বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্য
বজ্রযান বৌদ্ধধর্ম |
---|
তিব্বতি বৌদ্ধশাস্ত্র |
---|
১. কানগ্যুর |
2. Tengyur |
চীনা বৌদ্ধশাস্ত্র |
---|
বিভাগ |
বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্য হল বজ্রযান (বা মন্ত্রযান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিপুলায়তন ও বৈচিত্র্যময় সাহিত্য। এই ধারার আদিতম রচনাগুলি হল ভারতীয় বৌদ্ধ তান্ত্রিক ধর্মগ্রন্থের একটি বর্গ, যাকে তন্ত্র, সূত্র ও কল্প নামে চিহ্নিত করা হত। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক থেকে এগুলি রচিত হতে থাকে।[১] এরপর এই ধারায় রচিত হয় পরবর্তীকালের তান্ত্রিক টীকা (যাকে পঞ্জিকা ও টীকা উভয় নামেই চিহ্নিত করা হত), বজ্রযান লেখকদের মৌলিক রচনা (প্রকরণ ও উপদেশ), সাধনা (ধর্মানুশীলন-বিষয়ক গ্রন্থ), অনুষ্ঠান-সহায়িকা (কল্প বা বিধি), তান্ত্রিক গীতি-সংকলন (দোহা), স্তোত্র ও অন্যান্য রচনা। সংস্কৃত তিব্বতি ও চীনা সহ বিভিন্ন ভাষায় তান্ত্রিক বৌদ্ধ সাহিত্য বিদ্যমান রয়েছে। অধিকাংশ ভারতীয় উৎসগ্রন্থ সংস্কৃতে রচিত, কিন্তু অসংখ্য তান্ত্রিক রচনা তিব্বতি বা চীনার মতো অন্যান্য ভাষাতেও লেখা হয়।
বিবরণ
[সম্পাদনা]ইতিহাস
[সম্পাদনা]বৌদ্ধ তান্ত্রিক গ্রন্থগুলি সম্ভবত গুপ্তযুগেই (৩২০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) প্রথম লিখিত হয়েছিল।[২][৩] যদিও আদিতম জ্ঞাত তারিখায়নযোগ্য বৌদ্ধ তন্ত্রগ্রন্থটি হল মহাবৈরোচন তন্ত্র। আনুমানিক ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে চীনা তীর্থযাত্রী উ-হিং এটির কথা উল্লেখ করেন এবং এটি সংগ্রহ করেন।[৪]
উ-হিং আরও বলেছেন যে, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে তিনি যখন ভারতে আসেন সেই সময় মন্ত্রযান (চীনা: ঝেনযান জিয়াওফা, 真言教法) বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।[৫] পণ্ডিত ও অনুবাদক অমোঘবজ্র (৭০৪-৭৭৪ খ্রিস্টাব্দ) চীনে যাত্রা করেছিলেন। তিনি অষ্টম শতকে আঠারোটি তন্ত্রের এক প্রামাণ্য শাস্ত্ররাজির কথা উল্লেখ করেন।[৬]
কালক্রমে তান্ত্রিক পণ্ডিতেরা টীকা ও অনুশীলন-সহায়িকা গ্রন্থ রচনা শুরু করে তন্ত্রগ্রন্থের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৌদ্ধ তান্ত্রিক পরম্পরাগুলি মহাযান সূত্রাবলি ও ধারণী পাঠ-বিষয়ক গ্রন্থাবলির মতো প্রাচীনতর বৌদ্ধ গুহ্যাচার-বিষয়ক গ্রন্থ থেকে বিষয়বস্তু গ্রহণ করেছে।[৭] অধিকন্তু পূর্ববর্তী বৌদ্ধ পরম্পরাগুলিকে জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত একগুচ্ছ শাস্ত্র রাখা হত। এগুলিকে বলা হত বিদ্যাধর পিটক। এগুলিতে বিভিন্ন ধরনের আচার-অনুষ্ঠান ও মন্ত্রের (বিদ্যা) কথা লেখা ছিল।[৮] যিজিং এক বৌদ্ধ মন্ত্রবিদের বিবরণে এই গ্রন্থসংকলনের সঙ্গে গুহ্যাচারগুলির যুক্ত থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন।[৯]
বৌদ্ধ তন্ত্রগুলি শৈব ও শাক্ত ধর্মগ্রন্থ, স্থানীয় দেবদেবীদের কাল্ট ও যক্ষ ও নাগের পূজা-সংক্রান্ত আচার সহ বিভিন্ন অ-বৌদ্ধ পরম্পরার দ্বারা প্রভাবিতও হয়েছিল।[১০] বৌদ্ধ যোগিনীতন্ত্র গ্রন্থগুলিতে শৈব ও শাক্ত গ্রন্থ থেকে প্রচুর ঋণকৃত ধারণা রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমগ্র বাক্যাংশই নকল করা হয়েছে। আলেক্সিজ স্যান্ডারসন এই প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনা করেছেন।[১১] ফিলিস গ্র্যানোফ প্রমুখ গবেষকেরা অ-বৌদ্ধ উপাদান থেকে এই ধরনের ব্যাপক ঋণগ্রহণের বিষয়টিকে "আচারগত বৈচিত্র্য" ("ritual eclecticism") নামে অভিহিত করেছেন।[১২] ষোড়শ শতক পর্যন্ত ভারতে বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্য রচিত হতে থাকে।[১৩]
অনেক আদিযুগীয় বৌদ্ধ তন্ত্রগ্রন্থ (যেগুলিকে পরবর্তীকালে ক্রিয়াতন্ত্র নামে অভিহিত করা হয়) হল মূলত জাগতিক সমাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রযুক্ত জাদুমন্ত্রের সংকলন। এগুলিকে বলা হত মন্ত্রকল্প (মন্ত্র-সহায়িকা); এই সকল গ্রন্থে এগুলিকে তন্ত্র নামে অভিহিত করা হয়নি।[১৪] খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের পরবর্তীকালের তান্ত্রিক গ্রন্থগুলি (যেগুলিকে যোগতন্ত্র, মহাযোগ ও যোগিনীতন্ত্র নামে অভিহিত করা হয়েছিল) সহজে বুদ্ধত্ব অর্জনের জন্য কোনো দেবতার সঙ্গে যোগ স্থাপন (দেবতাযোগ), পবিত্র শব্দ (মন্ত্র) জপ, সূক্ষ্ম শরীরের পরিচালনা এবং অন্যান্য গুহ্য প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে।[১৫] কোনো কোনো তন্ত্রগ্রন্থে মদ্যপান ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সামগ্রী গ্রহণ এবং তৎসহ যৌনাচারের মতো বিধিবিরুদ্ধ ও সীমালংঘনকারী আচারের কথাও উল্লেখ করে।[৩] এই ধরনের কয়েকটি পরবর্তীকালীন বৌদ্ধ তন্ত্র (বিশেষত যোগিনীতন্ত্র) স্পষ্টতই শৈব বিদ্যাপীঠ শাস্ত্ররাজির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।[১]
বৌদ্ধ তন্ত্র দ্রুত ভারতের বাইরে প্রসার লাভ করে। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে ভারতের নিকটবর্তী তিব্বত ও নেপাল এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ায় সড়ক ও সমুদ্রবাণিজ্যের পথ ধরে তন্ত্র প্রসারিত হয়।[১] তাং রাজবংশের রাজত্বকালে বৌদ্ধ তন্ত্র চীনে পৌঁছায় এবং সেখানে এটি পরিচিত হয় তাংমি নামে। কুকাই (৭৭৪-৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ) বৌদ্ধ তন্ত্রকে জাপানে নিয়ে যান এবং সেখানে এর নাম হয় শিংগোন।[১৬] তান্ত্রিক গ্রন্থগুলি দু’টি ঐতিহাসিক পর্যায়কালে তিব্বতে আনীত হয়েছিল। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের গ্রন্থগুলিকে বলা হয় "আদি অনুবাদ" এবং একাদশ শতকের গ্রন্থগুলির নাম "দ্বিতীয় প্রচার" গ্রন্থমালা।[১৬] নেপাল, মঙ্গোলিয়া ও তিব্ববে বৌদ্ধ তন্ত্র প্রধান বৌদ্ধ পরম্পরা হয়েই রয়ে গিয়েছে। তিব্বতে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম বজ্রযান নামে পরিচিত।
তিব্বতি বর্গবিন্যাস
[সম্পাদনা]দুই ঐতিহাসিক কালপর্যায়ে তন্ত্রগ্রন্থগুলি তিব্বতে আনীত হয়েছিল: অষ্টম ও একাদশ শতাব্দীতে।[১৭] প্রাচীন অনুবাদ পরম্পরা (ন্যিংমা) ও পরবর্তীকালীন নব্য অনুবাদ পরম্পরাগুলি তন্ত্রগ্রন্থগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন বর্গের অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রাচীন অনুবাদ পরম্পরা
[সম্পাদনা]ন্যিংমা তন্ত্র সংকলনটি ন্যিংমা গ্যুবুম নামে পরিচিত। এটিতে তন্ত্রের ছয়টি বর্গ দেখা যায়:
- তিনটি বাহ্য তন্ত্র:
- ক্রিয়াযোগ
- চর্যাযোগ
- যোগতন্ত্র
- তিনটি অভ্যন্তরীণ তন্ত্র, যা অনুত্তরযোগতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ:
নব্য অনুবাদ পরম্পরা
[সম্পাদনা]সরমা বা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের নব্য অনুবাদ পরম্পরাগুলি (গেলুগ, সাক্য ও কাগ্যু) তন্ত্রগুলিকে চারটি বর্গে ভাগ করে:
- ক্রিয়াযোগ
- চর্যাযোগ
- যোগতন্ত্র
- অনুত্তরযোগতন্ত্র
- মাতৃতন্ত্র, যোগিনীতন্ত্র
- পিতৃতন্ত্র
- অদ্বয় তন্ত্র
বৌদ্ধ তন্ত্র গ্রন্থাবলির তালিকা
[সম্পাদনা]অনেক তন্ত্রগ্রন্থের শিরোনামেই "তন্ত্র" শব্দটির পরিবর্তে ধারণী, কল্প, রাজ্ঞী, স্তোত্র, দোহা ও সূত্র প্রভৃতি অভিধা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধান প্রধান তন্ত্রগ্রন্থগুলিতে ব্যাখ্যাতন্ত্র (ব্যাখ্যামূলক তন্ত্র), টীকা ও সাধনা সাহিত্যের মতো অপ্রধান সাহিত্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।[১৮] প্রধান বৌদ্ধ তন্ত্রগ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে:
- গুহ্যসমাজ তন্ত্র, পিতৃতন্ত্র বর্গ, (আনুমানিক পঞ্চম–অষ্টম শতাব্দী)
- মহাবৈরোচন তন্ত্র, চর্যাতন্ত্র বর্গ, (সপ্তম শতাব্দী)
- বজ্রপ্রজ্ঞাভিষেক তন্ত্র
- বজ্রশেখর সূত্র
- তত্ত্বসংগ্রহ তন্ত্র, যোগতন্ত্র বর্গ, (সপ্তম শতাব্দী)
- হেবজ্র তন্ত্র, মাতৃতন্ত্র বর্গ, (অষ্টম শতাব্দী)
- চক্রসম্বর তন্ত্র বা শ্রীহেরুকাভিধান, মাতৃতন্ত্র বর্গ (অষ্টম শতাব্দী)
- গুহ্যগর্ভ তন্ত্র, মাতৃতন্ত্র বর্গ
- সর্ববুদ্ধ সমযোগ, মাতৃতন্ত্র বর্গ
- বজ্রামৃত তন্ত্র, মাতৃতন্ত্র বর্গ
- বজ্রপঞ্জর তন্ত্র, মাতৃতন্ত্র বর্গ
- বজ্রভৈরব তন্ত্র বা যমন্তক তন্ত্র, পিতৃতন্ত্র বর্গ (অষ্টম শতাব্দী)
- মঞ্জুশ্রীমূলকল্প (অষ্টম শতাব্দী)
- সুরঙ্গম তন্ত্র (অষ্টম শতাব্দী)
- সুরঙ্গম মন্ত্র
- সুসিদ্ধিকার সূত্র (অষ্টম শতাব্দী)
- সর্বতথাগততত্ত্বসংগ্রহ সূত্র (অষ্টম শতাব্দী)
- কুরুকুল্লা তন্ত্র
- মহাকাল তন্ত্র
- সম্বরোদয় তন্ত্র
- বজ্রপাতাল তন্ত্র
- শ্রীবজ্রামৃত তন্ত্র
- মঞ্জুশ্রীনামসঙ্গীতি, অদ্বয় বর্গ
- মহাচীনাচার তন্ত্র
- মায়াজাল তন্ত্র
- অষ্টাদশ মানস গ্রন্থমালা (সেমদে) (নবম শতাব্দী)
- কালচক্র তন্ত্র, অদ্বয়তন্ত্র বর্গ (মধ্য একাদশ শতাব্দী)
- ব্যাপনস্থল বিষয়ক সপ্ত গ্রন্থ (একাদশ-চতুর্দশ শতাব্দী)
- মহাবর্ণতপরসরাণীরাজতন্ত্রনাম (সমন্তভদ্রের সর্বব্যাপী শূন্যতা-বিষয়ক রাজতন্ত্র)
- মেন্নগগদের সপ্তদশ তন্ত্র, দ্জোগচেন (একাদশ-চতুর্দশ শতাব্দী)
- সম্বর তন্ত্র
- মহামায়া তন্ত্র
- বজ্রযোগিনী তন্ত্র
- সর্বরহস্য তন্ত্র
- শ্রীপরমাদ্যতন্ত্র
- নীলকণ্ঠ ধারণী বা মহাকরুণা ধারণী (যা মহাকরুণা মন্ত্র নামে সমধিক পরিচিত)
- চণ্ডমহারোষণ তন্ত্র
- প্রজ্ঞোপ্যবিনিশ্চয়সিদ্ধি
- নারো চোস-দ্রুগ
- নিগু চোস-দ্রুগ
- মিলা গ্নুবুম
- গুহ্যসুখ সূত্র (তাচিকাওয়া-র্যু, আনুমানিক ১১১৪ খ্রিস্টাব্দ)
- কালিকাপুরাণ
- পদ্ম কাথাং সাংলিংমা
- বারদো থোদোল (১৩২৬–১৩৮৬)
- ন্যিংতিগ যবশি
- সপ্তরত্ন
- পদ্ম কাথাং শেলদ্রাকমা
- লোংচেন ন্যিংথিগ
- যুথোক ন্যিংথিগ
- রিনচেন তেরজো চেনমো
তন্ত্র রচয়িতা
[সম্পাদনা]সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগে বৌদ্ধ তন্ত্র অধিকতর পরিমাণে অনুশীলিত হতে শুরু করলে, মূলধারার বৌদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পণ্ডিতবর্গ সেই ধারাকে গ্রহণ করেন এবং বজ্রযানের আদর্শ অনুসারে সাধনা ও টীকা রচনা শুরু করেন। বিনয়তোষ ভট্টাচার্য লিখেছেন যে, প্রধান তন্ত্র রচয়িতাদের দু'টি প্রধান কালানুক্রমিক তালিকা রয়েছে। প্রথমটি তারানাথের রচনায় পাওয়া যায় এবং দ্বিতীয়টি পাওয়া যায় চক্রসম্বর তন্ত্রের কাজি দাওয়াসামদুপ-রচিত ভূমিকাটিতে।[১৯]
তারানাথের তালিকা:
- পদ্মবজ্র (আনুমানিক ৬৯৩ খ্রিস্টাব্দ), গুহ্যসিদ্ধি গ্রন্থের রচয়িতা
- অনঙ্গবজ্র (আনুমানিক ৭০৫ খ্রিস্টাব্দ), প্রজ্ঞোপায়বিনিশ্চয়সিদ্ধি গ্রন্থের রচয়িতা
- ইন্দ্রভূতি (আনুমানিক ৭১৭ খ্রিস্টাব্দ), জ্ঞানসিদ্ধি গ্রন্থের রচয়িতা
- ভগবতী লক্ষ্মী (আনুমানিক ৭২৯ খ্রিস্টাব্দ), অদ্বয়সিদ্ধি গ্রন্থের রচয়িত্রী
- লীলাবজ্র (আনুমানিক ৭৪১ খ্রিস্টাব্দ)
- দারিকাপা (আনুমানিক ৭৫৩ খ্রিস্টাব্দ)
- সহজযোগিনী (আনুমানিক ৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ)
- দোম্বি হেরুক (আনুমানিক ৭৭৭ খ্রিস্টাব্দ)
কাজি দাওয়াসামদুপের তালিকা:
- সরহ (নামান্তরে রাহুলভদ্র, আনুমানিক ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ)
- নাগার্জুন (পঞ্চকর্ম গ্রন্থের রচয়িতা, আনুমানিক ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ। ইনি মধ্যমক দার্শনিক নাগার্জুন নন)
- শবরীপা (আনুমানিক ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দ)
- লুইপা (আনুমানিক ৬৬৯ খ্রিস্টাব্দ)
- বজ্রঘণ্টা (আনুমানিক ৬৮১ খ্রিস্টাব্দ)
- কচ্ছপা (আনুমানিক ৬৯৩ খ্রিস্টাব্দ)
- জালন্ধরীপা (আনুমানিক ৭০৫ খ্রিস্টাব্দ)
- কৃষ্ণাচার্য (আনুমানিক ৭১৭ খ্রিস্টাব্দ)
- গুহ্য (আনুমানিক ৭২৯ খ্রিস্টাব্দ)
- বিজয়পা (আনুমানিক ৭৪১ খ্রিস্টাব্দ)
- তিলোপা
- নারোপা
অন্যান্য ভারতীয় তান্ত্রিক লেখকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- বুদ্ধগুহ্য - মহাবৈরোচন তন্ত্রের একটি টীকা রচনা করেছিলেন।
- বিমলমিত্র (অষ্টম শতাব্দী) - গুহ্যগর্ভ তন্ত্রের একটি টীকা রচনা করেছিলেন।
- পদ্মসম্ভব
- শান্তরক্ষিত (৭২৫–৭৮৮) - এঁকে অনেকে তন্ত্রগ্রন্থ তত্ত্বসিদ্ধির রচয়িতা মনে করেন। কিন্তু সেই মতটি নিয়ে আর্নস্ট স্টেইনকেলনার প্রমুখ গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।[২০]
- বিলাসবজ্র (অষ্টম-নবম শতাব্দী) - মঞ্জুশ্রীনামসঙ্গতি গ্রন্থের টীকা নামমন্ত্রার্থাবোকিনী গ্রন্থের রচয়িতা।[২১]
- বুদ্ধজ্ঞান (অষ্টম-নবম শতাব্দী) - শ্রীহেরুকসাধনবৃত্তি গ্রন্থের রচয়িতা
- আর্যদেব - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকা চর্যামেলপাকপ্রদীপ গ্রন্থের রচয়িতা। ইনি মধ্যমক দার্শনিক আর্যদেব নন।
- চন্দ্রকীর্তি (নবম শতাব্দী) - প্রদীপোদ্দ্যোতনা গ্রন্থের রচয়িতা। ইনি মধ্যমক দার্শনিক চন্দ্রকীর্তি নন।
- শাক্যমিত্র - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- নাগবোধি - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- ভব্যকীর্তি (দশম শতাব্দী) - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকা শ্রীচক্রসম্বরপঞ্জিকাশূরমনোজ্ঞনাম গ্রন্থের রচয়িতা[২০]
- শ্রদ্ধাকরবর্মণ - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- ভবভট্ট (দশম শতাব্দী) - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকা শ্রীচক্রসম্বরপঞ্জিকার রচয়িতা
- জয়ভদ্র - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- দুর্জয়চন্দ্র - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- বজ্রপাণি - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- তথাগতরক্ষিত - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- ভবভদ্র - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- বীরবজ্র - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- মণিভদ্র - চক্রসম্বর তন্ত্রের টীকাকার
- শ্রদ্ধাকরবর্মা - - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- প্রশান্তজ্ঞান - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- বিমলগুপ্ত - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- চিলুপা - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- বজ্রহাস - গুহ্যসমাজ তন্ত্রের টীকাকার
- শান্তিপা
- কাহ্ন - হেবজ্র তন্ত্র-বিষয়ক যোগরত্নমালা গ্রন্থের রচয়িতা
- ভদ্রপাদ - হেবজ্র তন্ত্র-বিষয়ক শ্রীহেবজ্রব্যাখ্যাখ্যাবিবরণ গ্রন্থের রচয়িতা
- বজ্রগর্ভ - ষটসাহস্রিকা হেবজ্রটীকা গ্রন্থের রচয়িতা
- রত্নকীর্তি (একাদশ শতাব্দী)
- রত্নাকরশান্তি - হেবজ্র তন্ত্রের টীকা মুক্তাবলীর রচয়িতা
- পুণ্ডরীক - কালচক্র তন্ত্রের টীকাকার
- সুচন্দ্র - ষাট হাজার স্তবকে কালচক্র তন্ত্রের টীকা রচনা করেন
- যোগরত্নমালা - হেবজ্র তন্ত্রের টীকাকার
- অভয়াকরগুপ্ত (একাদশ শতাব্দী-দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ উলফ ২০১৫।
- ↑ ওয়েম্যান ২০০৮, পৃ. ২৩।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Williams
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ হজ ২০০৩, pp. ১৪–১৫; গ্যারি ২০২৩, p. ১৩.
- ↑ হজ ২০০৩, পৃ. ১৪–১৫।
- ↑ গ্যারি ২০২৩, পৃ. ১৩।
- ↑ অরজেক, সোরেনসেন & পেইনি ২০১১, p. ২০; উলফ ২০১৫.
- ↑ গ্রে ২০২৩, পৃ. ২১-২৪।
- ↑ গ্যারি ২০২৩, পৃ. ২১-২৪।
- ↑ অরজেক, সোরেনসেন & পেইনে ২০১১, p. ২০; উলফ ২০১৫; গ্যারি ২০১৬.
- ↑ স্যান্ডারসন, আলেক্সিজ (২০০৯)। "দ্য শৈব এজ: দ্য রাইজ অ্যান্ড ডমিনেন্স অফ শৈবিজম ডিউরিং দি আর্লি মিডিয়াভাল পিরিয়ড"। এইনু, শিনগো। জেনেসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফ তন্ত্রিজম। টোকিও: টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট অফ ওরিয়েন্টাল কালচার। পৃষ্ঠা ৪১–৩৪৯।
- ↑ গ্রে ২০২৩, পৃ. ১৫।
- ↑ গ্রে ২০২৩, পৃ. ১৪।
- ↑ ওয়ালিস, ক্রিস্টোফার (ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "দ্য তান্ত্রিক এজ: আ কমপ্যারিসন অফ শৈব অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট তন্ত্র"। সূত্র জার্নাল।
- ↑ "আ ক্রাইসিস অফ ডক্সোগ্রাফি: হাও টিবেটানস অরগ্যানাইজড তন্ত্র ডিউরিং এইটথ-টুয়েলফথ সেঞ্চুরিজ"। জার্নাল অফ দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ। ২৮ (১): ১১৫–১৮১। ২০০৫।
- ↑ ক খ গ্রে ২০১৬।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ref2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Wayman, Alex; The Buddhist Tantras light on Indo-Tibetan esotericism, Routledge, (2008), page 14.
- ↑ Bhattacharyya, Benoytosh; An Introduction to Buddhist Esoterism, Motilal Banarsidass Publ., 1980, India, p.
- ↑ ক খ Gray, David B; Compassionate Violence?: On the Ethical Implications of Tantric Buddhist Ritual; Journal of Buddhist Ethics, ISSN 1076-9005, Volume 14, 2007
- ↑ Tribe, Anthony; Tantric Buddhist Practice in India: Vilāsavajra’s commentary on the Mañjuśrīnāmasamgīti