বিষয়বস্তুতে চলুন

তিমবুকতু

স্থানাঙ্ক: ১৬°৪৬′৩৩″ উত্তর ৩°০০′৩৪″ পশ্চিম / ১৬.৭৭৫৮৩° উত্তর ৩.০০৯৪৪° পশ্চিম / 16.77583; -3.00944
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তিমবুকতু
Tumbutu (Koyra Chiini Songhay)
Tin Bukt (Tamashek)

হিমবা
শহর
নামসমূহ প্রতিলিপি
 • তামাশেকটেমপ্লেট:Script/Tifinagh
تِينْ بُكْتْ
 • কয়রা চিইনিتُمْبُتُ
তিমবুকতু শহরের আকাশ থেকে তোলা দৃশ্য
মানচিত্রে প্রধান আন্তঃসাহারা কাফেলা পথ দেখানো হয়েছে (আনু.  1400)। এছাড়া ঘানা সাম্রাজ্য (১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত) ও মালি সাম্রাজ্য-ও (১৩শ থেকে ১৫শ শতাব্দী) দেখানো হয়েছে। পশ্চিমের পথটি জেনে থেকে তিমবুকতু হয়ে সিজিলমাসা পর্যন্ত চলে গেছে। বর্তমান নাইজার দেশটিকে হলুদ রঙে দেখানো হয়েছে।
মানচিত্রে প্রধান আন্তঃসাহারা কাফেলা পথ দেখানো হয়েছে (আনু.  1400)। এছাড়া ঘানা সাম্রাজ্য (১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত) ও মালি সাম্রাজ্য-ও (১৩শ থেকে ১৫শ শতাব্দী) দেখানো হয়েছে। পশ্চিমের পথটি জেনে থেকে তিমবুকতু হয়ে সিজিলমাসা পর্যন্ত চলে গেছে। বর্তমান নাইজার দেশটিকে হলুদ রঙে দেখানো হয়েছে।
তিমবুকতু মালি-এ অবস্থিত
তিমবুকতু
তিমবুকতু
মালিতে তিমবুকতু শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৬°৪৬′৩৩″ উত্তর ৩°০০′৩৪″ পশ্চিম / ১৬.৭৭৫৮৩° উত্তর ৩.০০৯৪৪° পশ্চিম / 16.77583; -3.00944
Country মালি
প্রশাসনিক অঞ্চলতোমবুকতু প্রশাসনিক অঞ্চল
সের্কল (সার্কেল)তিমবুকতু সের্কল
Settledখ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী
আয়তন[]
 • স্থলভাগ২১ বর্গকিমি (৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা২৬১ মিটার (৮৫৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০৯)[][]
 • মোট৫৪,৪৫৩
মানদণ্ডCultural: ii, iv, v
সূত্র119
তালিকাভুক্তকরণ1988 (১২তম সভা)
বিপদাপন্ন1990–2005; 2012–present

তিমবুকতু (বিকল্পে তোমবুকতু বা তিমবাকতু) উত্তর আফ্রিকার দেশ মালি-র একটি প্রাচীন শহর, যেটি নাইজার নদী থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। এটি মালির আটটি প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে একটি প্রশাসনিক অঞ্চল তোমবুকতু প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী। ২০১৮ সালের জনগণনা অনুসারে এর জনসংখ্যা ৩২,৪৬০।

প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে মধ্যযুগীয় পর্বে ইসলামী পাণ্ডিত্যের কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্ব লাভের আগেই এই অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক বসতি ছিল। তিমবুকতু একটি মৌসুমী বসতি হিসেবে শুরু হয়েছিল এবং দ্বাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এখানে মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। বাণিজ্য পথে পরিবর্তনের পর, বিশেষ করে ১৩২৫ সালের দিকে মানসা মুসার সফরের পর লবণ, সোনা এবং হাতির দাঁতের বাণিজ্যে কৌশলগত অবস্থানের কারণে তিমবুকতু সমৃদ্ধ হয়। এটি ধীরে ধীরে সাহারা মরুভূমির বাণিজ্য পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী শহর হিসেবে সম্প্রসারণ লাভ করে এবং ১৪শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মালি সাম্রাজ্যে অঙ্গীভূত হওয়ার আগে অনেক পণ্ডিত ও ব্যবসায়ীকে আকৃষ্ট করে। ১৫শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তুয়ারেগ নৃগোষ্ঠীর লোকেরা নাতিদীর্ঘ সময়ের জন্য শহরটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। কিন্তু ১৪৬৮ সালে সম্প্রসারণশীল সোংহাই সাম্রাজ্য এটিকে অঙ্গীভূত করে নেয়।

১৫৯১ সালে মরক্কোর একটি সেনাবাহিনী সোংহাইকে পরাজিত করে এবং তিমবুকতু শহরকে তাদের রাজধানী নির্ধারণ করে। আক্রমণকারীরা আরমা নামের একটি নতুন শাসকশ্রেণী প্রতিষ্ঠা করে, যারা ১৬১২ সালের পর মরক্কো থেকে কার্যত স্বাধীন হয়ে ওঠে। স্বর্ণযুগের সময় শহরের ইসলামী পণ্ডিতবৃন্দ এবং বিস্তৃত বাণিজ্য জালকব্যবস্থার সুবাদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বইপুস্তকের বাণিজ্য গড়ে ওঠে। এর পাশাপাশি সানকোরে মাদ্রাসা নামক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায়তনগুলির কারণে তিমবুকতু আফ্রিকার একটি উচ্চশিক্ষা কেন্দে হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শাবেনি এবং লিও আফ্রিকানাসের মতো উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রচয়িতারা এই শহর সম্পর্কে লিখেছেন। এই গল্পগুলি ইউরোপে জল্পনা-কল্পনাকে উস্কে দেয়, যেখানে প্রথমে ধনী ও পরবর্তীতে রহস্যময় এক শহর হিসেবে তিমবুকতুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। শহরের স্বর্ণযুগের সময় এটি মালি সাম্রাজ্যের একটি প্রধান শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় ধরে শহরের অবক্ষয় ঘটে। ১৮৯৩ সালে ফরাসিদের মালি দখলের আগ পর্যন্ত এখানে বিভিন্ন উপজাতি শাসন করেছিল। ফরাসিরা ১৯৬০ সালে দেশটি মালি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে তিমবুকতু চরমপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীর হুমকির সম্মুখীন হয়, যারা শহরের অনেক সাংস্কৃতিক স্থান ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শহরের ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সমস্যাগুলির ফলে শহরের জনসংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "2016 TOMBOUCTOU PRIX INTERNATIONAL CGLU-VILLE DE MEXICO-CULTURE 21 CATÉGORIE VILLE/GOUVERNEMENT LOCAL GAGNANT 2016" (পিডিএফ)United Cities and Local Governments। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  2. "A Guide to Timbuktu"education.nationalgeographic.org 

উৎসপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • Barth, Heinrich (১৮৫৭), Travels and discoveries in North and Central Africa: Being a journal of an expedition undertaken under the auspices of H. B. M.'s government, in the years 1849–1855, New York: Harper & Brothers . Google books: Volume 1, Volume 2, Volume 3. |internet Archive: Volume 3.
  • Caillié, Réné (১৮৩০), Travels through Central Africa to Timbuctoo; and across the Great Desert, to Morocco, performed in the years 1824–1828, London: Colburn & Bentley . Google books: Volume 1, Volume 2.
  • Cleaveland, Timothy (২০০৮), "Timbuktu and Walata: lineages and higher education", Jeppie, Shamil; Diagne, Souleymane Bachir, The Meanings of Timbuktu (পিডিএফ), Cape Town: HSRC Press, পৃষ্ঠা 77–91, আইএসবিএন 978-0-7969-2204-5, ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১২ .
  • Dubois, Felix (১৮৯৬), Timbuctoo the mysterious, Tombouctou la mystérieuse.English.1896, White, Diana কর্তৃক অনূদিত, New York: Longmans, hdl:2027/mdp.39015008010343অবাধে প্রবেশযোগ্য .
  • Hammer, Joshua (২০১৬)। The Bad-Ass Librarians of Timbuktu And Their Race to Save the World's Most Precious Manuscripts। New York: Simon & Schuster। আইএসবিএন 978-1-4767-7743-6 
  • Hacquard, Augustin (১৯০০), Monographie de Tombouctou, Paris: Société des études coloniales & maritimes . Also available from Gallica.
  • Heath, Jeffrey (১৯৯৯), A Grammar of Koyra Chiini: the Songhay of Timbuktu, Berlin: Walter de Gruyter, আইএসবিএন 9783110162851 .
  • Hunwick, John O. (২০০৩), Timbuktu and the Songhay Empire: Al-Sadi's Tarikh al-Sudan down to 1613 and other contemporary documents, Leiden: Brill, আইএসবিএন 978-90-04-12560-5 . আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-০৪-১২৮২২-৪ (paperback) First published in 1999 as আইএসবিএন ৯০-০৪-১১২০৭-৩.
  • Insoll, Timothy (২০০২), "The Archaeology of Post Medieval Timbuktu" (পিডিএফ), Sahara, 13: 7–22, ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা .
  • Insoll, Timothy (২০০৪), "Timbuktu the less Mysterious?" (পিডিএফ), Mitchell, P.; Haour, A.; Hobart, J., Researching Africa's Past. New Contributions from British Archaeologists, Oxford: Oxbow, পৃষ্ঠা 81–88, ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ .
  • Jackson, James Grey (১৮২০), An Account of Timbuctoo and Housa, Territories in the Interior of Africa By El Hage Abd Salam Shabeeny, London: Longman, Hurst, Rees, Orme, and Brown .
  • Jeppie, Shamil (২০০৮), "Re/discovering Timbuktu", Jeppie, Shamil; Diagne, Souleymane Bachir, The Meanings of Timbuktu (পিডিএফ), Cape Town: HSRC Press, পৃষ্ঠা 1–17, আইএসবিএন 978-0-7969-2204-5, ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ .
  • Leo Africanus (১৮৯৬), The History and Description of Africa (3 Vols), Brown, Robert, editor, London: Hakluyt Society . A facsimile of Pory's English translation of 1600 together with an introduction and notes by the editor. Internet Archive: Volume 1, Volume 2, Volume 3
  • Medupe, R.T.; Warner, B.; Jeppie, S.; Sanogo, S.; Maiga, M.; Maiga, A.; Dembele, M.; Diakite, D.; Tembely, L.; Kanoute, M.; Traore, S.; Sodio, B.; Hawkes, S. (২০০৮)। "The Timbuktu Astronomy Project"। Holbrook, J.; Medupe, R.T.; Urama, J.O.। African Cultural Astronomy। Astrophysics and Space Science Proceedings। Springer, Dordrecht। পৃষ্ঠা 179–188। আইএসবিএন 978-1-4020-6639-9ডিওআই:10.1007/978-1-4020-6639-9_13 
  • Miner, Horace (১৯৫৩), The Primitive City of Timbuctoo, Princeton University Press . Link requires subscription to Aluka. Reissued by Anchor Books, New York in 1965.
  • Park, Douglas (২০১০), "Timbuktu and its prehistoric hinterland", Antiquity, 84 (326): 1076–1088, এসটুসিআইডি 161730981, ডিওআই:10.1017/S0003598X00067090 .
  • Park, Douglas (২০১১)। Climate Change, Human Response and the Origins of Urbanism at Prehistoric Timbuktu (PhD)। New Haven: Yale University, Department of Anthropology। .
  • Saad, Elias N. (১৯৮৩), Social History of Timbuktu: The Role of Muslim Scholars and Notables 1400–1900, Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0-521-24603-3 .

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Niger River টেমপ্লেট:Communes of the Tombouctou Region