টাই-আহোম চিত্রশৈলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

টাই-আহােম চিত্রশৈলী হল মধ্যযুগীয় অসমীয়া চিত্রশৈলীর একটা শৈলী যা আসামে টাই-আহােম শৈলীরূপে পরিচিত। বহিঃভারত থেকে এখানে আসা এই চিত্রাঙ্কন শৈলী উজনি আসামের বৌদ্ধবিহারসমূহের ভিতর সীমাবদ্ধ। [১] এই শৈলীতে চিত্রিত মাত্র দুটি পুথিচিত্র উদ্ধার হয়েছে – ফুং চিন (১৪৭৩ খ্রী:) ও চুক-টান্তা-কিম্পং (১৫২৩ খ্ৰী:)। শেষেরটি বুরঞ্জী ও পুরাতত্ত্ব বিভাগে সংরক্ষিত ফুং চিঙের লেখক ও চিত্রকর চাও কিয়াং শেন। দ্বিতীয়টির লেখক নােজা কিং। লােহিত সীমান্তের বৌদ্ধবিহারসমূহে এখনও টাই-আহােম শৈলীতে পুথি চিত্রিত হয়। আলােচিত পুথিদুটিতে আহােমদের স্বর্গ-নরকের বর্ণনা, নৈসর্গ, পূজা ও হীনযান বৌদ্ধমতের কথা চিত্রিত হয়েছে। পটভূমি চিত্রণের প্রতি অমনযােগ, পরিপ্রেক্ষি গুণের অভাব, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্নদেরকে বড়ো করে ও কম মর্যাদাসম্পন্নদের ছোট করে অঙ্কন করা প্রযত্ন, যেকোনাে একদিকে হেলে পড়া মাথা, বিভিন্ন মুদ্ৰার সংযােগ, জোঙা দীর্ঘ আঙুলের মনােরম চিত্রণ, পুতুলের মত দেহাবয়বের ছলে নর-নারীর রূপাংকন এই চিত্রশৈলীর কয়েকটি উল্লেখ করার মত বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য রঙের সাথে সােনালী রঙের মিলন এই চিত্রশৈলীর অন্য একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য। ১৭৮২ সালে চিত্রিত তৃতীয়স্কন্ধ ভাগবত্র চিত্ররাজিকে ড° দাশগুপ্ত (রজতানন্দ দাশগুপ্ত-২টি ইণ্ডিয়ান ম্যানুস্ক্রিপ্টে পেইন্টিং) টাই আহােম শৈলীতে চিত্রিত বলে উল্লেখ করেছেন যদিও সেটির চিত্রিকারাজি যথার্থত চিত্রশৈলীরই বলেও কিছু লোক মত প্ৰকাশ করেন৷ [২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অসমর সংস্কৃতি কোষ, সম্পাদক- ডঃ নারায়ণ দাস, পরমানন্দ রাজবংশী, অসমীয়া বিভাগ, প্রাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয়, জ্যোতি প্রকাশন, ২০১৪, পৃষ্ঠা-২৬৬
  2. অসমর সংস্কৃতি কোষ, জ্যোতি প্রকাশন, ২০১৪, পৃষ্ঠা-২৬৬