ডেভিড গ্রীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডেভিড গ্রীন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডেভিড মাইকেল গ্রীন
জন্ম(১৯৩৯-১১-১০)১০ নভেম্বর ১৯৩৯
লানেনগান, কার্নারফোনশায়ার, ওয়েলস
মৃত্যু১৯ মার্চ ২০১৬(2016-03-19) (বয়স ৭৬)
ডেভন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-পেস
ভূমিকাব্যাটসম্যান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৯–১৯৬১অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৫৯–১৯৬৭ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৬৮–১৯৭৩গ্লুচেস্টারশায়ার
এফসি অভিষেক২ মে ১৯৫৯ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বনাম গ্লুচেস্টারশায়ার
শেষএফসি২ অক্টোবর ১৯৭২ ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান্ডারার্স বনাম রোডেশিয়া
এলএ অভিষেক২৭ মে ১৯৬৪ ল্যাঙ্কাশায়ার বনাম কেন্ট
শেষ এলএ২৪ জুন ১৯৭৩ গ্লুচেস্টারশায়ার বনাম কেন্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬৬ ৬৫
রানের সংখ্যা ১৩৩৮১ ১৭০৬
ব্যাটিং গড় ২৮.৮৩ ২৬.৬৫
১০০/৫০ ১৪/৭৮ ১/৯
সর্বোচ্চ রান ২৩৩ ১২৭*
বল করেছে ৯৫৪২ ১৭৯৬
উইকেট ১১৬ ৪৮
বোলিং গড় ৩৮.৪৪ ২২.৯৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৬১ ৪/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯৭/– ১৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

ডেভিড মাইকেল গ্রীন (ইংরেজি: David Green; জন্ম: ১০ নভেম্বর, ১৯৩৯ - মৃত্যু: ১৯ মার্চ, ২০১৬) কার্নারফোনশায়ারের লানেনগান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েলসীয় বংশোদ্ভূত প্রথম-শ্রেণীর বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করাসহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। এছাড়াও ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ডেভিড গ্রীন

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

ওয়েলসের কার্নারফোনশায়ারের লানেনগান এলাকায় ডেভিড গ্রীনের জন্ম। পরিপাটি চুলের অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রায়শই ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। এছাড়াও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে সুনাম ছিল তার। ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে অক্সফোর্ডের ব্রাসেনোজ কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ঐ কলেজে দলের নিয়মিত ও সফলতম খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছিলেন।

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ছুটির দিনগুলোয় ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলতেন। প্রথম মৌসুমেই সহস্রাধিক রান তুলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মৌসুমে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন। ১৯৬২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে প্রায়শঃই অংশ নিতেন।

১৯৬৩ সালে এক বছর লীগ ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন ডেভিড গ্রীন। ১৯৬৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে ফিরে আসেন ও তিন মৌসুমে নিয়মিতভাবে প্রথম একাদশে খেলতে থাকেন। ১৯৬৫ সালে ৩৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। দুই সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করলেও কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি তিনি। এরফলে সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েন। ঐ মৌসুমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ৮৫। ১৯৩৫ সালে সি.বি. হ্যারিস সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থায় ১৭০৯ রান করেন। এছাড়াও ১৯৭০ সালের পর দেড় হাজার রান সংগ্রহকারী কোন ব্যাটসম্যানকেই সেঞ্চুরি ছাড়া দেখা যায়নি।[২] ১৯৬৬ সালে মাঝারিমানের মৌসুম অতিবাহনের পর আঘাতপ্রাপ্ত হন ও ১৯৬৭ সালে দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ঐ মৌসুম শেষে ল্যাঙ্কাশায়ার ত্যাগ করার অনুমতিপত্র পেলে গ্লুচেস্টারশায়ারে চলে যান।

১৯৬৮ সালে নতুন কাউন্টি দলে ডেভিড গ্রীনের আক্রমণধর্মী ব্যাটিংয়ের কারণে বেশ দেরীতে ইংল্যান্ড দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনা দেখা দেয়। ঐ মৌসুমে ৪০ ঊর্ধ্ব গড়ে ২,১৩৭ রান তুলেছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে একমাত্র সম্মাননা হিসেবে ১৯৬৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারে মনোনীত হন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে আরও দুইটি মাঝারিমানের খেলা উপহার দেয়ার পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে সরে আসেন। এরপর, ব্যবসা ও সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৮২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে ক্রিকেট ও রাগবি খেলাকে ঘিরে লিখতে থাকেন।[২] ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি খেলায় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন তিনি। সেল আরএফসি’র পক্ষে রাগবি ইউনিয়নে অংশ নিতেন।

১৯ মার্চ, ২০১৬ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ডেভনে ডেভিড গ্রীনের দেহাবসান ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Player Profile: David Green"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৩ 
  2. Wisden 2017, pp. 202–4.
  3. "County stalwart David Green dies aged 76"। মার্চ ১৯, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৯, ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]