টাঙ্গুত ভাষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাঙ্গুত
জাই-জাইয়া
𗼇𗟲
টাঙ্গুত ভাষায় লেখা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ
দেশোদ্ভবওয়েস্টার্ন জিয়া
জাতিটাঙ্গুত মানুষ
যুগপ্রমাণিত ১০৩৬–১৫০২ খ্রিস্টাব্দ
সিনো তিব্বতি
টাঙ্গুত লিপি
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা
ওয়েস্টার্ন জিয়া
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-৩txg
ভাষাবিদ তালিকা
txg
গ্লোটোলগtang1334[১]

টাঙ্গুত (এছাড়াও Xīxià বা হসি-হসিয়া বা মি-নিয়া) একটি প্রাচীন পূর্ব তিব্বতি-বর্মন ভাষা[২] ওয়েস্টার্ন জিয়াতে কথোপকথনের জন্য এটি ব্যবহার করা হতো। এটি টাঙ্গুত সাম্রাজ্যের নামেও পরিচিত। কিছু ভাষাবিদ একে কিয়াঙ্গিচ ভাষা হিসাবে শ্রেনীবদ্ধ করেন, যেখানে অন্য আরও ভাষার সাথে উত্তর কিয়াঙ ভাষা, দক্ষিণ কিয়াঙ ভাষা এবং রায়ালরং ভাষা অন্তর্ভুক্ত।

১১ শতকের শুরুতে টাঙ্গুত জনগণ ওয়েস্টার্ন জিয়াকে সং সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন করে। টাঙ্গুত ভাষা এর দাপ্তরিক ভাষাগুলোর মধ্যে একটি (তিব্বতীয় ভাষায় Mi nyag এবং চীনা ভাষায় 彌藥 Míyào নামে পরিচিত)। ১২২৬ সালে চেঙ্গিজ খানের আক্রমণে ওয়েস্টার্ন জিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।[৩]

টাঙ্গুত লিপি নামে টাঙ্গুত ভাষার নিজস্ব লিপি আছে।

টাঙ্গুত ভাষায় লেখা সর্বশেষ পুস্তকটি হচ্ছে ১৫০২ সালে লেখা টাঙ্গুত ধারানী পিলার্স[৪] এ থেকে বলা যায় টাঙ্গুত সাম্রাজ্য ধ্বংসের ৩০০ বৎসর পরও এই ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে।

পুনঃআবিষ্কার[সম্পাদনা]

নাম না জানা কিছু চীনা পণ্ডিত টাঙ্গুত ভাষায় লিখিত একটি পুস্তক লুটাস সুত্র আংশিকভাবে খুঁজে পান। এর একটি অনুলিপি জি. মরিসির কাছে পৌছানোর পর ২০ শতাব্দীর শুরুতে টাঙ্গুত ভাষাগুলির আধুনিক গবেষণা শুরু হয়। বিদ্যমান টাঙ্গুত গ্রন্ধের অধিকাংশ পিওটার কজলভ ১৯০৯ সালে খারা খটো থেকে খনন করে পেয়েছেন। পুস্তকটিকে টাঙ্গুত ভাষার জিজিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আলেক্সেই ঈভানভিছ ঈভানভ, ঈশিহামা জুন্তার (石濱純太郎), বেরথলদ লাউফের, লুও ফুছাং (羅福萇), লুও ফুছেং (羅福成), এবং ওয়াং জিংরুর (王靜如) মতো পণ্ডিতরা টাঙ্গত ভাষার উপর গবেষণায় অবদান রেখেছেন। সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন রাশিয়ান পণ্ডিত নিকলাই আলেক্সান্দ্রভিছ নেভস্ক্য (১৮৯২–১৯৩৭)। তিনি টাঙ্গুত ভাষার প্রথম অভিধান প্রণয়ন করেন এবং টাঙ্গুত ব্যাকরণের একটি অংশের অর্থ পূনরুদ্ধার করেন। এর ফলে টাঙ্গুত ভাষার বই পড়া এবং বোঝা সম্ভব হয়েছে। তার পান্ডিত্যপূর্ণ গ্রন্থটি ১৯৬০ সালে "টাঙ্গুতস্কায়া ফিললগিয়া" (টাঙ্গুত ফিললগিয়া) শিরোনামে মরণোত্তরভাবে প্রকাশিত হয় এবং তার কাজের জন্য তিনি সোভিয়েত লেনিন পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। যদিও গঠনতত্ত্বের কিছু বিষয় (ক্সেনিয়া কিপ্পিং, টাঙ্গুত ভাষার রূপতত্ত্ব, মস্কো: নাউকা, ১৯৮৫) এবং ব্যাকরণ (টাতসুও নিশিদা, শেইকা গো নো কেঙ্ক্যু, ইত্যাদি) বোঝা সম্ভব হয়েছে, তবুও সঠিকভাবে টাঙ্গুত ভাষা বোঝতে পারাটা দূরহ। কেননা, টাঙ্গুত ভাষার বাক্য গঠনতন্ত্র অধিকাংশই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।

খারা-খত পান্ডুলিপিটি বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গের রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির প্রাচ্যীয় পান্ডুলিপির প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত আছে। এটি সৌভাগ্যবশত লেনিনগ্রাদের অবরোধে বেঁচে গিয়েছিল। ১৯৩৭ সালে এনকেভিডি কর্তৃক নেভেস্কির গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে থাকা বহু পান্ডুলিপি হারিয়ে যায়। ১৯৯১ সালে সকল পান্ডুলিপি থেকে বিষ্ময়কর ভাবে শুধুমাত্র এই একটি পান্ডুলিপিই রাশিয়ার বিজ্ঞান একাডেমির প্রাচ্যীয় পান্ডুলিপির প্রতিষ্ঠানের কাছে ফিরে আসে।[৫] এটি ১০,০০০ ভলিউমের একটি সংগ্রহ যেখানে প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ, আইনের নীতিমালা এবং বৈধতার দলিল রয়েছে। ডেটিংয়ের তথ্য মতে এটি মধ্য ১১ থেকে ১৩ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। প্রাপ্ত বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ গুলোর মধ্যে সম্প্রতিককালে কিছু সতন্ত্র সংকলন পাওয়া গেছে যা চীনা এবং তিব্বতীয় সংকলনে ছিল না। তাছাড়া টাঙ্গুত ভাষায় লেখা বৌদ্ধ কানুন, চীনা ক্লাসিক্স এবং প্রচুর পরিমানে নৃতাত্ত্বিক দলিল সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই সকল আকারে ছোট কিন্তু গুরুত্তপূর্ণ টাঙ্গুত সংগ্রহ ব্রিটিশ গ্রন্থাগার, বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার এবং অন্যান্য গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত রয়েছে।

পুনর্নির্মাণ[সম্পাদনা]

চীনা ভাষা এবং আধুনিক চীনা ভিন্নতার মধ্যে সম্পর্কের তুলনায়, টাঙ্গুত ভাষায় লিখা এবং উচ্চারনের মধ্যে সম্পর্ক অধিক দূর্বল। যেখানে চীনা ভাষায় ৯০% এর বেশি চিহ্নের উচ্চারনগত উপাদান আছে, সেখানে শফ্রনভের মতে টাঙ্গুত ভাষায় এই অনুপাত ১০% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। টাঙ্গুতের উচ্চারণের পুনর্নির্মাণের অন্য উৎসগুলির অবলম্বন করা উচিত।

Pages from the Fanhan heshi zhangzhongzhu

টাঙ্গুত-চীনা দ্বিভাষী নির্ঘন্ট,হাতের তালুতে মুক্তার আবিষ্কারের ফলে ঈভানভ (১৯০৯) এবং লাউফের (১৯১৬) প্রাথমিক প্রস্তাবের পূনঃনির্মাণ এবং টাঙ্গুতের তুলনামূলক আলোচনা করার সুযোগ পান। ফলে এই নির্ঘন্ট এক অথবা একাধিক চীনা চিহ্নের সাথে প্রত্যেক টাঙ্গুত চিহ্নের উচ্চারণ এবং বিপরীতক্রমে এক বা একাধিক টাঙ্গুত চিহ্নের সাথে প্রত্যেক চীনা চিহ্নের উচ্চারণ নির্দেশ করে। দ্বিতীয় উৎস হচ্ছে টাঙ্গুতের তিব্বতীয় প্রতিলিপির সংকলন। এই তথ্যসমূহ নেভশকয়(নেভস্কিজ) (১৯২৫) কর্তৃক সর্বপ্রথম অধ্যয়ন করা হয়েছিল।

তবুও, এই দুটি উৎস টাঙ্গুতের সুসংগঠিত পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিলিপিসমূহ টাঙ্গুতের উচ্চারণের স্পষ্টতার প্রতিনিধিত্ত্ব করার উদ্দেশ্যে লিখা হয় নি, বরং বিদেশীদের তাদের বোধগম্য শব্দের সাহায্যে অন্য একটি ভাষার শব্দসমূহকে উচ্চারণ করা এবং মনে রাখার সুবিধার্থে লিখা হয়েছিলো।

তৃতীয় উৎস হলো একভাষী টাঙ্গুত অভিধান দ্বারা গঠিত: ওয়েনহাই (文海), টনযিন (同音)-এর দুটি সংস্করণ, ওয়েনহাই যেলেই (文海雜類) এবং একটি শিরোনামহীন অভিধান, যা আধুনিক পুনর্গঠনের ভিত্তি গঠন করে। এই অভিধানগুলির উচ্চারনগত বিবরণী চীনা অভিধানগত ঐতিহ্য থেকে ধার করে ফিনকিএ র নীতিমালা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এই অভিধানগুলি ক্ষুদ্রতর বিবরণে আলাদা হতে পারে (যেমন টনযিন চিহ্নগুলোকে সূরগত বিষয় বিবেচনা না করে প্রাথমিক অক্ষর (সিলেবল) এবং রিমের উপর ভিত্তি করে শেণীবদ্ধ করেছে), এই সবগুলোই ১০৫ রিমেস এর পদ্ধতি অনুসারে গৃহীত হয়েছে। কিছু সংখ্যক রিমেসের সম্পূর্ণ বণ্টন হয়েছে আদ্যক্ষরের স্পস্ট উচ্চারণস্থান অনুসারে, যেমন রিমেস ১০ ও ১১ বা রিমেস ৩৬ ও ৩৭। এ থেকে বোঝা যায়, যে সকল পণ্ডিতগণ এই সকল অভিধান তৈরি করেছে তারা তাদের ভাষার যথাযথ ধ্বনিগত বিশ্লেষণ করেছে।

বৈদেশিক ভাষায় প্রতিলিপনের পার্থক্যে, টাঙ্গুত ফানকিএ একটি সুশৃঙ্খল এবং যথাযথ উপায়ে ছন্দে পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। ফানকিএর কারণে, আমরা বর্তমানে এই ভাষার উচ্চারণগত পার্থক্যকে ভালোভাবে বুঝতে পারছি। তথাপি, একটি উচ্চারনগত মানের সাহায্যে এই শ্রেণিকে "সম্পূর্ণ করা"র উদ্দেশ্যে এই অভিধানের উচ্চারণগত পদ্ধতিকে অন্যান্য উৎসের সাথে তুলনা করা প্রয়োজন ।

এন. এ. নেভস্ক্য টাঙ্গুত অভিধান পুননির্মাণ এবং টাঙ্গুত–চীনা–ইংরেজি–রাশিয়ান অভিধান তৈরি করেছে। ১৯৬০ সালে তার মৃত্যুর পর তার রচনার সংগ্রহ সহ এগুলো একত্রে টাঙ্গুত ফিলোলজি (মস্কো:১৯৬০) নামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে, টাতসুও নিশিদা (西田龍雄), ক্সেনিয়া কেপ্পিং, গং হ্বাং-ছেরং (龔煌城), এম. ভি. শফ্রনভ এবং লি ফান্বেন (李範文) টাঙ্গুত ভাষার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। মারচ মিয়াকে টাঙ্গুত ধ্বনিবিদ্যা এবং দিয়াছ্রনিচস প্রকাশ করেন।[৬] চারটি টাঙ্গুত অভিধান পাওয়া যায়: এন. এ. নেভস্ক্য রচিত একটি, নিশিদা (১৯৬৬) রচিত একটি, লি ফান্বেন (১৯৯৭, সংশোধিত সংস্করণ ২০০৮) রচিত একটি এবং য়েভগেন্য ক্যছানভ (২০০৬) রচিত একটি।

চানে টাঙ্গুত শিক্ষা নামে একটি ধারা বিকশিত হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিতদের মাঝে আছেন চীনের মূল ভূখন্ডের শি জিনব (史金波), লি ফান্বেন, নিএ হনযিন (聶鴻音), বাই বিন (白濱) এবং তাইওয়ানের গং হ্বাং-ছেরং ও লিন য়িংজিন (林英津)। এই বিষয়ে অন্যান্য দেশের শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিতরা হচ্ছেন রাশিয়ার য়েভগেন্য ক্যছানভ এবং তার ছাত্র কে. যে. শলনিন, জাপানের নিশিদা টাতসুও ও শিন্তার আরাকাওা (荒川慎太郎) এবং আমেরিকার ড়ুথ ডব্লিও. ডুন্নেল্ল।

ধ্বনিবিদ্যা[সম্পাদনা]

টাঙ্গুত অক্ষরের (সিলেবল) একটি সিভি গঠন আছে এবং প্রতিটির দুটি স্বতন্ত্র ধ্বনি আছে। সমতল বা বর্ধনশীল। চীনা শব্দ-বিদ্যাগত বিশ্লেষণের ঐতিহ্য অনুসারে টাঙ্গুত অক্ষর (সিলেবল) প্রাথমিক (声母) এবং মিলবিশিষ্ট (韻母) এই দুই ভাগে বিভক্ত (যেমন অবশিষ্ট অক্ষর (সিলেবল) প্রাথমিককে বাদ দেয়)।

ব্যঞ্জনবর্ণ[সম্পাদনা]

ব্যঞ্জনবর্ণ নিম্নলিখিত ভাগে বিভক্ত করা হয়:

চীনা টার্ম অনুবাদ আধুনিক টার্ম আরাকাওা ঘণ্টা মিয়াকে
重唇音類 মোটা ঠোঁট দুই ঠোঁটবিশিষ্ট p, ph, b, m p, ph, b, m p, ph, b, m
輕唇音類 পাতলা ঠোঁট ওষ্ঠ-দন্ত f, v, w v
舌頭音類 জিহ্বার অগ্রভাগ দন্ত t, th, d, n t, th, d, n t, th, d, n
舌上音類 জিহ্বা পৃষ্ঠ দন্তমূলীয় ty', thy', dy', ny' tʂ tʂh dʐ ʂ
牙音類 পেষনদন্ত ধ্বনি k, kh, g, ng k, kh, g, ŋ k, kh, g, ŋ
齒頭音類 কর্তক দন্তের অগ্রভাগ দন্ত এফ্রিকেট এবং ঊষ্ম ts, tsh, dz, s ts, tsh, dz, s ts, tsh, dz, s
正齒音類 কর্তক দন্তের ভাল অবস্থাযুক্ত তালব্য এফ্রিকেট এবং ঊষ্ম c, ch, j, sh tɕ, tɕh, dʑ, ɕ
喉音類 গলা বাকযন্ত্র ', h ., x, ɣ ʔ, x, ɣ
流風音類 প্রবাহিত বায়ু অনুরণিত l, lh, ld, z, r, zz l, lh, z, r, ʑ ɫ, ɬ, z, ʐ, r

ছড়ার বইগুলো ১০৫ টি ছড়ার শ্রেণীতে বিভক্ত। এদের পর্যায়ক্রমে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়:/মাত্রা (等), নমুনা (環), এবং শ্রেণী (攝).

টাঙ্গুত ছড়াগুলো তিন ধরনের হয় (環)। এদের আরাকাওা এবং গং উভয়ের অনুসরনে নিশিদার ঐতিজ্য অনুসারে দেখা যায় যেমন, 'স্বাভাবিক' (普通母音), 'ক্রিয়ার কাল' (緊候母音) এবং 'অবাধ' (捲舌母音)। গং স্বাভাবিক ক্রিয়াকে চিহ্নহীন রাখে। অপরদিকে ক্রিয়ার কালের স্বরবর্ণের নিচে একটি ডট এবং অবাধ স্বরবর্ণের পরে একটি -r বসায়। আরাকাওা শুধুমাত্র সমাপ্তিসূচক -q এর সাহায্যে ক্রিয়ার কালের স্বরবর্ণকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে পার্থক্য সূচিত করে।

ছড়ার বইগুলো চারটি স্বরবর্ণ স্তরে (等) পার্থক্য সৃষ্টি করে। প্রাথমিক উচ্চারণ পুনর্নির্মাণে চারটি আলাদাভাবে কার্যকর ছিলো। তবে এটি থেকে বোঝা যায় যে তিনটি এবং চারটি প্রাথমিকের তুলনায় পূর্ণতাদায়ক বণ্টন। ফলস্বরূপ আরাকাওয়া এবং গংয়ের পুনর্নির্মাণ এই পার্থক্যের জন্য দ্বায়ী ছিলো না। গং V, iV, এবং jV এই তিনটি শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে। আরাকাওয়া V, iV, এবং V এর জন্য দ্বায়ী।

সাধারণ ছড়ার শ্রেণীতে (攝); সকল ছড়ার সেটেরে অনুরুপভাবে, একই প্রকারের ছড়ার আওতায় আলাদা প্রধান স্বরবর্ণ রয়েছে।

গং, ধ্বনিময় স্বরবর্ণের দৈর্ঘ্য এবং প্রমাণের বিন্দুও নির্দেশ করে। এ থেকে বোঝা যায় যে টাঙ্গুতের এমন পার্থক্য আছে যা চীনাতে নেই। এই পার্থক্য যে স্বরবর্ণের দৈর্ঘ্যে তার কোন নিশ্চয়তা নেই এবং এইজন্য অন্যান্য গবেষকগণও সন্দিহান অবস্থায় আছে।

স্বরবর্ণ[সম্পাদনা]

স্বাভাবিক (普通母音) ক্রিয়ার কাল (緊候母音) অবাধ (捲舌母音)
বন্ধ i I u iq eq uq ir Ir ur
মধ্য e o eq২ oq er or
খোলা a aq ar

মাইয়াকি স্বরবর্ণগুলোকে ভিন্নভাবে পুনর্গঠন করেন। তার পুনর্গঠনে, প্রাক-টাঙ্গুতে প্রাক প্রাথমিক হ্রাসের কারণে টাঙ্গুত ভাষার ৯৫ টি স্বরবর্ণকে ছয়-স্বরবর্ণ পদ্ধতি থেকে গঠন করা হয়। (প্রথম বন্ধনীর দুটি স্বরবর্ণ শুধুমাত্র চীনা ঋণকৃত শব্দসমূহে দেখা যায় এবং তৃতীয় শ্রেণীর অনেক স্বরবর্ণের তাদের চতুর্থ শ্রেণীর সমতুল্যসহ সম্পূরক বিভাজন করা হয়েছে।)

প্রাক-টাঙ্গুত
স্বরবর্ণ
শ্রেণী ১ শ্রেণী ২ শ্রেণী ৩ শ্রেণী ৪
*u əu o ɨu iu
əəu oo ɨuu iuu
(əũ)
əụ ɨụ iụ
əuʳ iuʳ
*i əi ɪ ɨi i
əəi ɪɪ ɨii ii
əĩ ɨĩ ĩ
əị ɨị
əiʳ ɪʳ ɨiʳ
əəiʳ ɪɪʳ ɨiiʳ iiʳ
*a a æ ɨa ia
aa ææ ɨaa iaa
ã æ̃ ɨã
ɨạ iạ
æʳ ɨaʳ iaʳ
aaʳ ɨaaʳ iaaʳ
(ya)
ə ʌ ɨə
əə ɨəə iəə
ə̣ ɨə̣ iə̣
əʳ ʌʳ ɨəʳ iəʳ
ɨəəʳ iəəʳ
*e e ɛ ɨe ie
ee ɛ ɨee iee
ɛ̃ ɨẽ iẽ
ɛ̣̃ ɨẹ̃ iẹ̃
ɛ̣ ɨẹ iẹ
ɛʳ ɨeʳ ieʳ
*ik
*ek
*uk
ew ɛw ɨew iew
ɨiw iw
eʳw i(e)ʳw
*o o ɔ ɨo io
wɨo
oo ɔɔ ɨoo ioo
õ ɔ̃ ɨõ
ɔ̃ɔ̃ ɨõõ iõõ
ɔ̣ ɨọ iọ
ɔʳ ɨoʳ ioʳ
ooʳ iooʳ
õʳ iõʳ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Tangut"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। 
  2. van Driem, George (২০০১)। Handbuch Der Orientalistik। BRILL। আইএসবিএন 90-04-12062-9 
  3. "IDP News Issue No. 2" (পিডিএফ)IDP Newsletter (2): 2–3। জানুয়ারি ১৯৯৫। আইএসএসএন 1354-5914। ২০০৭-০৬-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-০৩ 
  4. Frederick W. Mote (২০০৩)। Imperial China 900-1800। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 257–। আইএসবিএন 978-0-674-01212-7 
  5. van Driem, George (১৯৯৩)। "Ancient Tangut manuscripts rediscovered" (PDF)Linguistics of the Tibeto-Burman Area। La Trobe University, Australia। 16 (1): 137–155। আইএসএসএন 0731-3500। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৫ 
  6. Miyake, Marc। "Complexity from Compression: A Sketch of Pre-Tangut"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-৩০ 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Qiangic languages

টেমপ্লেট:Languages of China