বিষয়বস্তুতে চলুন

টালা ট্যাংক

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৬′৩৬″ উত্তর ৮৮°২২′৪৪″ পূর্ব / ২২.৬১০০০° উত্তর ৮৮.৩৭৮৮৯° পূর্ব / 22.61000; 88.37889
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টালা ট্যাংক
অধুনা ধ্বংসকৃত টালা সেতু থেকে টালা ট্যাংকের দৃশ্য
মানচিত্র
সাধারণ তথ্যাবলী
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থানকলকাতা
ঠিকানা৭১, ব্যারাকপুর ট্রাংক রোড, পাইকপাড়া, পশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৬′৩৬″ উত্তর ৮৮°২২′৪৪″ পূর্ব / ২২.৬১০০০° উত্তর ৮৮.৩৭৮৮৯° পূর্ব / 22.61000; 88.37889
নির্মাণ শুরু১৮ নভেম্বর, ১৯০৯
সম্পূর্ণ১২ জানুয়ারি, ১৯১১
উন্মুক্ত হয়েছে১৬ মে ১৯১১; ১১৩ বছর আগে (1911-05-16)
নির্মাণব্যয়১৯০৯-১০ সালে  ১.১ মিলিয়ন (ইউএস$ ১৩,৪৪৫.৬৩)
স্বত্বাধিকারীকলকাতা পৌরসংস্থা
পরিচালক পর্ষদকলকাতা পৌরসংস্থা
উচ্চতা১১০ ফু (৩৪ মি)
Dimensions
ওজন৪৪ হাজার টন
কারিগরী বিবরণ
উপাদানকংক্রিট, ইস্পাতব্রহ্মদেশীয় সেগুন কাঠ
তলার আয়তন৩২১ ফু (২৯.৮ মি)
ভূতল৩–৪ একর (১২–১৬ হাজার বর্গমিটার)
নকশা ও নির্মাণ
স্থপতিডব্লিউ. বি. ম্যাকক্যাবি
স্থাপত্য সংস্থাকলকাতা পৌরসংস্থার জল-সরবরাহ বিভাগ
প্রধান ঠিকাদারমেসার্স টি. কে. মুখার্জি অ্যান্ড কোং; মেসার্স মার্টিন অ্যান্ড কোং; অ্যারাকোন কোং এবং ক্লেটন, সন অ্যান্ড কোং অফ লিডস
পরিচিতিবিশ্বের বৃহত্তম জলাধার স্তম্ভ
Website
kmcgov.in/WaterSupply

টালা ট্যাংক হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত একটি জলাধার স্তম্ভ। ১৯০৯ সালে এটির নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং ১৯১১ সালে তৎকালীন বাংলার লেফট্যানেন্ট গভর্নর এডওয়ার্ড নরম্যান বেকার এটি উদ্বোধন করেন। ট্যাংকটি কলকাতা পৌরসংস্থার মালিকানাধীন। ব্যারাকপুরের কাছে অবস্থিত পলতা ওয়াটার ওয়ার্ক থেকে ট্যাংকটিতে জল সরবরাহ করা হয়।

এই জলাধার স্তম্ভটিকে বিশ্বের বৃহত্তম উত্তোলিত জলাধার বলে দাবি করা হয়। এটির আয়তন ৩–৪ একর (১২,০০০–১৬,০০০ মি), জলধারণ ক্ষমতা ৯.৯ নিযুত ইম্পেরিয়াল গ্যালন (৪৫,০০০ ঘনমিটার), মাটি থেকে এর উচ্চতা ১১০ ফু (৩৪ মি) এবং সর্বোচ্চ পরিমাণে জল সহ এটির ওজন ৪৪ হাজার টন। ট্যাংকটিতে চারটি আলাদা কক্ষ রয়েছে এবং একটি মাত্র পাইপলাইন দিয়ে পলতা থেকে জল আহরণ করে শহরে জল সরবরাহ করা হয়।

যে ইস্পাতে টালা ট্যাংক গঠিত, তা আমদানি করা হয়েছিল যুক্তরাজ্য থেকে এবং সেই ইস্পাত ছিল আরএমএস টাইটানিক জাহাজ নির্মাণে ব্যবহৃত ইস্পাতের সম মানের। ১৯৩৪ সালের ভারত-নেপাল ভূমিকম্প, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদী জাপান কর্তৃক এরোপ্লেন থেকে বোমাবর্ষণ এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সব বহু দুর্যোগ কাটিয়ে আছে এই জলাধারটি।

জলাধার স্তম্ভটির শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার পর শিবপুরের ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি খড়গপুরকেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ-রসায়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ করে এটিকে সারানো হয় আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন (ইউএস$ ৩.০৬ মিলিয়ন) ব্যয়ে। শহরে জলের সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই জন্য এক-এক বারে এক-একটি কক্ষে সারানোর কাজ চলেছিল।

জলধারণ ক্ষমতা

[সম্পাদনা]

টালা ট্যাঙ্কের একারই জলধারণ ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন। সে ক্ষেত্রে কোনও কারণে ট্যাঙ্ক ফেটে গেলে তা কলকাতা শহরের একটা বড় অংশ ভাসিয়ে দিতে পারে। অথচ টাকার অভাবে কিছু করাও যাচ্ছিল না। পলতায় গঙ্গা থেকে পরিশোধিত জল প্রায় ২২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ৬টি পাইপের মাধ্যমে টালায় পৌঁছায়। তা জমা হয় নিচের জলাধারে। সেখান থেকে ৬০ ইঞ্চি পাইপে সেই জল ওঠে মাটি থেকে প্রায় ১১০ ফুট উপরের ওই ট্যাঙ্কে। পুরসভার দাবি, এশিয়ার বৃহত্তম এই জলাধার এক সময়ে সারা কলকাতায় জল সরবরাহ করত। পরে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প হওয়ায় টালার উপরে চাপ কিছুটা কমেছে।

সমস্যা

[সম্পাদনা]

১০০ বছরের বেশি পুরোনো এই জলাধার বা ট্যাঙ্কটির বিভিন্ন অংশে ছিদ্র হয়েছে।ফলে এই ছিদ্র গুলি ট্যাঙ্কের জলধারণ ক্ষমতা কমেছে।এছাড়া কিছু লোহার পাতে ক্ষয় ধরেছে।

সংস্কার

[সম্পাদনা]

সংস্কারের কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অম্রুতের সাহায্য মোট ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় ২৬ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার দেবে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা এবং বাকি আট কোটি দেবে পুরসভা।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]