তেলুগু জাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তেলুগু জাতি
Teluguvāru
తెలుగువారు
তেলুগু থাল্লি, তেলুগু ভাষার মূর্ত রূপ।
মোট জনসংখ্যা
আনু. ৮৫ মিলিয়ন[১]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 ভারত৮৩,১২৭,৭৪০ ( ২০১১)[২]
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৪১৫,৪১৪[৩][৪]
 সৌদি আরব৩৩৭,০০০ [৫]
 মায়ানমার১৩৯,০০০ [৬]
 কানাডা৫৪,৬৮৫ [৭]
 অস্ট্রেলিয়া৩৪,৪৩৫[৮]
 মালয়েশিয়া১১৯,০০০[৯]
 ফিজি৩৩,০০০[১০]
 মরিশাস১৯,০০০[১১]
 দক্ষিণ আফ্রিকা৪,৬০০[১২]
 সিঙ্গাপুর৪০,০০০+ [১৩]
 বাংলাদেশ৪০,০০০+
অন্যান্যদেখুন তেলুগু প্রবাসী
ভাষা
তেলুগু
ধর্ম
সংখ্যাগুরু:
হিন্দুধর্ম
উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যালঘু:
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
অন্যান্য দ্রাবিড় জাতি:

তেলুগু জাতি বা তেলুগু হল (তেলুগু: తెలుగువారు, প্রতিবর্ণী. তেলেগুভারু ) জনসংখ্যার দিক থেকে চারটি প্রধান দ্রাবিড় নৃ-ভাষী গোষ্ঠীর মধ্যে বৃহত্তম। তেলেগুরা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানাপুদুচেরির ইয়ানাম জেলার নিবাসী। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তেলুগু ভারতের পার্শ্ববর্তী রাজ্য কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, কেরালাওড়িশার পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বাস করে৷ তেলুগুরা তাদের অন্ধ্রদের বংশোদ্ভূত বলে দাবি করে, যাদের কাছে থেকে তারা নিজেদের জাতিগত নাম উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে। [১৪][১৫][১৬] তেলুগু হলো ভারতের[১৭] চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা এবং বিশ্বের ১৫তম সর্বাধিক কথ্য ভাষা[১৮][১৯]

সংস্কৃত মহাকাব্য ঐতরেয় ব্রাহ্মণে অন্ধ্রের উল্লেখ পাওয়া যায় ( আনু. ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।[২০] ঋগ্বেদের ঐতরেয় ব্রাহ্মণ অনুসারে অন্ধ্ররা উত্তর ভারতের যমুনা নদীর তীর থেকে দক্ষিণ ভারতে চলে যায়। [২১][২২] ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৌর্যরাজা অশোকের মৃত্যুর সময় তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই তারিখটিকে অন্ধ্র ঐতিহাসিক রেকর্ডের সূচনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অঞ্চলে বৌদ্ধজৈন ধর্মের নাস্তিক স্কুলের উত্থানের সময় তেলুগুরা ভারতের অধিকাংশের সাথে তাদের ঐতিহ্যবাহী উচ্চ সমাজের সংস্কার দেখেছিল। মহাযান বৌদ্ধধর্ম যা পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম বৌদ্ধ ঐতিহ্যে পরিণত হয়, এটি অন্ধ্রের তেলুগুদের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল।[২৩][২৪][২৫][২৬]

১৪ শতকের শুরুর দিকে তেলুগু বা তেলুগু অধ্যুষিত অঞ্চলের বাসিন্দাকে বোঝাতে তেলেঙ্গানি শব্দের সাধারণ ব্যবহার শুরু হয়।[২৭][২৮][২৯][৩০] তেলুগু প্রবাসীদের বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি রয়েছে; বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, [৩১] অস্ট্রেলিয়া [৩২]কানাডা। ১৬ শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্য পরিদর্শনের সময় ইতালীয় বিশ্ব-পরিব্রাজক নিকোলো দে' কন্টি লক্ষ্য করেছিলেন যে, তেলুগু ভাষার শব্দগুলি ইতালীয় ভাষার মতো স্বর দিয়ে শেষ হয় এবং তিনি তেলুগুকে "প্রাচ্যের ইতালীয় ভাষা" হিসাবে উল্লেখ করেন।[৩৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অন্ধ্র ( তেলুগু: ఆంధ్ర ) মহাকাব্য মহাভারতে উল্লিখিত একটি রাজ্য ছিল। এটি একটি দক্ষিণী রাজ্য ছিল, যা বর্তমানে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এই নামটি অন্ধ্র থেকেই চয়ন করা হয়েছে।

বায়ুমৎস্য পুরাণেও অন্ধ্র সম্প্রদায়ের উল্লেখ আছে। মহাভারতে সাত্যকির পদাতিক বাহিনীকে অন্ধ্র নামক একটি উপজাতির সাথে তুলনা করা হয়েছিল, যারা তাদের লম্বা চুল, লম্বা উচ্চতা, মিষ্টি ভাষা ও শক্তিশালী পরাক্রমের জন্য পরিচিত। তারা গোদাবরী নদীর তীরে বাস করত। মহাভারতের যুদ্ধে অন্ধ্র এবং কলিঙ্গরা কৌরবদের সমর্থন করেছিল। রাজসূয় যজ্ঞ করতে গিয়ে সহদেব পাণ্ড্য, অন্ধ্র, কলিঙ্গ, দ্রাবিড়, ওদ্রা এবং চেরা রাজ্যগুলিকে পরাজিত করেছিলেন। অন্ধ্রদের বৌদ্ধ উল্লেখও পাওয়া যায়। [৩৪] [৩৫] [৩৬]

অন্ধ্রের উল্লেখ সংস্কৃত মহাকাব্য ; যেমন ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও রয়েছে (আনু. ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)। ঋগ্বেদের ঐতরেয় ব্রাহ্মণ অনুসারে অন্ধ্ররা উত্তর ভারতের যমুনা নদীর তীর ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে চলে যায়। [৩৭] [৩৮] [৩৯] ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৌর্য রাজা অশোকের মৃত্যুর সময়ও তাদের উল্লেখ করা হয়েছে। এই তারিখটিকে অন্ধ্র ঐতিহাসিক রেকর্ডের সূচনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অন্ধ্র (বা সাতবাহন ), অন্ধ্র ইক্ষ্বাকুস, পূর্ব চালুক্য, কাকাতিয়া, বিজয়নগর সাম্রাজ্যসহ বিভিন্ন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছে।

তেলুগু ভাষা হল একটি দক্ষিণ-মধ্য দ্রাবিড় ভাষা, যা প্রাথমিকভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যে বলা হয় এবং সেখানে এটি দাপ্তরিক ভাষা। তেলুগু শব্দের প্রাচীনতম শিলালিপিগুলি ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের গুন্টুর জেলার ভাট্টিপ্রলুতে পাওয়া যায়।[৪০] আরও পরিমার্জিত ভাষাসহ অন্যান্য প্রাথমিক শিলালিপিগুলি পশ্চিম গোদাবরী জেলার কান্তমানেনি ভারিগুডেম, গুন্টুপল্লী এবং কৃষ্ণা জেলার গুম্মাদিদুরু ও ঘন্টাসলায় পাওয়া গেছে। ৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে তেলুগু ভাষায় সম্পূর্ণরূপে লেখা প্রাচীনতম একটি শিলালিপি কাদাপা জেলার কালামাল্লা গ্রামে পাওয়া যায়। [৪০] প্রাচীনতম তেলুগু সাহিত্য হলো ১১ শতকের নান্নায়ার অন্ধ্র মহাভারতম ।

খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে আসাক ছিল ষোলটি মহাজন পদের অন্যতম। মৌর্যদের পরে অন্ধ্র প্রদেশের কিছু অংশ তেলেঙ্গানার বিভিন্ন রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়; তবে তারা জাতিগতভাবে তেলুগু ছিল। এছাড়া এটি সাতবাহন রাজবংশ (খ্রি.পূ. ২৩০-২২০) দ্বারাও বিজিত হয়, যারা অমরাবতী শহর নির্মাণ করেন। গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর অধীনে রাজ্যটি তার শীর্ষে পৌঁছেছিল। এরপর সময়ে সময়ে তেলেগু অঞ্চল বিভিন্ন রাজা দ্বারা হয়ে শাসিত বিভক্ত রাজ্যে পরিণগ হয়। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগে অন্ধ্ররা ইক্ষ্বাকুসরা কৃষ্ণা নদীর তীরের পূর্বাঞ্চলে শাসন করেছিল। বিষ্ণুকুন্দিনা রাজবংশ, পূর্ব চালুক্য, কাকাতিয়া রাজবংশ ও রেড্ডি রাজবংশ ছিল এই অঞ্চলে শাসনকারী অনেক প্রধান তেলুগু রাজ্য এবং রাজবংশের মধ্যে কয়েকটি।

চতুর্থ শতাব্দীতে পল্লব রাজবংশ তাদের শাসন দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তামিলকাম পর্যন্ত প্রসারিত করে এবং কাঞ্চিপুরমে তাদের রাজধানী স্থাপন করেI নর সিংহবর্মণের (৬৩০-৬৬৮) রাজত্বকালে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নবম শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত পল্লবরা দক্ষিণ তেলুগু-ভাষী অঞ্চল ও উত্তর তামিলকামে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।

১১৬৩ থেকে ১৩২৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে কাকতীয় রাজবংশের আবির্ভাব ঘটে, যারা তেলেগু অঞ্চলকে একীভূত শাসনের অধীনে নিয়ে আসে এবং এই সময়ে তেলেগু ভাষা টিক্কানা, ইরান্না, নান্নায়া, পোথানা ইত্যাদি লেখার সাথে একটি সাহিত্য মাধ্যম হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত ইত্যাদি হিন্দু মহাকাব্যের রূপান্তরকারী সাহিত্য ছিল।

১৩২৩ সালে দিল্লির সুলতান গিয়াস উদ্দিন তুগলক তেলুগু অঞ্চল জয় করতে এবং ওয়ারাঙ্গল অবরোধ করার জন্য উলুগ খানের (পরে মুহাম্মদ বিন তুঘলক, দিল্লির সুলতান হিসাবে) নেতৃত্বে একটি বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। কাকাতিয়া রাজবংশের পতনের ফলে দিল্লির তুর্কি সাম্রাজ্য দক্ষিণে চালুক্য চোল রাজবংশ (১০৭০-১২৭৯) এবং মধ্য ভারতের পারসি-তাজিক সালতানাতের প্রতিযোগী প্রভাবের একটি যুগের সূচনা হয়। অবশেষে দিল্লি সালতানাতের বিরুদ্ধে মুসুনুরি নায়েকদের বিজয়ের মাধ্যমে অন্ধ্রের সংগ্রাম শেষ হয়।

বিজয়নগর সাম্রাজ্যের (১৩৩৬-১৬৪৬) কৃষ্ণদেবরায়ের অধীনে তেলুগুরা স্বাধীনতা অর্জন করে। বাহমানি সালতানাত মুসুনুরিদের বিতাড়িত শাসন করে। তাদের পর কুতুব শাহী রাজবংশ বাহমানিদের উত্তরাধিকারী হয়। কুতুবশাহীরা ১৬ শতকের শুরু থেকে ১৭ শতকের শেষ পর্যন্ত তেলেগু সংস্কৃতির প্রতি সহনশীল ছিল।

ঔপনিবেশিক ইউরোপীয়দের আগমন ( মারকুইস ডি বুসি-ক্যাস্টেলনাউের অধীনে ফরাসি ও রবার্ট ক্লাইভের অধীনে ইংরেজরা) এই অঞ্চলের রাজনীতির পরিবর্তন করে। ১৭৬৫ সালে ক্লাইভ ও বিশাখাপত্তনমের প্রধান এবং কাউন্সিল মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে উত্তর সার্কাস লাভ করে। ১৭৯২ সালে বিজয়নগরমের মহারাজা বিজয় রাম গজপতি রাজুকে পরাজিত করে ব্রিটিশরা সে অঞ্চলে আধিপত্য অর্জন করে।

মোহনদাস গান্ধীর অধীনে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্ধ্রের আধুনিক ভিত্তি স্থাপিত হয়। মাদ্রাজ প্রদেশ থেকে একটি স্বাধীন রাজ্যের জন্য পোট্টি শ্রীরামুলুর প্রচারণা এবং টাঙ্গুতুরি প্রকাশম পান্থুলু ও কান্দুকুরি ভিরেসালিঙ্গমের সমাজ-সংস্কার আন্দোলন অন্ধ্র রাজ্য গঠনের দিকে পরিচালিত করে, যার রাজধানী ছিল কুর্নুল। স্বাধীনতা সংগ্রামী পান্তুল্লু এর প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়। তখন এনটি রামা রাও-এর মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে দুটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক দল এবং একটি আধুনিক অর্থনীতিসহ একটি গণতান্ত্রিক সমাজের আবির্ভাব ঘটে।

এরপর ভারত ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন হয় । যদিও হায়দ্রাবাদের মুসলিম নিজাম ভারতের সাথে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন; কিন্তু ১৯৪৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আচানক আক্রমণ করে জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং সেই অঞ্চলে হায়দ্রাবাদ রাজ্য গঠন করা হলে তার রাজ্য ভারতের অধিরাজ্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। অন্ধ্র ছিল প্রথম ভারতীয় রাজ্য, যা প্রাথমিকভাবে ভাষাগত ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে অন্ধ্র রাজ্যকে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের তেলুগু-ভাষী অংশের সাথে মিলে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য তৈরি করার জন্য একীভূত করা হয় এবং হায়দ্রাবাদ রাজ্যের বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর কিছু অংশ কর্ণাটক, কিছু অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কিছু অংশ মহারাষ্ট্রের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লোকসভা অন্ধ্রপ্রদেশের দশটি জেলা নিয়ে তেলেঙ্গানা গঠনের অনুমোদন দেয় এবং তেলেঙ্গানা একটি নতুন প্রদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। [৪১]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

অন্ধ্র প্রদেশের দুইজন কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী (২০১১)।

সাহিত্য[সম্পাদনা]

কলা[সম্পাদনা]

কুচিপুড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বিখ্যাত শাস্ত্রীয় ভারতীয় নৃত্য। প্রচলিত নৃত্যগুলি হলো:

পোশাক[সম্পাদনা]

  • পুরুষ
  1. উত্তরেয়ম ( উত্তরীয়া ) বা পাই পঞ্চা ( অংবস্ত্রম বা ঘোমটা)
  2. পঞ্চা ( ধুতি )
  3. জুব্বা ( কুর্তা ) উপরের অংশ
  4. লুঙ্গি (নৈমিত্তিক পোশাক)
  • নারী
  1. ল্যাঙ্গা ভনি (হাফ শাড়ি )
  2. পাত্তু পাওয়াদা
  3. চেরা (শাড়ি)

উৎসব[সম্পাদনা]

তেলুগু সম্প্রদায়ের দ্বারা উদযাপিত গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে:

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

তেলুগু ভারতে হিন্দি, বাংলামারাঠির পরে চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা। [৪২] অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা হলো তেলেগু জাতি প্রধান আবাসিক রাজ্য।

অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি ভাষাভাষী নিয়ে তেলুগুরা দক্ষিণ ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বক্তা গঠন করে। এর পরে কর্ণাটকে ৩.৭ মিলিয়ন ও তামিলনাড়ুতে ৪.২ মিলিয়ন ভাষী তাদের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা গোষ্ঠীতে পরিণত করেছে। [৪৩]

তামিলনাড়ুতে বিজয়নগরের সময় স্থানান্তরিত তেলুগু লোকেরা উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং চেন্নাই শহরের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশ গঠন করেছে। কর্ণাটকে তেলুগু মানুষরা প্রধানত বেঙ্গালুরু শহরে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সীমান্ত জেলাগুলিতেও তাদের পাওয়া যায়।

মহারাষ্ট্রে তেলুগু জনসংখ্যা ১.৪ মিলিয়নের বেশি ও উড়িষ্যায় প্রায় ০.৭ মিলিয়ন। উল্লেখযোগ্য তেলুগু জনসংখ্যার অন্যান্য রাজ্যে মধ্যে যথাক্রমে রয়েছে: পশ্চিমবঙ্গ (২০০,০০০), ছত্তিসগড় (১৫০,০০০) এবং গুজরাত ( ১০০,০০০)। [৪৩]

সেন্ট্রাল নিউ জার্সি, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বাধিক ঘনত্বসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী তেলুগু প্রবাসীদের সংখ্যা ৪০০,০০০ এরও বেশি। এছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রায় ৩০০,০০০ তেলেগু লোক রয়েছে। [৪৪]

উল্লেখযোগ্য তেলুগু মানুষ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Telugu population figure worldwide"Ethnologue। আগস্ট ২০১৯। 
  2. "Scheduled Languages in descending order of speaker's strength - 2011" (পিডিএফ)Registrar General and Census Commissioner of India 
  3. "Hindi is largest spoken Indian language in U.S."The Hindu। ৪ নভেম্বর ২০১৫। 
  4. "Almost Half Speak a Foreign Language in America's Largest Cities"। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮। 
  5. "Telugu in Saudi Arabia"। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  6. "Telugu in Myanmar (Burma)"। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  7. "Knowledge of languages by age and gender: Canada, provinces and territories, census divisions and census subdivisions"Census Profile, 2021 Census। Statistics Canada Statistique Canada। ৭ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৩ 
  8. "Telugu in Australia" 
  9. Project, Joshua। "South Asian, Telugu-speaking in Malaysia"joshuaproject.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩০ 
  10. "Telugu in Fiji (Burma)"। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  11. "Telugu in Mauritius"। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  12. "Telugu in South Africa"। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  13. "Singapore Telugu Samajam" 
  14. Raghunadha Rao, P. (১৯৯৩)। Ancient and medieval history of Andhra Pradesh। Internet Archive। New Delhi : Sterling Publishers। আইএসবিএন 978-81-207-1495-3 
  15. "APonline - History and Culture-History"web.archive.org। ২০১২-০৭-১৬। Archived from the original on ২০১২-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  16. Sen, Sailendra Nath (১৯৯৯)। Ancient Indian History and Civilization (ইংরেজি ভাষায়)। New Age International। আইএসবিএন 978-81-224-1198-0 
  17. "Nearly 60% of Indians speak a language other than Hindi"The Times of India। ২০১৪-০৬-২১। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  18. "What Languages Are Spoken In India?"WorldAtlas (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  19. "The 15 Most Spoken Languages in the World - Rocket Languages"www.rocketlanguages.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  20. Devi, Ragini (১৯৯০)। Dance Dialects of India (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass Publ.। আইএসবিএন 978-81-208-0674-0 
  21. "Government of Andhra Pradesh"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০২-১২। 
  22. Raghunadha Rao, P. (১৯৯৩)। Ancient and medieval history of Andhra Pradesh। Internet Archive। New Delhi : Sterling Publishers। আইএসবিএন 978-81-207-1495-3 
  23. Guang Xing. The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory. 2004. pp. 65–66 "Several scholars have suggested that the Prajñāpāramitā probably developed among the Mahasamghikas in Southern India, in the Andhra country, on the Krishna River." 
  24. Williams, Paul. Mahayana Buddhism: The Doctrinal Foundations 2nd edition. Routledge, 2009, p. 47. 
  25. Drewes, David (2010-02)। "Early Indian Mahāyāna Buddhism I: Recent Scholarship: Early Indian Mahāyāna Buddhism I"Religion Compass (ইংরেজি ভাষায়)। 4 (2): 55–65। ডিওআই:10.1111/j.1749-8171.2009.00195.x  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  26. "The south (of India) was then vigorously creative in producing Mahayana Sutras" – Warder, A.K. (3rd edn. 1999). Indian Buddhism: p. 335. 
  27. Parpola, Asko (২০১৫)। The Roots of Hinduism : the Early Aryans and the Indus Civilization। New York। আইএসবিএন 978-0-19-022692-3ওসিএলসি 907126673 
  28. Chenchiah; Bhujanga (১৯৮৮)। A History of Telugu Literature (ইংরেজি ভাষায়)। Asian Educational Services। আইএসবিএন 978-81-206-0313-4 
  29. Madras Journal of Literature and Science (ইংরেজি ভাষায়)। Vepery mission Press.। ১৮৩৯। 
  30. "Telogu" (পিডিএফ) 
  31. "A BRIEF HISTORY OF THE ANDHRA PEOPLE IN SOUTH AFRICA"Andhra Maha Sabha of South Africa (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  32. "Indian population in Australia increases 30 per cent in less than two years; now the third largest migrant group in Australia"SBS Language (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  33. "ITALIAN OF THE EAST"www.speakingtree.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  34. Śrīhari, R. (১৯৮৭-০১-০১)। Proceedings of the Andhra Pradesh Oriental Conference: Fourth session, Nagarjuna University, Guntur, 3rd to 5th March 1984 (ইংরেজি ভাষায়)। The Conference। 
  35. Journal of Indian History (ইংরেজি ভাষায়)। University of Kerala.। ১৯৪৯-০১-০১। 
  36. Datta, Manmathanatha (১৮৯৭-০১-০১)। A Prose English Translation of the Mahabharata: (tr. Literally from the Original Sanskrit Text) (ইংরেজি ভাষায়)। H.C. Dass। 
  37. Dance Dialects of IndiaRagini Devi। Motilal Bansarsi Dass। ১৯৯০। আইএসবিএন 81-208-0674-3। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৯ 
  38. "History of Andhra Pradesh"AP OnlineGovernment of Andhra Pradesh। ২০১২-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১২ 
  39. Ancient and medieval history of Andhra PradeshP. Raghunadha Rao। Sterling Publishers, 1993। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা iv। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৯ 
  40. "Telugu is 2,400 years old, says ASI"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১২-২০। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  41. Menon, Amamath K. (১ জুন ২০১৪)। India Today https://web.archive.org/web/20141111151025/http://indiatoday.intoday.in/story/telangana-braces-to-celebrate-its-birthday-celebrations-kcr/1/364724.html। ১১ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  42. "Nearly 60% of Indians speak a language other than Hindi"The Times of India 
  43. "Kannadigas outnumber Malayalis 2:1 in Tamil Nadu"The Times of India। ২০০৮-০৪-১৫। ২০১১-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-০৬ 
  44. Satyanarayana, Adapa (২০০৮)। "Proceedings of the Indian History Congress Vol. 69 : Telugu Diaspora in South East/West Asia, 1871-1990"। Indian History Congress। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়া কমন্সে তেলুগু জাতি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।