ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইংরেজি: Diploma in Engineering) “ডিপ্লোমা প্রকৌশলী’’ এবং “ডিপ্লোমা স্থপতি” এর আইনগত সংজ্ঞাঃ (৩০) “ডিপ্লোমা স্থপতি” অর্থ ঐ পেশাজীবী ব্যক্তি যিনি স্বীকৃত পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটিউট হইতে স্থাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য এবং বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত;
(৩১) “ডিপ্লোমা প্রকৌশলী’’ অর্থ ঐ পেশাজীবি ব্যক্তি যিনি স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটিউট হইতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী ধারী ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য, এবং বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত;
(৪৭) “পাম্বিং ইঞ্জিনিয়ার’’ অর্থ স্নাতক স্থপতি বা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা স্থপতি বা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী যাহার পাম্বিং বা সেনেটারী বিষয়ে অভিজ্ঞতা রহিয়াছে ও যিনি সংশিষ্টে পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের সদস্য এবং বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভূক্ত; যার গ্রেড মান ১৪। যেখানে উচ্চ মাধ্যমিকের গ্রেড মান ১২, ডিগ্রির গ্রেড মান ১৫ ও অনার্সের ১৬।
বাংলাদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং[সম্পাদনা]
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সমূহে (ইংরেজি: Polytechnic Institute) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে চার(৪) বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম আটটি(৮) পর্বে বিভক্ত যাদের সেমিষ্টার বলা হয়। এক একটি সেমিষ্টারের কার্য দিবস ১৬-১৮ সপ্তাহ। সে হিসেবে প্রতি বর্ষের কার্য দিবস ৩২-৩৬ সপ্তাহ। নির্ধারিত কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর পর্ব সমাপণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
- বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি:
বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি বাংলাদেশের একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজী:
বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ সম্পদ বিষয়ক অনুষদ যা ২০০৬ সালে খসড়া কয়লা নীতির সুপারিশ অনুসারে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কার্যক্রম শুরু করে।
- বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস: (ইংরেজি: Bangladesh Institute of Glass and Ceramics) বাংলাদেশের একমাত্র এবং সবচেয়ে পুরাতন ইন্সটিটউট। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” কোর্স চালু রয়েছে।
- গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট: বাংলাদেশের একমাত্র প্রিন্টিং এবং গ্রাফিক ডিজাইন ইন্সটিটউট। এই পলিটেকনিক ইন্সটিটউটটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৩ টি বিভাগ চলমান রয়েছে।
- বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট ১৯১৪ সালে প্রতিঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভে) চার বছর মেয়াদী একটি কোর্স চালু আছে। বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিটে প্রথম শিফ্ট ও দ্বিতীয় শিফ্টে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সার্ভে কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন ও দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এই শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে এই শিক্ষা সংশিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দক্ষতার সহিত নিয়োজিত আছে।
- এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট(ATI):
বাংলাদেশের ১৫টি এটিআইতে ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার (৪ বছর মেয়াদী)কোর্সটি পড়ানো হয়।এছাড়াও বেসরকারীভাবে ১৬০মতো প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার (৪ বছর মেয়াদী)কোসটি পড়ানো হয়।
- বাংলাদেশের সরকারি ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার কোর্স এর কয়েকটি প্রতিস্ঠানের নাম:-
১।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
২।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), তাজহাট রংপুর।
৩।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), রহমতপুর, বরিশাল।
৪।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), খাদিমনগর, সিলেট।
৫।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), শেরপুর।
৬।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), দৌলতপুর, খুলনা।
৭।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), হমনা, কুমিল্লা
৮।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), ঈশ্বরদী,পাবনা
৯।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), রাঙ্গামাটি।
১০।এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট (ATI), গাজীপুর।
- বাংলাদেশের বেসরকারী ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার কোর্স এর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম:-
১।আবুল বাশার কৃষি কলেজ, ঢাকা।
২।তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজ,বাগাতি পাড়া, নাটোর।
৩।এম.এস.জোহা কৃষি কলেজ,হারদী,আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।
৪। খান জাহান আলী কৃষি কলেজ,ডুমুরিয়া, খুলনা।
৫। ব্রেইলী ব্রীজ এগ্রিকালচার এন্ড পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট,মীরবাগ,কাউনিয়া রংপুর।"
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা[সম্পাদনা]
বর্তমানে ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। [১] এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা পাঁচটি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট তিনটি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা তিনটি।
বেসরকারী পলিটেকনিকের সংখ্যা ৩৮৭টি[২]
সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট[সম্পাদনা]
সরকারি পাবলিক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট[সম্পাদনা]
- দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, পুলহাট, দিনাজপুর
- টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বাজিতপুর, টাঙ্গাইল
- বরিশাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, গৌরনদী, বরিশাল
- নাটোর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, নাটোর
- রংপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, রংপুর
- চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম
বেসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৮।