তাজিকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাজিকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক
মানচিত্র Tajikistan এবং Turkey অবস্থান নির্দেশ করছে

তাজিকিস্তান

তুরস্ক

তাজিকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক, তাজিকিস্তান এবং তুরস্ক এর মাঝে বিদ্যমান দিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। দুই দেশের মাঝে অত্যন্ত আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৯১ সাল থেকে এই দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৩০ এর অধিক চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে।[১]

তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে তুরস্কের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তাজিকিস্তানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।

আধুনিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

তাজিকিস্তান পূর্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে, যে ১৫ টি পৃথক এবং স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, তার একটি হল তাজিকিস্তান। তাজিকিস্তান ১৯৯১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাদের পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং তাজিকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, তুরস্ক, তাজিকিস্তানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয় এবং তাজিকিস্তান একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

১৯৯২ সালের ২৯ জানুয়ারি, আনুষ্ঠানিকভাবে তাজিকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৯২ সালে ৪ আগস্ট, দুশানবেতে তুরস্ক তাদের দূতাবাস চালু করে। অপরদিকে তার পরের বছর, ১৯৯৫ সালের ১৬ অক্টোবর, আঙ্কারায় তাজিকিস্তান তাদের দূতাবাস চালু করে।

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সাথে তুরস্কের সম্পর্কের কাঠামোর মাধ্যমে, তুরস্ক এবং তাজিকিস্তানের সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্যান্য মধ্য এশীয় দেশগুলোর তুলনায়, তাজিকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যাক্র সম্পর্ক ধীরে এগিয়েছে। এর কারণ হল, ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত চলা তাজিকিস্তানের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ। এই সময়কালে, দুশানবেতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসটিই ছিল, তাজিকিস্তানে চালু থাকা একমাত্র কূটনৈতিক দূতাবাস। আবার এই সময়ের মধ্যে, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, সুলেমা ডেমিরেল এর তাজিকিস্তান সফর ছিল একমাত্র উচ্চ পর্যায়ের সফর।

২০০৬ সালের ১৯-২২ জানুয়ারি, তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, ইমোমালি রাহমোন রাষ্ট্রীয় সফরে তুরস্ক যান। ২০০৯ সালের ২৯ জুন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি, আব্দুল্লাহ গুল রাষ্ট্রীয় সফরে তাজিকিস্তানে যান। সেই সফরে তিনি তাজিক রাষ্ট্রপতি রাহমোন এর সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে আলোচনা করেন।[২] এছাড়াও, এই দুই নেতা, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদী কার্যক্রম, অবৈধ অভিবাসন, মাদক এবং অস্ত্র পাচার, সংগঠিত অপরাধ প্রভৃতির বিরুদ্ধে নিজেদের সমবস্থানের বিষয়েও আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি, মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান এর রাজনৈতিক এবং সামজিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বের বিষয়েও আলোচনা করেন এই দুই নেতা।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Turkey's Political Relations With Tajikistan"তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১১-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০১ 
  2. "Gül to visit Kyrgyzstan, Tajikistan next week"। টুডেজ জামান। ২০০৯-০৫-২২। 
  3. "Turkey, Tajikistan to step up anti-terror cooperation"। টুডেজ জামান। ২০০৯-০৫-৩০।