তামাপিঠ লাটোরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তামাপিঠ লাটোরা
Lanius vittatus
L. vittatus অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Laniidae
গণ: Lanius
প্রজাতি: L. vittatus
দ্বিপদী নাম
Lanius vittatus
(Valenciennes, 1826)
L. vittatus সুলতানপুর ন্যাশনাল পার্ক গুরগাঁও জেলা হরিয়াণা, ভারত.

তামাপিঠ লাটোরা (ইংরেজি: bay-backed shrike) বৈজ্ঞানিক নাম (Lanius vittatus) দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা যায়। এটি একটি পরিযায়ী পাখি

বিবরণ[সম্পাদনা]

তামাপিঠ লাটোরা পাখির দেহের দৈর্ঘ্য ১৮ সেন্টিমিটার, ওজন ২০ গ্রাম। ডানা ৮.৫ সেমি, ঠোঁট ১.৭ সেমি, পা ২.৩ সেমি আর লেজ ৮.৮ সেমি।[২] প্রাপ্তবয়স্ক পাখির পিঠ কালো, সাদা ও মেরুন রঙে বৈচিত্র্যময়। দেহের নিচের দিক সাদা। কালো লেজের আগা ও পাশ সাদা। মাথার চাঁদি ও ঘাড়ের পেছনের অংশ ফিকে ধূসর। কাঁধের পালক গাঢ় মেরুন। কোমর ও গলার পালক সাদাটে। মেয়ে পাখির মাথার চাঁদিও কালো ফিতা সরু। চোখ বাদামি, ঠোঁট কালচে বাদামি।

স্বভাব ও খাদ্যাভ্যাস[সম্পাদনা]

এই পাখির খাদ্যতালিকায় রয়েছে পঙ্গপাল, ঝিঁঝি পোকা, ফড়িং, টিকটিকি, ছোট ইঁদুর ইত্যাদি। দক্ষিণ এশিয়ার বেশকটি দেশে এই পাখিটি দেখা যায়। ভারত, নেপাল, ভুটান, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানবাংলাদেশের এ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। তবে নিয়মিত বাংলাদেশে আসে না। এটি বিশ্বে বিপদমুক্ত (বিপন্ন নয়) পাখি বলে বিবেচিত। এটি পরিযায়ী পাখি[৩]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Lanius vittatus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন: সেই পাখিটি ফিরে এলো ৭০ বছর পর!
  3. দৈনিক প্রথম আলো, মুদ্রিত সংস্করণ, শেষ পাতা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ইং

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]