তিমিশোয়ারা
তিমিশোয়ারা | |
---|---|
পৌরসভা ও কাউন্টি আসন | |
ডাকনাম: লিটল ভিয়েনা (রোমানীয়: Mica Vienă), গোলাপের শহর (রোমানীয়: Orașul florilor), উদ্যানের শহর (রোমানীয়: Orașul parcurilor)[১] | |
স্থানাঙ্ক: ৪৫°৪৫′৩৫″ উত্তর ২১°১৩′৪৮″ পূর্ব / ৪৫.৭৫৯৭২° উত্তর ২১.২৩০০০° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | রোমানিয়া |
উন্নয়ন অঞ্চল | পশ্চিম |
কাউন্টি | তিমিশ কাউন্টি |
প্রথম দাপ্তরিক নথি | ১২১২ (রাজকীয় দুর্গের থিম হিসাবে)[২] |
সরকার | |
• মেয়র (২০২০–২০২৪) | ডমিনিক ফ্রিৎজ[৩] (ইউএসআর প্লাস) |
• সহকারি মেয়র | রুবেন লাৎসক্যউ (ইউএসআর প্লাস) কসমিন তাবারা (পিএনএল) |
আয়তন[৪] | |
• পৌরসভা ও কাউন্টি আসন | ১২৯.২৭ বর্গকিমি (৪৯.৯১ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২,৬৩৫.৪৭ বর্গকিমি (১,০১৭.৫৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯০ মিটার (৩০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১-এর আদমশুমারি)[৬] | |
• পৌরসভা ও কাউন্টি আসন | ৩,১৯,২৭৯ |
• আনুমানিক (২০১৬)[৭] | ৩,৩২,৯৮৩ |
• ক্রম | ৩য় (ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৮০তম) |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৪,৬৮,১৬২ [৫] |
বিশেষণ | timișorean, timișoreancă (রোমানীয়) temesvári (হাঙ্গেরীয়) temeswarer, temeswarin (জার্মান) |
সময় অঞ্চল | ইইটি (ইউটিসি+০২:০০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | ইইএসটি (ইউটিসি+৩) |
পোস্টাল কোড | ৩০০০০১–৩০০৯৯০ |
টেলি. কোড | ০২৫৬/০৩৫৬ |
কার প্লেট | টিএম |
জলবায়ু | সিএফব |
ওয়েবসাইট | www |
তিমিশোয়ারা হল তিমিশ কাউন্টির রাজধানী শহর এবং পশ্চিম রোমানিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বেগা নদীর তীরে অবস্থিত, তিমিশোয়ারাকে ঐতিহাসিক বানাতের অনানুষ্ঠানিক রাজধানী শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেটিকে আজকাল ট্রান্সিলভেনিয়ার একটি উপ-অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এটি ১৮৪৮ সাল থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত সার্বীয় ভোজভোডিনার রাজধানী এবং সার্বীয় ভয়ভোডশিপ ও তেমেশওয়ারের বানাতের ছিল। তিমিশোয়ারা ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ৩,১৯,২৭৯ জন বাসিন্দার সঙ্গে বুখারেস্ট ও ক্লুজ-নাপোকার পরে দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর ছিল। শহরটির মহানগর অঞ্চল প্রায় অর্ধ মিলিয়ন বাসিন্দার আবাসস্থল, যখন টিমিশোয়ারা-আরাদ শহুরে অঞ্চলে টিমিশ ও আরাদ কাউন্টির জনসংখ্যার ৭০% এরও বেশি কেন্দ্রীভূত রয়েছে। তিমিশোয়ারা একটি বহুসংস্কৃতির শহর, যেখানে ২১ টি ভিন্ন জাতিসত্তা ও ১৮ টি ধর্মের উপস্থিতি রয়েছে।[৮] আন্তঃসাংস্কৃতিকতা দীর্ঘদিন ধরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্পা রিসর্ট বুজিয়াশ ও ব্যইলে ক্যলাচা শহর থেকে যথাক্রমে ৩০ কিমি ও ২৭ কিমি দূরে অবস্থিত, স্থান দুটি রোমান সময় থেকে আরোগ্য জলের বৈশিষ্ট্যের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অটোমান তুর্কিদের কাছ থেকে অস্ট্রীয়দের দ্বারা ১৭১৬ সালে জয়লাভ করা, তিমিশোয়ারা পরবর্তী শতাব্দীতে দুর্গের সঙ্গে ও চারপাশে অবস্থিত শহুরে কেন্দ্রে বিকশিত হয়েছিল। ১৯তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, সামরিক প্রযুক্তিতে অনেক উন্নয়নের কারণে দুর্গটি তার উপযোগিতা হারাতে শুরু করে। প্রাক্তন দুর্গ ও সামরিক স্থানসমূহ ভেঙে ফেলা হয় এবং নতুন বুলেভার্ড ও উপকণ্ঠের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।[৯] তিমিশোয়ারা হ্যাবসবার্গ রাজতন্ত্রের প্রথম শহর হিসাবে রাস্তার আলো (১৭৬০) এবং রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতি দ্বারা ১৮৮৪ সালে আলোকিত প্রথম ইউরোপীয় শহর।[১০] এই শহরে হ্যাবসবার্গ রাজতন্ত্রে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি খোলা হয় এবং এখানে ভিয়েনার ২৪ বছর আগে পৌর হাসপাতাল তৈরি করা হয়।[১০] এছাড়াও, এটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে প্রথম জার্মান সংবাদপত্র প্রকাশ করে (টেমসওয়ারের নাচরিচটেন)। তিমিশোয়ারা রোমানীয় বিপ্লবের সূচনা বিন্দু ছিল।[১১]
তিমিশোয়ারা হল রোমানিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্রসমূহের মধ্যে একটি, শহরের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০,০০০ জন শিক্ষার্থী নথিভুক্ত রয়েছে। রোমানিয়ার অন্যান্য অনেক বড় শহরের মতো, তিমিশোয়ারা বিশেষ করে দাঁতের যত্ন ও কসমেটিক সার্জারির জন্য একটি চিকিৎসা পর্যটন পরিষেবা প্রদান করে।[১২] তিমিশোয়ারা রোমানীয় চিকিৎসায় বেশ কিছু অগ্রগতি করেছে, যার মধ্যে প্রথম ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন, প্রথম লেজার হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার ও প্রথম স্টেম সেল প্রতিস্থাপন।[১০] একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসাবে, শহরটিতে বুখারেস্ট, ক্লুজ-নাপোকা, ইয়াসি এবং ব্রাসভের পাশাপাশি রোমানিয়ার অন্যতম শক্তিশালী আইটি খাত রয়েছে। তিমিশোয়ারাতে ২০১৩ সালে বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি ছিল।[১৩]
"লিটল ভিয়েনা" বা "ফুলের শহর" ডাকনামের সঙ্গে তিমিশোয়ারা বিপুল সংখ্যক ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং ৩৬ টি উদ্যান ও সবুজ স্থানের জন্য সুপরিচিত।[১৪] ওরাদিয়ার সঙ্গে তিমিশোয়ারা আর্ট নুউভু ইউরোপীয় রুটের অংশ।[১৫] শহরটি ইউরোসিটিসের সদস্য।[১৬] শহরের তিনটি রাষ্ট্রীয় থিয়েটার, অপেরা, ফিলহারমোনিক এবং অন্যান্য অনেক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তিমিশোয়ারার একটি খুব সক্রিয় সাংস্কৃতিক দৃশ্য রয়েছে। শহরটি ২০২৩ সালে পরবর্তী ইউরোপীয় সংস্কৃতির রাজধানী হবে।[১৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Strutz, Rudolf J. (২০১৩)। Timișoara। JR-Design।
- ↑ "Timișoara"। Arcanum।
- ↑ "Results of the 2020 local elections"। Central Electoral Bureau। ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২১।
- ↑ "Studiu de potențial privind dezvoltarea la nivelul municipiilor Timișoara și Arad" (পিডিএফ)। Fonduri UE। পৃষ্ঠা 8–9।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Tab3. Populația stabilă pe sexe și grupe de vârstă – județe, municipii, orașe, comune"। Institutul Național de Statistică। ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Populația României pe localități la 1 ianuarie 2016 (după domiciliu)" (পিডিএফ)। Institutul Național de Statistică। ২০১৬। আইএসএসএন 2066-2181।
- ↑ "Strategia de dezvoltare integrată a polului de creștere Timișoara 2015-2020" (পিডিএফ)। Primăria municipiului Timișoara। ২০১৬। ২৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Glăvan, Ciprian (২০১৩)। "Defortificarea cetății Timișoara" (পিডিএফ)। Analele Banatului, Arheologie–Istorie। XXI: 421–430। ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ গ "Premiere ale orașului Timișoara"। Timisoara-Info.ro। ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Chapple, Amos (১৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Romania's Revolution, Then And Now"। Radio Free Europe/Radio Liberty।
- ↑ Deaconescu, Roxana (২৮ অক্টোবর ২০১৪)। "Turism medical în Timișoara: cât de pregătiți suntem să primim bolnavi străini și ce le putem oferi? FOTO!"। Opinia Timișoarei।
- ↑ "Romanian city comes out first in the world in Internet download speed ranking"। Romania-Insider.com। ৩ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Deaconescu, Roxana (৫ মে ২০১৪)। "Parcurile din Timișoara, promovate pe Youtube. Tu știi câte parcuri există în capitala Banatului?"। Opinia Timișoarei।
- ↑ "Cities"। Art Nouveau European Route।
- ↑ "Timișoara"। Eurocities।
- ↑ "Coronavirus: Commission proposes to extend 2020 European Capitals of Culture into 2021"। European Commission। ১৮ আগস্ট ২০২০।