-06-11) (বয়স ৫২)
কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
ধর্মইসলাম
পিতামাতা
ব্যবহারশাস্ত্রশাফিঈ
যেখানের শিক্ষার্থী
এর প্রতিষ্ঠাতা
  • মাহাজজাহ গবেষণা ইনস্টিটিউট
  • দারুল উলুম আল আরাবিয়্যাহ আল ইসলামিয়্যাহ

ত্বহা কারান (২ জুন ১৯৬৯ – ১১ জুন ২০২১) দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ইসলামি পণ্ডিত এবং ফকিহ ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মুফতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি মাহাজজাহ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও স্ট্র্যান্ডের দারুল উলুম আল আরাবিয়্যাহ আল ইসলামিয়্যাহর প্রতিষ্ঠাতা।

জীবনী[সম্পাদনা]

ত্বহা কারান ১৯৬৯ সালের ২ জুন কেপ টাউনে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] তার পিতা ইউসুফ কারান[৩] শুরুতে তিনি ওয়াটারফল ইসলামি ইনস্টিটিউটে কুরআন মুখস্থ করেন। এরপর তিনি ১৯৯১ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) সমাপ্ত করেন। পরে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর অধ্যয়ন করেন।[১][৪] তার শিক্ষকদের মধ্যে সাঈদ আহমদ পালনপুরী অন্যতম।[১] তিনি শাফিঈ ফিকহের অনুসারী ছিলেন কিন্তু হানাফিদের নিকটবর্তী ছিলেন এবং নিজেকে দেওবন্দি দাবি করতেন।[৫]

তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন প্রভাবশালী চিন্তাবিদ হিসেবে দেখা হত।[৬] খলিল ইব্রাহিম মুলা কাছির তাকে ‘আশ শাফি আস সগির’ (ছোট শাফি) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।[১] ১৯৯৬ সালে তিনি স্ট্র্যান্ডে দারুল উলুম আল আরাবিয়্যাহ আল ইসলামিয়্যাহ প্রতিষ্ঠা করেন।[২][৭] তার তত্ত্বাবধানে ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটির মহিলা শাখা শুরু হয়, যেখানে তিনি কোর্স উপদেষ্টাও ছিলেন।[৮] ২০১৫ তিনি মুসলিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মুফতি হিসেবে তার বাবা ইউসুফ কারানের স্থলাভিষিক্ত হন।[৩] তিনি মাহাজজাহ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন, এই ইনস্টিটিউটটি সাহাবাদের সমালোচনার বিরোধিতা করত।[১] তিনি শিয়া সম্প্রদায়ের সাথে বিতর্ক করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে পরিচিত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে আজম তারিক শিয়াদের খণ্ডন করার ক্ষেত্রে তাকে অসাধারণ দক্ষ বিবেচনা করেছিলেন।[৫] তার রচনার মধ্যে ‘ফ্লিয়িং ফ্রম ফেইট টু ফেইট: ৪০ আহাদিস অন কনটেইজন এন্ড প্যান্ডামিকস’ অন্যতম।[১]

তিনি ২০২১ সালের ১১ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৩] আবদুর রহমান ইবনে ইউসুফ ম্যাঙ্গেরা, ফারাজ রব্বানি, ইসমাইল ইবনে মুসা মেঙ্ক, ওমর সুলেইমান, ইয়াসির ক্বাদি প্রমুখ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মুসলিম বিশ্বের ক্ষতি, মুফতি ত্বহা কারান আর নেই"দি চেনাব টাইমস। ১২ জুন ২০২১। 
  2. "যদি অন্য কেউ বলে তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মুফতি ত্বহা কারান"। সিকার্স গাইডেন্স। ১১ আগস্ট ২০২০। 
  3. "এমজেসি মুফতি ত্বহা কারান হ্যাজ ডাইড"নিউজ২৪। ১১ জুন ২০২১। 
  4. "ত্বহা কারানের মৃত্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মুসলিম উম্মাহর অপূরণীয় ক্ষতি"রেডিও ইসলাম। ১১ জুন ২০২১। 
  5. তাহির, মাহমুদ। "মাওলানা আজম তারিক শহীদ সংখ্যা"। মাসিক খেলাফতে রাশেদা (উর্দু ভাষায়)। ফয়সালাবাদ: সিপাহে সাহাবা পাকিস্তান: ২২৭, ২৩১। 
  6. "দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুফতি কারান মারা গেছেন"হাবের্লার (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২১ 
  7. লো, এমবায়ে; হারুন, মুহাম্মদ (২৬ জানুয়ারি ২০১৬)। উত্তর-ঔপনিবেশিক আফ্রিকায় উচ্চশিক্ষার মুসলিম প্রতিষ্ঠানআইএসবিএন 9781137552310 
  8. কুরআন ১৯–২০–এ সনদধারীদের ডেটাবেজ (৮ সংস্করণ)। আত তানজিল ইনস্টিটিউট অব কুরআনিক সাইন্স। ২০১৯। পৃষ্ঠা ৩৮১, ৭০৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২১