দাভিদ বেন গুরিয়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ডেভিড বেন- গ্রাউন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
দাভিদ বেন গুরিয়ন
דָּוִד בֶּן-גּוּרְיּוֹן
১ম ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩ নভেম্বর ১৯৫৫ – ২৬ জুন ১৯৬৩
পূর্বসূরীমোশে স্যারেট
উত্তরসূরীলেভি এসকোল
কাজের মেয়াদ
১৪ মে ১৯৪৮ – ২৬ জানুয়ারী ১৯৫৪
পূর্বসূরীকেউ না
উত্তরসূরীমোশে স্যারেট
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৮৬-১০-১৬)১৬ অক্টোবর ১৮৮৬
প্লন্সক, পোল্যান্ড, রাশিয়ান সাম্রাজ্য
মৃত্যু১ ডিসেম্বর ১৯৭৩(1973-12-01) (বয়স ৮৭)
রামাত গ্যান
রাজনৈতিক দলমাপাই, রাফি, জাতীয় তালিকা

দাভিদ বেন গুরিয়ন (১৬ অক্টোবর ১৮৮৬ - ১ ডিসেম্বর ১৯৭৩) ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিলো রাশিয়ায়। [১][২]

বেন গুরিয়নের 'ইহুদিবাদী রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছোটোবেলা থেকেই ছিলো, ১৯৪৬ সালে তিনি 'বিশ্ব ইহুদীবাদী সংস্থা'র প্রধান হয়েছিলেন। ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি ফিলিস্তিন ভূখন্ডে বসবাসরত ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের প্রধান নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ফিলিস্তিন ভূখন্ডে একটি স্বাধীন ইহুদীবাদী রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য দাভিদ সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন।[৩]

১৯৪৮ সালের ১৪ মে দাভিদ বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার পরের দিনই প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো তাদের সামরিক বাহিনী দ্বারা ইহুদীদের ওপর হামলা চালায়, দাভিদ ঐ মূহুর্তে সকল ইহুদীকে দেশের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান কারণ তখনো ইসরায়েলের নিয়মিত সামরিক বাহিনী তৈরী হয়নি। যুদ্ধে ইসরায়েল জয়লাভ করেছিলো। দাভিদকে ইসরায়েলের জাতির পিতা বলা হয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং স্বাধীনতা ঘোষণার তিনদিন পর দাভিদ ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।[৪]

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাভিদ নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনসংখ্যানীতির উপর বিশেষ জোর দেন। তিনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে নারীদের পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি করে দিয়েছিলেন যা আজ অবধি চলমান।[৫][৬] দাভিদ পশ্চিম জার্মান সরকারের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকস্ট এর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন এবং পশ্চিম জার্মানির কনরাড আডেনাউয়েরের সরকার ইসরায়েলকে ৩ বিলিয়ন মার্ক অর্থ দিয়েছিলো।[৭][৮]

জন্ম এবং পরিবার[সম্পাদনা]

১৮৮৬ সালে দাভিদ পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন যা তখন রাশিয়ার অধীনে ছিলো। পিতা এ্যাভিগডোর গ্রুন একজন আইনজীবী ছিলেন, মাতা শিন্ডেল ব্রয়েটম্যান ছিলেন একজন গৃহিণী, দাভিদের বয়স ১১ বছর থাকাকালীন শিন্ডেল মারা যান।[৯][১০] দাভিদ ওয়ারশ' বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। দাভিদের স্ত্রীর নাম পলা মুনওয়েস (১৮৯২-১৯৬৮) যাকে তিনি ১৯১৭ সালে বিয়ে করেন।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.nytimes.com/2016/08/13/world/middleeast/israel-ben-gurion-interview.html?_r=0
  2. http://news.bbc.co.uk/onthisday/hi/dates/stories/december/1/newsid_2492000/2492775.stm
  3. http://indianexpress.com/article/opinion/columns/the-promise-of-a-chosen-people-israel-palestine-relations-india-isreal-narendra-modi-4739238/
  4. http://www.thehindu.com/news/international/Israel-unveils-roundabout-to-honour-Mahatma/article13980912.ece
  5. "60 Years of Women's Service in the IDF"। Israel Defense Forces। ৮ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১১ 
  6. "The Beginning, Women in the Early IDF"IDF Spokesperson। ৭ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১১ 
  7. USHMM: Chancellor Konrad Adenauer signs the reparations agreement between the Federal Republic of Germany and Israel[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], USHMM photograph #11019. URL last accessed 2006-12-13
  8. Agreement between the State of Israel and the Federal Republic of Germany, Bundesanzeiger Verlag
  9. Journal 1947-1948. Les secrets de la création de l’État d'Israël de David Ben Gourion ; préfaces : Tuvia Friling et Denis Peschanski ; traduction : Fabienne Bergmann, 621 pages, éditions de la Martinière, 2012.
  10. Michel Bar-Zohar, Ben Gourion, le prophète armé, Librairie A. Fayard, Paris, 1966.
  11. Forward .

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]