তুলসী গ্যাবার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(তুলসী গাবার্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)
তুলসী গ্যাবার্ড
টালসি গ্যাবার্ডের ১১৪ তম কংগ্রেসের ছবি
-নির্বাচিত সদস্য
হাওয়াই ২য় জেলা থেকে
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
জানুয়ারী ৩, ২০১৩
পূর্বসূরীমাজিয়ে হিরোনও
হনোলুলু সিটি কাউন্সিল এর সদস্য
৬ষ্ঠ জেলা থেকে
কাজের মেয়াদ
২ জানুয়ারী, ২০১১ – ১৬ আগস্ট, ২০১২
পূর্বসূরীরড ট্য়া‌ম
উত্তরসূরীক্যারল ফুকুনাগা
-নির্বাচিত সদস্য
৪২তম জেলা থেকে
কাজের মেয়াদ
২০০২ – ২০০৪
পূর্বসূরীমার্ক মোজেস
উত্তরসূরীরিডা কাবানিলা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1981-04-12) ১২ এপ্রিল ১৯৮১ (বয়স ৪২)
লেওলোআলোয়া, আমেরিকান সামোয়া, মার্কিন
রাজনৈতিক দলগণতান্ত্রিক
দাম্পত্য সঙ্গীএডুয়ার্ডো তামায়ো (বি. ২০০২; বিচ্ছেদ. ২০০৬)
আব্রাহাম উইলিয়ামস (বি. ২০১৫)
আত্মীয়স্বজনমাইক গ্যাবার্ড (বাবা)
ক্যারল পো গ্যাবার্ড (মা)
শিক্ষাহাওয়াই প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি (বিএসবিএ)
স্বাক্ষর
ওয়েবসাইটHouse website
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শাখা মার্কিন সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ২০০৩–বর্তমান
পদমেজর
ইউনিটহাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ড
যুদ্ধইরাক যুদ্ধ
পুরস্কারমেধাবী সেবা পদক
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রশংসাপত্র পদক
আর্মি অ্যাচিভমেন্ট পদক[১]

টালসি গ্যাবার্ড (ইংরেজি: Tulsi Gabbard; আ-ধ্ব-ব: /ˈtʌlsi ˈɡæbərd/; জন্ম ১২ই এপ্রিল, ১৯৮১), যিনি কিছু বাংলা গণমাধ্যমে "তুলসী গাবার্ড" নামেও পরিচিত, একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ ও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষের (হাউজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস) একজন সদস্য। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন সদস্য। ২০১২ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম সামোয়ান মার্কিনী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংসদ সদস্য হিসেবে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত মার্কিন সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। তিনি ২০১৩ সাল থেকে হাওয়াইয়ের ২য় কংগ্রেস নির্বাচনী এলাকাকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিতে যোগদানের পূর্বে তিনি হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের যুদ্ধক্ষেত্রের চিকিৎসা ইউনিটের সদস্য হিসেবে ইরাকে ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এবং এরপর ২০০৮-২০০৯ সালে কুয়েতে সামরিক সেবা প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি সামরিক বাহিনীর একজন মেজর। তারও আগে ২০০২ সালে তিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের রাজ্য আইনসভার একজন সদস্য নির্বাচিত হন; তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যেকোনও অঙ্গরাজ্য আইনসভার নির্বাচিত নারী সদস্যদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্যাবার্ড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সমিতির উপ-সভাপতি ছিলেন।

গ্যাবার্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে সৃষ্ট বহিঃরাষ্ট্রীয় যুদ্ধসমূহের (যেমন ইরাক যুদ্ধসমূহ, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ, ইত্যাদি) ঘোর বিরোধী। তিনি ২০২০ সালে মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লাভের লক্ষ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরীণ দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন।

জীবন[সম্পাদনা]

মার্কিন সামোয়া দ্বীপে ১৯৮১ সালের ১২ই এপ্রিল তার জন্ম হয়। তার যখন দুই বছর বয়স তখন তারা সপরিবারে হাওয়াই দ্বীপে চলে যান। তিনি একটি বহুসাংস্কৃতিক পরিবারে বড় হন। তার পিতামাতা পূর্বে খ্রিস্টান ছিলেন। তার বাবা সামোয়ান, ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত এবং ক্যাথলিক গির্জার সক্রিয় সদস্য। তার মা জার্মান বংশোদ্ভূত। যিনি জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্য়ের ডিসকুরে।

গ্যাবার্ডের মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন এবং পরে তার পিতা ও তার মাকে অনুসরণ করে। তার পিতার মন্ত্র, ধ্যান ও স্তবে খুব আগ্রহ ছিল।[২] তিনি তার পিতামাতার চতুর্থ মেয়ে। তার চার ভাই ও এক বোন। তার মার প্রভাবের কারণে তারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী।এই দম্পতির পাঁচ সন্তানের নাম হল: ভক্তি, জয়, আরিয়ান, তুলসী ও বৃন্দাবন। [৩] গ্যাবার্ডের মা, প্রতিদিন ভগবত গীতা পড়তেন এবং শিশুদের এর গুরুত্ব বোঝান। তিনি পাঁচ সন্তানের মধ্যে ভগবত গীতার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। কিশোরী অবস্থায় তিনিও তার মায়ের মত হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।[৪] তিনি গৌড়ীয় বৈষ্ণবমত অনুসরণ করেন ও তিনি নিরামিষভোজী।[৫]তিনি অনেককে গুরু হিসেবে মানেন তবে তিনি জগদ গুরু সিদ্ধস্বরূপানন্দ পরমহংসের সরাসরি শিষ্য।[৬] বৈষ্ণব হিন্দু হিসেবে তিনি বিষ্ণুর অবতার ও রামায়ণ সম্পর্কে জানেন। তিনি মহাভারতকে গ্রহণ করেছিলেন। এই মহান গ্রন্থগুলির গ্যাবার্ডের মনের উপর দুর্দান্ত প্রভাব রয়েছে।তিনি ভাগবত গীতাকে একটি আধ্যাত্মিক নির্দেশিকা হিসাবে প্রশংসা করেন।[৭] গ্যাবার্ড নিজেকে একজন কর্মী যোগী হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[৮] তিনি ২০১৩ সালে প্রথম হিন্দু হিসেবে হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ ভগবদ্গীতায় হাত রেখে মার্কিন সেনেটে শপথ গ্রহণ করেন।২০১৫ সালে হাওয়াইয়ে তিনি চলচ্চিত্রগ্রাহক এব্রাহাম উইলিয়ামসকে বৈদিক রীতিতে বিয়ে করেন।

ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর মেজর পদে পদোন্নতি অনুষ্ঠানে গ্যাবার্ড

অল্প বয়সেই তিনি তার বাবাকে ব্যবসায় একটু সাহায্য করছিলেন। মার্শাল আর্ট তার প্রিয় ছিল। ধারণা নিয়ে দ্বিধা তার মনকে কঠোর করে। তিনি শরীরচর্চায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছিলেন। তিনি আনন্দের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সময় দায়িত্ব, চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার সামাজিক সেবা করতে ভালবাসতেন ।হাওয়াইয়ে তিনি অধ্যয়ন করেন।২ বছর তিনি ফিলিপাইনের হাই স্কুলে পড়েন।[৯] হাওয়াইয়ের প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্নাতক করেন।[১০] ২০০২ সালে একুশ বছর বয়সে হাওয়াই আইন পরিষদের কনিষ্ঠতম সদস্য নির্বাচিত হন।[১১] তিনি আমেরিকান সেনাতে যোগদান করেন।[১২] ২০০৪ সালে তিনি ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছিলেন ।[১৩] এক বছরের জন্য সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করেছিলেন এবং সৈন্যদের সাথে ফিরে এসেছিলেন।সেখান থেকে ফিরে আসার পর তাকে সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।যা তিনি সেনা কর্মকর্তাদের বাইরে প্রথম অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি কুয়েতের যুদ্ধে যান।[১৪] কুয়েতের সৈনিকরা তার বীরত্ব , সাহস এবং সময় সচেতনতা দেখে প্রভাবিত হয়েছিল ।তারা তাকে পুরস্কৃত করেছিল। কুয়েতের ইতিহাসে তার পাওয়া এ পুরস্কার প্রথম বার কোন মহিলার সাহসিকতার জন্য প্রাপ্ত পুরস্কার ছিলশি

লেখিকা[সম্পাদনা]

কংগ্রেসে নির্বাচিত হওয়া প্রথম হিন্দু মহিলা হওয়া থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করা তুলসী গ্যাবার্ড তার দেশের সেবা করার সময় তিনি যে শিক্ষা পেয়েছিলেন এবং যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তা নিয়ে তিনি ' ইস টুডে দ্য ডে ' নামে একটি বই লেখেন। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়।[১৫]

রাজনৈতিক ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

আমেরিকায় নরেন্দ্র মোদীর সাথে তুলসীর সাক্ষাত

টালসি ২০১০ সালে হনলুলু নগর পরিষদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ কংগ্রেস বা হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।[১৬][১৭] এটি ছিল একটি অভূতপূর্ব কৃতিত্ব, যার ফলে টালসি ৩১ বছর বয়সে প্রথম হিন্দু নারী হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে যোগ দেন। উপরন্তু তিনি ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত দুজন নারীর একজন যার সামরিক পটভূমি আছে। প্রথম হিন্দু সাংসদ হিসেবে তিনি গীতায় হাত রেখে শপথ নেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ববি জিন্দাল এবং নিকি হেলিও সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সম্ভবত অনেকে জানেন না যে হিন্দু ববি ও শিখ নিকি উভয়ই খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ববি তার ভারতীয় উৎস ধর্ম ত্যাগ করেন। কিন্তু টালসি এতে সম্পূর্ণভাবে অসম্মতি প্রকাশ করেন।[১৮]

"যখন আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম, কেউ তখন জিজ্ঞেস করলো না কোন  ধর্মের ছিলাম এবং এখন কেন এটা এখন করা হবে?"

এ ব্যাপারে আমেরিকান হিন্দুরা তাকে সমর্থন করে।[১৯]

তিনি সোজা এবং সাহসী। তিনি নরেন্দ্র মোদীর ভিসা বাতিলের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ভুল করছে। তিনি ইসলামী সন্ত্রাসীদের বিরোধিতা করেন।[২০] । এমনকি তিনি সংসদে গিয়েছিলেন। তিনি অন্য দেশগুলির সাথে যুদ্ধের জোরালোভাবে বিরোধিতা করেছিলেন। সেপ্টেম্বরে যখন নরেন্দ্র মোদী মেডিসন স্কোয়ারে আসেন তখন তুলসীর সাথে দেখা করেন। তিনি ভারতে আসার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। নভেম্বরে নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আবার নির্বাচিত হন।

তিনি আন্তঃ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন।[২১] তিনি অনুরোধ করেছিলেন যেন গ্লাস-স্টিগাল অ্যাক্ট পুনরুদ্ধার করা হয়।[২২] ২০১২ সালে একই লিঙ্গের বিয়েকে সমর্থন করেন।[২৩][২৪] তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী নীতির সমালোচনা করে লিবিয়া, ইরাক এবং সিরিয়া যুদ্ধের ফলাফলগুলিকে "ব্যর্থতা" হিসাবে বিবেচনা করেন।[২৫] পরের দেশের ব্যাপারে তিনি সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল-আসাদকে বাধ্য করার বিরোধিতা করেছেন।[২৬]

ভগবত গীতা তাঁর জীবনে[সম্পাদনা]

তিনি তার জীবনে ভগবত গীতাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন।তার মতে ভগবত গীতার শিক্ষায় তার হৃদয় থেকে উদ্ভূত হয় সাহস, শান্তি, সান্ত্বনা, ধৈর্য ও সামাজিক সেবা ।কঠিন পরিস্থিতিতে ভগবদ্গীতা মানুষকে শক্তি ও শান্তি দেয়।[২৭][২৮]তার মতে

"আমার জীবনের অনুপ্রেরণা এবং সাহসের উৎস ভগবত গীতা।"

গীতার ভক্তিযোগ এবং কর্মযোগ অধ্যায় তার প্রিয় ।কিন্তু সাংখ্য়‌যোগের ২৩ তম শ্লোকটি তার সবচেয়ে প্রিয়।[২৯]

যেটি হচ্ছে:

  নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ ।
  ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ ॥

অর্থ:

আত্মাকে অস্ত্রের দ্বারা কাটা যায় না আগুনে পোড়ান যায় না জলে ভেজান যায় না অথবা হাওয়ায় শুকানোও যায় না।[৩০]

ব্যক্তিত্বের বিবর্তন মূলত কীভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে গীতা থেকে তিনি তার জীবন তা গ্রহণ করেছে।এর ফলাফলে তার জীবনে সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন।

তিনি কংগ্রেসে গীতায় হাত রেখে শপথ নিয়েছিলেন।সেই গীতাটি ইরাকে তার সাথে ছিল। নিজের জীবনের পরম সঙ্গী সেই গীতাই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেন ।[৩১]


ভারত[সম্পাদনা]

তিনি ভারতকে খুব ভালবাসেন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি।[৩২] ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর গুজরাতের সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকা তাদের ভিসা দেবে না জানায়।তিনি তখন মার্কিন সরকারের সেই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ।নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ৫ মাসের মধ্যে ধর্ম ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার এক সিদ্ধান্তেরও তিনি তীব্র বিরোধিতা করেন ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিনি প্রথমবারের মতো ভারতে আসেন আংটিবদলের পরে ।তিনি ভারতে এসে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য অনেক ভারতীয় নেতাদের সাথে। বেঙ্গালুরুর 'মন্থন' এবং 'মিথিক সোসাইটি'দ্বারা যৌথভাবে নৃপুতুঙ্গা রোডে (পূর্বে 'সেনোতাফ রোড' নামে পরিচিত) 'মিথিক সোসাইটি হল অফ ফেম' তে অনুষ্ঠিত "তুলসীর কথোপকথন প্রোগ্রাম"টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৩৩]

২০২০ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন[সম্পাদনা]

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণায় তুলসী
টালসি গ্যাবার্ডের ২০২০ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রচারণা লোগো

২০১৬ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন লড়েছিলেন।তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী প্রার্থী। সে সময় তিনি বার্নি স্যান্ডার্স কে সমর্থন করেন।কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে জয় পান । ২০১৬ সালের নির্বাচনের এক মার্কিন নারী ভোটারের মতে, "আমি এমন একজন মহিলাকে চান যিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি হবেন কিন্তু তিনি হিলারি নন"। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে আমেরিকার অনেক নারী হিলারির নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে খুশি ছিলেন না। কিন্তু তারা তুলসীকে খুব পছন্দ করেছিলেন এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন[৩৪]। যদি তিনি জয়ী হতেন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হিন্দু নারী রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠবেন।তিনি ইরাক যুদ্ধের বিরোধী ছিলেন। নির্বাচনে তিনি যুদ্ধ বিরোধী প্রচারণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।তার প্রচারে তিনি অনাবাসী ভারতীয়দের কথা তুলে ধরেন।প্রচারে তাঁকে অর্থ সাহায্য করেছিলেন বহু আমেরিকাবাসী, হিন্দু এবং ভারতীয়রা।[৩৫] আমেরিকার হিন্দু ফোবিয়া নিয়ে তিনি প্রথম কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথাও তিনি তুলে ধরেন।[৩৬]

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে গ্যাবার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন।[৩৭] গ্যাবার্ড প্রথম মহিলা যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন।[৩৮] সিএনএন তার বিদেশনীতিকে হস্তক্ষেপ বিরোধী এবং তার অর্থনীতিকে জনহিতৈষী হিসেবে বর্ণনা করে।[৩৯]

প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ২০২০ গণতান্ত্রিক বিতর্কের পরে গ্যাবার্ড সবচেয়ে বেশিবার গুগলে খোঁজ করা প্রার্থী ছিলেন।[৪০][৪১][৪২]

গ্যাবার্ড তৃতীয় রাষ্ট্রপতি বিতর্কের জন্য পোলিংয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন নি।কারণ ডিএন্সির যোগ্যতার মানদণ্ড স্বচ্ছ ছিল না।তিনি ডিএন্সির যোগ্যতার মানদণ্ড স্বচ্ছ নয় বলে সমালোচনা করেন ।[৪৩] তিনি ২০১২ সালের অক্টোবরে ওহিওতে চতুর্থ বিতর্কের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন । তবে তিনি মিডিয়া এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে "কারচুপি"র জন্য দ্বায়ী করেছিলেন । তিনি এই বিতর্ককে সংক্ষেপে বয়কট করার হুমকি দিয়েছিলেন।কিন্তু পরে তিনি এতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৪৪] [৪৫][৪৬][৪৭]


২০১৯ সালের জুলাই এ গ্যাবার্ড একমাত্র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ছিলেন যিনি পুয়ের্তো রিকোতে গিয়েছিলেন ।সেখানে তিনি গভর্নর রিকার্ডো রোসেলিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।[৪৮][৪৯]

২০১৯ সালের অক্টোবরে ফলস অ্যান্ড লেটার কারেক্টড স্টোরিস দাবি করে যে প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন যে রাশিয়া একজন মহিলা ডেমোক্র্যাটকে তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী হিসেবে চালানোর জন্য সাজিয়েছে।[৫০][৫১][৫২] যে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পয়লার প্রভাবের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচন জিততে সহায়তা করবেন । সেই মহিলা বলতে যে হিলারি গ্যাবার্ডকে বুঝিয়েছিলেন ক্লিনটনের মুখপাত্র নিক মেরিল সেটা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছিলেন।[৫২][৫৩][৫৪] তবে গ্যাবার্ড এর উত্তরে বলেছিলেন যে তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন না এবং তিনি তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হিলারিকে মিথ্যে প্রমাণ করেন। ২০২০ সালের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়া বার্নি স্যান্ডার্স সহ বেশ কয়েকজন তুলসীকে সমর্থন করেন ও ক্লিনটনের মতকে প্রত্যাখ্যান করে।[৫৫][৫৬][৫৭] ট্রাম্পও গ্যাবার্ডকে সমর্থন করেছিলেন।[৫৮][৫৯] গ্যাবার্ড ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।[৬০] তবে পাঁচ মাস পরে তা তূলে নেন।[৬১] ক্লিনটনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য গ্যাবার্ড লস অ্যাঞ্জেলেসের আইন সংস্থা পিয়ের্স বেনব্রিজ বেক প্রাইস অ্যান্ড হ্যাচট এবং ডেভিডফ হাচার অ্যান্ড সিট্রন থেকে দু'জন অ্যাটর্নি পাপাডোপ্লোস এবং রুডি জিলিয়ানিকে বহাল করেছিলেন। যারা ২০১৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে মুলারের তদন্তের সময় জর্জকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[৬২]

২০২০ সালের ৩ মার্চ সামোয়ান এবং ২৬% দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বংশোদ্ভূত গ্যাবার্ড আমেরিকান সামোয়াতে দুজন প্রতিনিধি অর্জন করেছিলেন।[৬৩][৬৪][৬৫][৬৬] তিনি দ্বিতীয় অশ্বেতাঙ্গ মহিলা (শার্লি চিশলম এর পরে) এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান এবং প্যাসিফিক-দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক প্রতিনিধি পেয়েছিলেন।তিনি ছিলেন একমাত্র অশ্বেতাঙ্গ ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী যিনি ২০২০ নির্বাচনী চক্রে প্রতিনিধি অর্জন করেছিলেন।[৬৭]

২০২০ সালের ১৯ শে মার্চ গ্যাবার্ড রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে আসেন।তিনি রাষ্ট্রপতি পদে জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন। [৬৮][৬৯][৭০]

নির্বাচনের পর গ্যাবার্ডই ছিলেন একমাত্র অশ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রাথমিক প্রতিনিধিসহ প্রার্থী যাকে ২০২০ সালের গণতান্ত্রিক জাতীয় সম্মেলনে ডেমোক্র্যাটিক দল আমন্ত্রণ জানায় নি ।[৭১]

নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম[সম্পাদনা]

২০২১ সালের ২ এপ্রিল তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর করা হিন্দু হত্যার নিন্দা করেন।এছাড়া তিনি ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় সেখানে হিন্দু মন্দিরগুলোতে হামলার কথাও তুলে ধরেন ।এর আগে তিনি বাংলাদেশে হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দির ও ইসকনের কাহারোল মন্দিরে হামলার তিনি নিন্দা করেন। তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত‌ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটকে এই দুটি মন্দিরে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখতে অনুরোধ করেন।[৭২][৭৩][৭৪][৭৫] তিনি বাংলাদেশী হিন্দুদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য কংগ্রেসে একটি রেজোলিউশন এনেছিলেন।[৭৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. USinPAC, March 29, 2016, Tulsi Gabbard. Retrieved May 21, 2017
  2. "Kamala Tulsi"Eisamay। ২০১৯-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬ 
  3. Nast, Condé (২০১৭-১০-৩০)। "What Does Tulsi Gabbard Believe?"The New Yorker (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  4. "The Gabbards: Raising Hawaii's next political star (Part 1)"www.hawaiinewsnow.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬ 
  5. "Tulsi Gabbard's Run for Congress Carries with it Many Hindu Hearts"web.archive.org। ২০১২-১১-০৫। Archived from the original on ২০১২-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬ 
  6. Nast, Condé (২০১৭-১০-৩০)। "What Does Tulsi Gabbard Believe?"The New Yorker (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  7. Service, Omar Sacirbey (২০১২-১১-০২)। "Hawaii Democrat poised to be elected first Hindu in Congress"Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৬ 
  8. "the indian american contenders"newamericamedia.org। ২০১৯-০১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬ 
  9. "Tulsi Gabbard's Run for Congress Carries with it Many Hindu Hearts | Indo American News"web.archive.org। ২০১২-১১-০৫। Archived from the original on ২০১২-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  10. "About Tulsi Gabbard | Tulsi Gabbard - Fighting for the people."www.votetulsi.com। ২০১৬-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  11. "The 10 biggest surprises of the conventions"Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  12. "State legislator 'honored' to serve country | The Honolulu Advertiser | Hawaii's Newspaper"the.honoluluadvertiser.com। ২০১২-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  13. "Meet the Incoming Congressional Class Veterans"PBS NewsHour (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  14. "From Hawaii to the Hill | Washingtonian (DC)"Washingtonian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৫-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  15. Gabbard, Tulsi (২০১৯-১২-৩১)। Is Today the Day? 
  16. http://files.hawaii.gov/elections/files/results/2012/primary/histatewide.pdf
  17. http://files.hawaii.gov/elections/files/results/2012/general/histatewide.pdf
  18. Basu, Tanya (২০১৫-০৩-০৫)। "America Has its First Hindu in Congress—and She's Not of Indian Origin"The Atlantic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  19. "Tulsi Gabbard becomes first Hindu-American in US Congress"newstrackindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  20. Balachandran, Manu; Balachandran, Manu। "Tulsi Gabbard, the first Hindu in US Congress, on Modi, Hinduism, and linking Islam to terror"Quartz India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  21. "Gabbard Comments Following TPP Finalized Agreement"Big Island Now | Gabbard Comments Following TPP Finalized Agreement (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  22. "Wall Street Reform | Tulsi Gabbard - Fighting for the people."www.votetulsi.com। ২০১৯-০৫-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  23. "tulsi gabbards pivot lgbt issues not uncommon socially conservative democrats"washingtonpost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  24. "Tulsi Gabbard Bio, Facts, Family"celebsfacts। Celebrities Facts। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০১ 
  25. "Rep. Tulsi Gabbard of Hawaii says she will seek the 2020 Democratic nomination for president"washingtonpost.com। ২০১৯-০৫-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  26. "Presidential contender Tulsi Gabbard supports and criticizes Israel - American Politics - Jerusalem Post"www.jpost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  27. "অস্থির সময়ে ভগবত গীতায় 'শান্তি' খুঁজে পেলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  28. Dutta, Koushik (২০২০-০৬-১৩)। "এই কঠিন সময়ে ভগবদ্গীতা আপনাকে শক্তি আর শান্তি দিতে পারবেঃ আমেরিকান সাংসদ তুলসী গাবার্ড- Bangla News"Bangla Hunt (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  29. "Vaishnava Congresswoman Tulsi Gabbard Aims for Servant Leadership"। ২০২১-০২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  30. "শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২য় অধ্যায়: সাংখ্যযোগ-এর শ্লোক ও অনুবাদ: বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়..."www.anupamasite.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  31. Aajbangla (২০২১-০৫-১০)। "তুলসী গব্বার্ডঃ মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু প্রতিনিধি তুলসী গ্যাবার্ড"Aaj Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  32. "প্রতিবিম্ব"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  33. "Tulsi lists challenges before U.S."The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। Special Correspondent। ২০১৪-১২-২২। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৫ 
  34. desk, ABP Ananda, web (২০১৬-০৮-২৬)। "বিপক্ষের অভিযোগ, তিনি 'শয়তানের উপাসক', ধর্মবিদ্বেষের শিকার মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য তুলসী গাবার্ড"bengali.abplive.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৬ 
  35. "প্রতিবিম্ব"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  36. "তুলসী গাবার্ড"EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৪ 
  37. CNN, Dan Merica and Arlette Saenz। "Tulsi Gabbard officially launches 2020 campaign after rocky start"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৬ 
  38. News, A. B. C.। "Hawaii Rep. Tulsi Gabbard changes course on impeachment inquiry"ABC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৬ 
  39. CNN, Dan Merica and Arlette Saenz। "Tulsi Gabbard officially launches 2020 campaign after rocky start"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৬ 
  40. Concha, Joe (জুন ২৭, ২০১৯)। "Gabbard is most searched on Google after Democratic debate"The Hill। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৯ 
  41. LeBlanc, Paul (আগস্ট ১, ২০১৯)। "Tulsi Gabbard breaks through in fiery debate performance"। CNN। 
  42. "Gabbard, Again Most Googled Candidate, Slams 'Despicable' CNN, NYT Coverage of Her Syria Policy"Haaretz। অক্টোবর ১৬, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৬, ২০১৯ 
  43. Santucci, Jeanine (আগস্ট ২৯, ২০১৯)। "Tulsi Gabbard tells Fox News host Tucker Carlson that DNC debate criteria isn't transparent"USA Today। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৯, ২০১৯ 
  44. Stevens, Matt (সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯)। "Tulsi Gabbard Qualifies for Next Debate, Bringing Lineup to 12"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯ 
  45. Lerer, Lisa (অক্টোবর ১২, ২০১৯)। "What, Exactly, Is Tulsi Gabbard Up To?"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৯ 
  46. Morin, Rebecca। "Gabbard considering boycotting October debate, claims DNC and media are 'trying to hijack' election"USA Today। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৯ 
  47. Lerer, Lisa (অক্টোবর ১৪, ২০১৯)। "Democratic Debate: Tulsi Gabbard, After Threatening Boycott, Will Participate on Tuesday"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৯ 
  48. Stracqualursi, Veronica (২০১৯-০৭-২০)। "Tulsi Gabbard joins Puerto Rico protests: 'The most important thing is a corrupt governor steps down' - CNN Politics"CNN (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৬ 
  49. Segers, Grace (২০১৯-০৭-২০)। "Tulsi Gabbard joins protesters in Puerto Rico and urges governor to resign"CBS News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৬ 
  50. Murphy, Mike। "Turns out Hillary Clinton said Republicans — not Russians — were grooming Tulsi Gabbard"MarketWatch (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২ 
  51. "Jill Stein joined several 2020 Democratic candidates in rebuking Hillary Clinton's latest Russian "conspiracy theory""Newsweek। অক্টোবর ১৯, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৪, ২০১৯ 
  52. "Jill Stein Ridicules Hillary Clinton's Russian Asset 'Conspiracy Theory' About Tulsi Gabbard"Newsweek। অক্টোবর ১৯, ২০১৯। 
  53. "Hillary Clinton suggests Russians are 'grooming' Tulsi Gabbard for third-party run"CNN। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৭, ২০১৯ 
  54. "Hillary Clinton says Russians are 'grooming' a 2020 candidate for third-party run"ABC News। অক্টোবর ১৮, ২০১৯। 
  55. Johnson, Martin (অক্টোবর ১৯, ২০১৯)। "Yang defends Gabbard: She 'deserves much more respect'"TheHill। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২০, ২০১৯Tulsi Gabbard deserves much more respect and thanks than this. She literally just got back from serving our country abroad. 
  56. Duster, Chandelis। "Pete Buttigieg dismisses claim that Tulsi Gabbard is a 'Russian asset'"CNN। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৩, ২০১৯ 
  57. Santucci, Jeanine। "Bernie Sanders defends Tulsi Gabbard, says claim that she's a Russian asset is 'outrageous'"USA TODAY (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২২, ২০১৯ 
  58. Forgery, Quint (অক্টোবর ২৫, ২০১৯)। "Gabbard says she won't run for reelection to Congress in 2020"Politico। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৯ 
  59. "Trump defends Gabbard in Clinton spat, says she's no agent"Associated Press। অক্টোবর ২১, ২০১৯। 
  60. Peterson, Beatrice (জানুয়ারি ২২, ২০২০)। "Rep. Tulsi Gabbard files defamation lawsuit against Hillary Clinton"ABC News। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২২, ২০২০ 
  61. Dan Merica (মে ২৭, ২০২০)। "Tulsi Gabbard drops defamation lawsuit against Hillary Clinton"। CNN। 
  62. Dayton, Kevin (জানুয়ারি ২২, ২০২০)। "Tulsi Gabbard sues Hillary Clinton over 'Russian asset' line"Honolulu Star-Advertiser। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১ 
  63. Medenilla, Klarize (২০১৯-০৮-১৭)। "In conversation: Tulsi Gabbard wants to restore America as a model for diplomacy, equality —"Asian Journal News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  64. "Finding Your Roots: Roots in Politics"PBS KERA 
  65. Touchberry, Ramsey (২০২০-০৩-০৯)। "Tulsi Gabbard, with only two delegates, isn't the first candidate to stay in the race this long"Newsweek (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  66. Peterson, Beatrice। "Why Hawaii Rep. Tulsi Gabbard is continuing her bid for president"ABC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  67. Fung, Katherine (২০২০-০৮-২১)। "Tulsi Gabbard, the only non-white Dem candidate with primary delegates, confirms she was not invited to DNC"Newsweek (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  68. "Tulsi Gabbard Ends Presidential Campaign"USA Today 
  69. "Gabbard ends long shot bid"Orange County Register 
  70. "Tulsi Gabbard drops out of the Democratic presidential primary"। CNBC। 
  71. EDT, Katherine Fung On 8/21/20 at 11:50 AM (২০২০-০৮-২১)। "Tulsi Gabbard, the only non-white Dem candidate with primary delegates, confirms she was not invited to DNC"Newsweek (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৬ 
  72. vina (২০১৬-০১-১০)। "Tulsi Gabbard Responds to ISKCON Bangladesh Attack"VINA - Vaishnava Internet News Agency (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১ 
  73. DelhiDecember 11, India Today Web Desk New; December 11, 2015UPDATED:; Ist, 2015 13:29। "Iskcon temple attacked in Bangladesh, 2 injured"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১ 
  74. প্রতিনিধি, দিনাজপুর; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "কান্তজীউ মন্দিরে বোমা হামলা: দুই 'জেএমবি' রিমান্ডে"bangla.bdnews24.com। ২০২১-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১ 
  75. "Somoy Tv News"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১ 
  76. ডেস্ক, বঙ্গদেশ (২০২১-০৪-০৩)। "ইসলামিক বাংলাদেশে হিন্দু গণহত্যা,নির্যাতন নিয়ে সরব হলেন মার্কিন সিনেট সদস্য তুলসী গ্যাবার্ড"বঙ্গদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]