টাকা আনা পাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাকা আনা পাই
পরিচালকবাবুল চৌধুরী[১]
প্রযোজকসুচন্দা রায়হান
রচয়িতাজহির রায়হান
চিত্রনাট্যকারজহির রায়হান
শ্রেষ্ঠাংশেরাজ্জাক
গোলাম মোস্তফা
শওকত আকবর
বেবী জামান
ববিতা
সুরকারগাজী মাজহারুল আনোয়ার
আলতাফ মাহমুদ[২]
চিত্রগ্রাহকসুচন্দা চলচ্চিত্র সংস্থা
পরিবেশকআনিস ফিল্মস কর্পোরেশন
মুক্তি১৬ অক্টোবর ১৯৭০[২]
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

টাকা আনা পাই ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্রবাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের লেখা চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বাবুল চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আলতাফ মাহমুদ । ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, বেবী জামান, শওকত আকবর

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

বাবা হানিফ বাবুর্চি (শওকত আকবর) ও মা রওশন জামিলের ছেলে শহীদ (রাজ্জাক) । বাবা সহায় সম্বল সমস্ত কিছু বন্ধক রেখে ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন । ওকালতি পাস করিয়েছেন । বাবা এক সময় তার বন্ধু দিন মোহাম্মদ এর মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন । বিষয়টা শহীদ কখনও জানতো না। অন্ধ হয়েও ছেলের জন্য বৃদ্ধ বয়সে বাবুর্চির কাজ করতেন যাতে ছেলের লিখাপড়ার কোন অসুবিধা না হয়। ছেলে ওকালতি পাশ করার পর বাবাকে বাবুর্চির কাজ করতে নিষেধ করেন। বন্ধক রেখে টাকা ধার এনেছিলেন মহাজন আব্দুল্লাহ মিয়া (ইনাম আহমেদ) এর কাছ থেকে। পাওনাদার ইনাম আহমেদ এর তাগাদায় হানিফ বাবুর্চি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।পাওনা শোধ করতে হবে অথবা তার কুৎসিত মেয়ের সঙ্গে ছেলে শহীদের বিয়ে দিতে হবে । এমন অবস্থায় হানিফ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবার চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই শহীদের। একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে মহাজনের ঋণ শোধের শর্ত এসব নিয়ে শহীদ চিন্তায় পড়ে যায়। এদিকে শহরের বিত্তশালি খান বাহাদুর এর একমাত্র আহ্লাদি মেয়ের সঙ্গে ঘোটক আলতাফ শহীদের বিয়ে দেয়ার ফন্দি আঁটেন। অসুস্থ বাবাকে বাঁচানোর জন্য খান বাহাদুরের মেয়েকে বিয়ে করে ঘর জামাই হওয়ার শর্তে শহীদ রাজি হয়ে যায়। যার ফলে শহীদ সেই টাকা দিয়ে মহাজনের আব্দুল্লাহ মিয়ার সব ঋণ শোধ করে অসুস্থ বাবার হাতে জমির দলিল ফিরিয়ে দেয়। শহীদের বাবাও সুস্থ হয়ে উঠেন । সুস্থ হয়ে উঠার পর বন্ধুর মেয়ে রানুর সঙ্গে বিয়ে দেয়ার সব ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিয়ের দিন শহীদ জানিয়ে দেয় সে আসতে পারবে না এবং এই রানুকে বিয়ের করতে পারবেনা। ওদিকে শহরের খান বাহাদুর এর মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর বিয়ের আসরে শহীদের অন্ধ বাবা তার বন্ধুকে নিয়ে হাজির হয়। বিয়ের আসরেই শুরু হয়ে যায় পিতা ও পুত্রের অনিবার্য সংঘাত । সেই থেকে শুরু হয় সন্তানের প্রতি এক মমতাময়ী ও অভিমানি পিতা এবং পিতার মমতা বঞ্চিত এক সন্তানের টানাপোড়ন।

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

গান[সম্পাদনা]

সবগুলি গানের সুরকার ছিলেন আলতাফ মাহমুদ ও লেখক ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার

  1. "উড়ু উড়ু উড়ু মন আমার" - সাবিনা ইয়াসমিন
  2. "পাপা আমায় দুশতু বলে বলুক" - ববিতা
  3. "মনের আমার কি যে হল" - সাবিনা ইয়াসমিন
  4. "মনের আমার কি যে হল" (অংশ ২) - সাবিনা ইয়াসমিন
  5. "এই নির্জনে বসে" - সাবিনা ইয়াসমিন

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বিডিনিউজ২৪[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. প্রথম আলো[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "মানবজমিন"। ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩