তৃতীয় হেনরি (ইংল্যান্ড)
![]() | এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে অনুবাদের মাধ্যমে অমর একুশে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০২৫ উপলক্ষ্যে মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক সম্প্রসারণ করে অনুবাদ শেষ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন।
আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। |
তৃতীয় হেনরি | |
---|---|
![]() ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপিতে আঁকা রাজা তৃতীয় হেনরির চিত্র। | |
ইংল্যান্ডের রাজা (আরও...) | |
রাজত্ব | ২৮ অক্টোবর ১২১৬ – ১৬ নভেম্বর ১২৭২ |
রাজ্যাভিষেক |
|
পূর্বসূরি | জন |
উত্তরসূরি | প্রথম এডওয়ার্ড |
রাজপ্রতিনিধি | তালিকা
|
জন্ম | ১ অক্টোবর ১২০৭ উইনচেস্টার কাসল, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ১৬ নভেম্বর ১২৭২ (বয়স ৬৫) ওয়েস্টমিনস্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
সমাধি | ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
দাম্পত্য সঙ্গী | এলিয়ানর অফ প্রোভেন্স (বি. ১২৩৬) |
বংশধর বিস্তারিত | |
রাজবংশ | প্ল্যান্টাজেনেট |
পিতা | জন, ইংল্যান্ডের রাজা |
মাতা | ইসাবেলা অফ অ্যাঙ্গুলেম |
তৃতীয় হেনরি (১ অক্টোবর ১২০৭ - ১৬ নভেম্বর ১২৭২), যিনি হেনরি অফ উইনচেস্টার নামেও পরিচিত, ১২১৬ সাল থেকে ১২৭২ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রাজা, আয়ারল্যান্ডের লর্ড এবং অ্যাকুইটাইনের ডিউক ছিলেন। [১] রাজা জন এবং ইসাবেলার অফ অ্যাঙ্গুলেমের পুত্র হেনরি প্রথম ব্যারন যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে মাত্র নয় বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। কার্ডিনাল গুয়ালা বিচিয়েরি বিদ্রোহী ব্যারনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ বলে ঘোষণা করেন এবং উইলিয়াম মার্শালের নেতৃত্বে হেনরির বাহিনী ১২১৭ সালে লিঙ্কন এবং স্যান্ডউইচের যুদ্ধে বিদ্রোহীদের পরাজিত করে। হেনরি ১২২৫ সালের গ্রেট চার্টার মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা ছিল ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টার পরবর্তী সংস্করণ। এটি রাজার ক্ষমতা সীমিত করেছিল এবং প্রধান ব্যারনদের অধিকার রক্ষা করেছিল। তার শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে হুবার্ট ডি বার্গ এবং তারপর পিটার ডেস রোচেসের আধিপত্য ছিল, যারা যুদ্ধের পরে রাজকীয় কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১২৩০ সালে রাজা ফ্রান্সের সেই প্রদেশগুলি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন যেগুলি একসময় তার পিতার ছিল; যদিও আক্রমণটি ব্যর্থ হয়। ১২৩২ সালে উইলিয়াম মার্শালের ছেলে রিচার্ডের নেতৃত্বে একটি বিদ্রোহ শুরু হয়, যার সমাপ্তি ঘটে চার্চের মধ্যস্থতায় একটি শান্তি মীমাংসার মাধ্যমে।
বিদ্রোহের পর হেনরি বৃদ্ধ মন্ত্রীদের মাধ্যমে শাসন করার পরিবর্তে নিজ হাতে ইংল্যান্ড শাসন করেছিলেন। তিনি পূর্ববর্তী রাজাদের তুলনায় কম ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু তিনি তার প্রিয় কয়েকটি প্রাসাদ এবং দুর্গের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। তিনি এলেনর অফ প্রোভেন্স -কে বিয়ে করেন, যার সাথে তার পাঁচটি সন্তানের জন্ম হয়। হেনরি তার ধার্মিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতেন এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানে উদারভাবে দান করতেন। রাজা বিশেষ করে এডওয়ার্ড দ্য কনফেসরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন, যাকে তিনি তার রক্ষাকর্তা সন্ত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের ইহুদিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন, যার ফলে তাদের ব্যবসা করার ক্ষমতা কমে যায় এবং ইহুদিদের প্রতি মনোভাব কঠোর করার সাথে সাথে তিনি সম্প্রদায়টিকে পৃথক করার জন্য ইহুদি আইন প্রণয়ন করেন। ফ্রান্সে তার পরিবারের জমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় তিনি ১২৪২ সালে পোইটো আক্রমণ করেন, যার ফলে টেইলবার্গের বিপর্যয়কর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরে হেনরি কূটনীতির উপর নির্ভর করে দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক, পবিত্র রোমান সম্রাট সাথে মৈত্রী-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১২৫৬ সালে রোমানদের রাজা হওয়ার প্রচেষ্টায়, হেনরি তার ভাই রিচার্ড অফ কর্নওয়াল-কে সমর্থন করেছিলেন এবং তা সফল হয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও তিনি তার নিজের ছেলে এডমন্ড ক্রাউচব্যাককে সিসিলির সিংহাসনে বসাতে পারেননি। তিনি লেভান্টে ধর্মযুদ্ধে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু গ্যাসকোনির বিদ্রোহের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হন।
১২৫৮ সালের মধ্যে হেনরির শাসন ক্রমশ অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার কারণ ছিল তার ব্যয়বহুল বৈদেশিক নীতির ব্যর্থতা এবং তার পোয়েটভিন সৎ ভাই লুসিগনানদের কুখ্যাতি, সেইসাথে কর ও ঋণ আদায়ে তার স্থানীয় কর্মকর্তাদের ভূমিকা। তার ব্যারনদের একটি জোট, যা প্রাথমিকভাবে সম্ভবত এলেনরের সমর্থিত ছিল, একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং পয়েটভিনদের ইংল্যান্ড থেকে বহিষ্কার করে, অক্সফোর্ডের বিধান নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজকীয় সরকার সংস্কার করে। ১২৫৯ সালে হেনরি এবং ব্যারোনিয়াল সরকার ফ্রান্সের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার অধীনে হেনরি রাজা নবম লুই তাকে গ্যাসকোনির বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে ফ্রান্সে তার অন্যান্য ভূমির উপর তার অধিকার ত্যাগ করেন। ব্যারোনিয়াল শাসনের পতন ঘটে, কিন্তু হেনরি একটি স্থিতিশীল সরকার পুনঃর্গঠন করতে অক্ষম হন এবং ইংল্যান্ড জুড়ে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকে।
১২৬৩ সালে উগ্র ব্যারন সাইমন ডি মন্টফোর্ট ক্ষমতা দখল করেন, যার ফলে দ্বিতীয় ব্যারন যুদ্ধ শুরু হয়। হেনরি লুইকে তার উদ্দেশ্য সমর্থন করার জন্য রাজি করান এবং একটি সেনাবাহিনী গঠন করেন। ১২৬৪ সালে লুইসের যুদ্ধ সংঘটিত হয় যেখানে হেনরি পরাজিত হন এবং বন্দী হন। হেনরির জ্যেষ্ঠ পুত্র এডওয়ার্ড পরের বছর ইভেশামের যুদ্ধে ডি মন্টফোর্টকে পরাজিত করার জন্য বন্দি থাকা অবস্থায় পালিয়ে যান এবং তার বাবাকে মুক্ত করেন। হেনরি প্রথমে অবশিষ্ট বিদ্রোহীদের উপর কঠোর প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু চার্চ তাকে কেনিলওয়ার্থের ডিক্টামের মাধ্যমে তার নীতিমালা প্রশমিত করতে রাজি করে। পুনর্গঠন ছিল ধীর, এবং হেনরিকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে নিতে হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল ইহুদিদের উপর আরও দমন, যাতে তাদের আধিপত্য এবং জনসমর্থন বজায় থাকে। ১২৭২ সালে হেনরি মারা যান এবং এডওয়ার্ডকে তার উত্তরসূরি হিসেবে রেখে যান। তাকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়েছিল, যা তিনি তার রাজত্বের দ্বিতীয়ার্ধে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন এবং ১২৯০ সালে তার বর্তমান সমাধিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘোষণা করা হয়েছিল, যদিও তাঁকে সন্ত ঘোষণা করা হয়নি। হেনরির ৫৬ বছরের রাজত্ব ছিল মধ্যযুগীয় ইংরেজ ইতিহাসের দীর্ঘতম এবং ১৮শ এবং ১৯শ শতাব্দীতে তৃতীয় জর্জের শাসনামলের আগে কোনও ইংরেজ বা পরবর্তী ব্রিটিশ রাজা তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।
জীবনবৃত্তান্ত এবং শৈশব
[সম্পাদনা]হেনরি ১ অক্টোবর ১২০৭ সালে উইনচেস্টার দুর্গে জন্মগ্রহণ করেন। [২] তিনি ছিলেন রাজা জন এবং ইসাবেলা অফ অ্যাঙ্গুলেমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। [৩] হেনরির প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা গিয়েছে। [৪] প্রথমে তাকে দেখাশোনা করতেন এলেন নামক একজন নার্স, যিনি ইংল্যান্ডের দক্ষিণে, জনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে দূরে ছিলেন, এবং সম্ভবত তার মায়ের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। [৫] হেনরির চারজন বৈধ ছোট ভাইবোন ছিল - রিচার্ড, জোয়ান, ইসাবেলা এবং এলিনর - এবং আরও অনেক বড় অবৈধ ভাইবোন ছিল। [৬] ১২১২ সালে বিশপ অফ উইনচেস্টার পিটার ডেস রোচেসের কাছে তার শিক্ষার ভার অর্পণ করা হয়; তার নির্দেশনায় হেনরিকে ফিলিপ ডি'অবিগনি সামরিক প্রশিক্ষণ দেন এবং সম্ভবত সেন্ট স্যামসন-এর রাল্ফ তাকে ঘোড়দৌড় শেখান। [৭]
হেনরির চেহারা সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়; তিনি সম্ভবত ১.৬৮ মিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) লম্বা ছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর লিপিবদ্ধ বিবরণ থেকে জানা যায় যে তাঁর দেহ ছিল মজবুত, চোখের পাতা ছিল ঢুলুঢুলু । [৭][ক] হেনরি মাঝে মাঝে প্রচণ্ড রেগে যেতেন, তবে বেশিরভাগ সময়, ইতিহাসবিদ ডেভিড কার্পেন্টার-এর বর্ণনা অনুসারে, তাঁর একটি "অমায়িক, সহজ-সরল এবং সহানুভূতিশীল" ব্যক্তিত্ব ছিল।[৮] তিনি ছিলেন সাদাসিধা এবং সৎ, তার আবেগ সহজেই প্রকাশ করতেন, ধর্মীয় উপদেশ শুনে সহজেই তিনি অশ্রুসিক্ত হতেন। [৮]
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে ইংল্যান্ড রাজ্য পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অ্যাঞ্জেভিন সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে। হেনরির নামকরণ করা হয়েছিল তার দাদা দ্বিতীয় হেনরির নামে, যিনি স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস থেকে ইংল্যান্ড, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের নরম্যান্ডি, ব্রিটানি, মেইন এবং আনজু অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে পোইটো এবং গ্যাসকোনি পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিশাল ভূমি সংযোগ তৈরি করেছিলেন। [৯] বহু বছর ধরে ফরাসি রাজতন্ত্র তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল, যার ফলে প্রথমে দ্বিতীয় হেনরি এবং তারপরে তার পুত্র প্রথম রিচার্ড এবং জন ফ্রান্সে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হন। [১০]
১২০৪ সালে জন ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের কাছে নরম্যান্ডি, ব্রিটানি, মেইন এবং আনজু হারান, ফলে মহাদেশে ইংরেজদের ক্ষমতা কেবল গ্যাসকোনি এবং পোইটোতে সীমাবদ্ধ থাকে। [১১] জন তার জমি পুনরুদ্ধারের জন্য সামরিক অভিযানের খরচ বহন করার জন্য কর বৃদ্ধি করেছিলেন, কিন্তু এতে অনেক ইংরেজ ব্যারনের মধ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়; জন পোপের প্রতি আনুগত্যের কারণে ইংল্যান্ডকে পোপের জায়গির ঘোষণা করে নতুন মিত্রদের সন্ধান করেছি।[১২][খ] ১২১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন এবং বিদ্রোহী ব্যারনরা সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি হিসেবে ম্যাগনা কার্টা নিয়ে আলোচনা করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে রাজকীয় ক্ষমতার সম্ভাব্য অপব্যবহার সীমিত করা হত, বিদ্রোহী সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করা হত এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করা হত, কিন্তু বাস্তবে, কোনও পক্ষই এর শর্ত মেনে চলেনি। [১৪] জন এবং অনুগত ব্যারনরা দৃঢ়ভাবে ম্যাগনা কার্টা প্রত্যাখ্যান করেন এবং প্রথম ব্যারন যুদ্ধ শুরু হয়, বিদ্রোহী ব্যারনদের সহায়তায় ফিলিপের পুত্র লুই (পরবর্তীতে অষ্টম লুই) নিজের জন্য ইংরেজ সিংহাসন দাবি করেন। [১১] যুদ্ধ শীঘ্রই অচলাবস্থায় পরিণত হয়, কোন পক্ষই বিজয় লাভকরতে পারেনি। রাজা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৮ অক্টোবর রাতে মারা যান, নয় বছর বয়সী হেনরিকে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে রেখে যান। [১৫]
নাবালককাল (১২১৬–১২২৬)
[সম্পাদনা]রাজ্যাভিষেক
[সম্পাদনা]রাজা জন মারা যাওয়ার সময় হেনরি তার মায়ের সাথে ডরসেটের কর্ফ দুর্গে নিরাপদে অবস্থান করছিলেন। [১৬] মৃত্যুশয্যায় জন, হেনরিকে রাজ্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য তেরো জন নির্বাহীর একটি পরিষদ নিযুক্ত করেন এবং তার পুত্রকে ইংল্যান্ডের অন্যতম বিখ্যাত নাইট উইলিয়াম মার্শালের অভিভাবকত্বে নিযুক্ত করার অনুরোধ করেন। [১৭] অনুগত নেতারা সিংহাসনে হেনরির দাবিকে আরও দৃঢ় করার জন্য অবিলম্বে তার রাজ্যাভিষেক করার সিদ্ধান্ত নেন। [১৮][গ] উইলিয়াম ছেলেটিকে নাইট উপাধি দিয়েছিলেন এবং ইংল্যান্ডের পোপের প্রতিনিধি কার্ডিনাল গুয়ালা বিচিয়েরি ১২১৬ সালের ২৮ অক্টোবর গ্লুচেস্টার ক্যাথেড্রালে তাঁর রাজ্যাভিষেকের তদারকি করেছিলেন। [১৯]
আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবেরি স্টিফেন ল্যাংটন এবং আর্চবিশপ অফ ইয়র্ক ওয়াল্টার ডি গ্রে এর অনুপস্থিতিতে, হেনরিকে বিশপ সিলভেস্টার অফ ওরচেস্টার এবং সাইমন অফ এক্সেটার রাজপদে অভিষিক্ত করেন এবং পিটার দেস রোচেস তাকে মুকুট পরিয়ে দেন। [১৯] রাজমুকুটটি গৃহযুদ্ধের সময় হয় হারিয়ে গিয়েছিল অথবা বিক্রি হয়ে গিয়েছিল অথবা সম্ভবত দ্য ওয়াশে হারিয়ে গিয়েছিল, তাই অনুষ্ঠানে মুকুটের পরিবর্তে রানী ইসাবেলার একটি সাধারণ সোনার শিরভূষণ ব্যবহার করা হয়েছিল। [২০] পরে ১৭ মে ১২২০ সালে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে দ্বিতীয়বার হেনরির রাজ্যাভিষেক হয় [২১]
তরুণ রাজা উত্তরাধিকারসূত্রে একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, যেখানে ইংল্যান্ডের অর্ধেকেরও বেশি বিদ্রোহীদের দখলে ছিল এবং তার পিতার বেশিরভাগ মহাদেশীয় সম্পত্তি এখনও ফরাসিদের হাতে ছিল। [২২] কার্ডিনাল গুয়ালার কাছ থেকে তার যথেষ্ট সমর্থন লাভ করেছিলেন, যিনি হেনরির জন্য গৃহযুদ্ধ জয় করতে এবং বিদ্রোহীদের শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন। [২৩] গুয়ালা ইংল্যান্ড এবং পোপের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার কাজ শুরু করেন হেনরির রাজ্যাভিষেকের মাধ্যমেই, যেখানে হেনরি পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং পোপ তৃতীয় অনারিয়াসকে তার ধর্ম-গুরু হিসেবে স্বীকৃতি দেন। [২৪] অনারিয়াস ঘোষণা করেন যে হেনরি তার অধীন এবং একই সঙ্গে তার অভিভাবক, এবং পোপের দূত ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হেনরি ও তার রাজ্য রক্ষা করার সম্পূর্ণ ভার গ্রহণ করছে। [১৮] এছাড়াও হেনরি ক্রুশ গ্রহণ করেন এবং নিজেকে একজন ধর্মযোদ্ধা ঘোষণা করেন এবং রোমের কাছ থেকে বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী হন। [১৮]
- ↑ Carpenter 1990
- ↑ Davis 2013
- ↑ Davis 2013
- ↑ Davis 2013; Cole 2002
- ↑ Davis 2013; Ridgeway 2004
- ↑ Davis 2013
- ↑ ক খ গ Ridgeway 2004
- ↑ ক খ Carpenter 1996; Vincent 2006; Ridgeway 2004
- ↑ Carpenter 2004; Ridgeway 2004
- ↑ Hallam ও Everard 2001
- ↑ ক খ Carpenter 2004
- ↑ Carpenter 2004
- ↑ McGlynn 2013, পৃ. 73
- ↑ Carpenter 2004
- ↑ Warren 1991
- ↑ Davis 2013
- ↑ Carpenter 1990
- ↑ ক খ গ ঘ Carpenter 1990
- ↑ ক খ Carpenter 1990; McGlynn 2013; Ridgeway 2004
- ↑ Davis 2013; Carpenter 1990
- ↑ "Henry III"। Dean and Chapter of Westminster Abbey। ১১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ Weiler 2012; Carpenter 1990
- ↑ Mayr-Harting 2011
- ↑ Mayr-Harting 2011; Carpenter 1990
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি