ডিফতারদার মসজিদ (কোস)

স্থানাঙ্ক: ৩৬°৫৩′৩৫.৯″ উত্তর ২৭°১৭′২০″ পূর্ব / ৩৬.৮৯৩৩০৬° উত্তর ২৭.২৮৮৮৯° পূর্ব / 36.893306; 27.28889
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডিফতারদার মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাকোস
প্রদেশদক্ষিণ এজিয়ান
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
উপাসনার জন্য উন্মুক্ত
অবস্থান
অবস্থানকোস, গ্রিস
পৌরসভাকোস
রাজ্যগ্রিস
ডিফতারদার মসজিদ (কোস) গ্রিস-এ অবস্থিত
ডিফতারদার মসজিদ (কোস)
গ্রিসে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৬°৫৩′৩৫.৯″ উত্তর ২৭°১৭′২০″ পূর্ব / ৩৬.৮৯৩৩০৬° উত্তর ২৭.২৮৮৮৯° পূর্ব / 36.893306; 27.28889
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৮ শতক
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
মিনার১ (ধ্বংসপ্রাপ্ত)
উপাদানসমূহপাথর

ডিফতারদার ইব্রাহিম পাশা মসজিদ ( গ্রিক: Ντεφτερντάρ Ιμπραήμ Πασά Τζαμί; তুর্কি: Defterdar Ibrahim Paşa Camii, "মস্ক অফ ডিফতারদার ইব্রাহিম পাশা") গ্রীসের কোস দ্বীপে অবস্থিত একটি অটোমান যুগের মসজিদ। এটি ১৮ শতকে নির্মিত, এবং এটি কোস-এর মুসলিম-তুর্কি সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করে। পাঁচটি অটোমান মসজিদের মধ্যে যে দুটি এখনও চালু আছে এবং কোসে নামাজের জন্য উন্মুক্ত; সেগুলোর মধ্যে এটি একটি, আর অন্যটি হলো গাজী হাসান পাশা মসজিদ ।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটির নাম ইব্রাহিম এফেন্দির থেকে এসেছে, যিনি একজন অটোমান অর্থমন্ত্রী (ডিফতারদার) ছিলেন। টিনি ১৮ শতকের শেষের দিকে এটি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।[২] এটি ধারণা করা হয় যে এটি পূর্বে সেন্ট পারাসকেভিকে উৎসর্গ করা একটি অর্থোডক্স গির্জা ছিল।[৩]

১৯২৬ এবং ১৯৩৩ সালে কোস-এ যে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে মসজিদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইতালীয়রা, যারা সেই সময়ে কোসকে দখলে রেখেছিল, তারা ব্যাপক পুনরুদ্ধার কাজ করেছিল, যার মধ্যে মিনারের উপরের অংশ অপসারণ এবং এর পুনরুদ্ধার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে, ২০০৪-২০০৫ সালে মিনারটিকে আবার সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। ইতালীয় পুনরুদ্ধারের কাজ ছাড়া, এটিকে এখন পর্যন্ত পদ্ধতিগতভাবে আর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।[২]

এটি ২০১৭ সালের ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এবং সে সময়ে মিনারটি ধসে পড়ে।[৩][৪]

গঠন[সম্পাদনা]

কোস শহরের এলেফথেরিয়াস স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা, এটি ঘন আকারের একটি দ্বিতল ভবন, যেটি হলো বারোটি খিলান দ্বারা সমর্থিত একটি অষ্টভুজাকার গম্বুজ। এটি কাটা অ্যাশলারের সঙ্গে নির্মিত হয়; নীচ তলায় নীচের অংশে বড়গুলো এবং ছোটগুলো প্রথম তলায়, আইএসও-বিল্ডিং সিস্টেম অনুসারে সাজানো। ডিফতারদার মসজিদের ছয়টি জানালা রয়েছে, দুইটি জোড়ায় প্রতিটি খিলানের নিচে রাখা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো অন্য পাশের মতো একটি খিলানে শেষ হয় না এবং এগুলোর একটি উঁচু কার্নিস আছে, যা তিন দিকের পেডিমেন্টকে ঘিরে রয়েছে।[২]

প্রথম তলায় রয়েছে বর্গাকার প্রার্থনা কক্ষ, যেটি দুইটি দরজা দিয়ে উত্তরে সরু এবং দীর্ঘায়িত নর্থেক্সের সাথে যোগাযোগ করে। পরেরটি যথাক্রমে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে অবস্থিত দুইটি ইটের সিঁড়ি দ্বারা প্রবেশ করা যায়। পূর্ব দিকের সিঁড়ি, যার উপরের অংশটি একটি দ্বি-গম্বুজযুক্ত প্রোপিলন দ্বারা আবৃত, এটি মসজিদে কর্মকর্তাদের প্রবেশের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। প্রধান হলের উত্তর দিকে একটি উঁচু কাঠের গাইনাকোনাইটিস, নারীদের জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। মিহরাব ও মিম্বার দক্ষিণ দিকে।[২]

মসজিদের পশ্চিম দিকে মিনারটি অবস্থিত, যার একটি প্যারাপেটসহ একটি একক বারান্দা রয়েছে, এবং এর একটু বাইরে একটি মার্বেল অষ্টভুজাকার ফোয়ারা রয়েছে, যা ছয়টি খিলান এবং ছোট স্তম্ভ দ্বারা সমর্থিত একটি খিলানযুক্ত ভবন দ্বারা আবৃত।[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pg 124,The Forgotten Turkish Identity Of The Aegean Islands. Prof Mustafa Kaymakçı, Dr Cihan Özgün, Published by Eğitim Yayınevi, 2018
  2. Georgios Stalidis। "Ντεφτερντάρ Τζαμί"vakoufko.gr (Greek ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৪, ২০২২ 
  3. "Defterdar Mosque"Discoveringkos.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৪, ২০২২ 
  4. Demetra-Marilia Fourla (জুলাই ২২, ২০১৭)। "Τζαμί Ντεφτερντάρ: Το σύμβολο της ισλαμικής τέχνης στην Κω που καταστράφηκε από τον σεισμό"dimokratiki.gr (Greek ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৪, ২০২২ 

আরও পড়া[সম্পাদনা]

  • কোস দ্বীপের ইতিহাস: প্রাচীন, মধ্যযুগীয়, আধুনিক, ভাসিলিস এস. হাতজিভাসিলিউ দ্বারা প্রকাশিত, ২০১৩ সালে।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]