টম টেলর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টম টেলর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটম লন্সেলট টেলর
জন্ম(১৮৭৮-০৫-২৫)২৫ মে ১৮৭৮
হেডিংলি, লিডস, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৬ মার্চ ১৯৬০(1960-03-16) (বয়স ৮১)
লিডস, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৩০
রানের সংখ্যা ৫,৯৬৮
ব্যাটিং গড় ৩২.০৮
১০০/৫০ ১৩/৩৩
সর্বোচ্চ রান ১৫৬
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড় -
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮৬/৬
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ মার্চ ২০১৯

টম লন্সেলট টেলর (ইংরেজি: Tom Taylor; জন্ম: ২৫ মে, ১৮৭৮ - মৃত্যু: ১৬ মার্চ, ১৯৬০) লিডসের হেডিংলিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও শৌখিন ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯৭ থেকে ১৯০৬ সময়কালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন টম টেলর। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে আপিংহাম স্কুলে থাকা অবস্থায় ব্যাটসম্যান ও উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। তিন বছর আপিংহাম একাদশের পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন টম টেলর। ১৮৯৬ সালে রেপ্টনের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসের কারণে ঐ সময়ে সরকারী বিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানরূপে চিহ্নিত হন। ঐ বছরে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৮৪। পরের বছর কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে চলে যান।[১]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৮৯৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মাত্র একটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে, পরের বছর নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। সেখানে বিদ্যালয়ের সুনাম মেলে ধরতে পারেননি ও শুধুমাত্র উইকেট-রক্ষণেই অগ্রসর হয়েছিলেন। কিন্তু, ইয়র্কশায়ারের সদস্য হবার পর তাকে এ দায়িত্ব পালনের আর প্রয়োজন পড়েনি।

১৮৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে মনোরম সেঞ্চুরি করেন। এরফলে ক্রিকেটবোদ্ধাদের কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়ান। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বর্ষে থাকাকালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে অত্যন্ত ভালো করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন। ঐ বছর স্কারবোরায় নর্থ মেরিন রোড গ্রাউন্ডে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রানের কোটা স্পর্শ করেছিলেন। পরের বছর টম টেলর ইয়র্কশায়ারের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। লেটন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় অন্য কোন ব্যাটসম্যান ১৫ রান তুলতে না পারলেও ৪৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলেন। এরফলে, অনুপযোগী পিচেও সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান তিনি।

১৯০২ সালে বোলিং উপযোগী পিচে অবস্থান করে ১,৫৬৭ রান তুলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন। তন্মধ্যে, স্কারবোরায় জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে সেঞ্চুরি হাঁকান। এছাড়াও, অনমনীয় পিচে ডার্বিশায়ারলিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সেরা ইনিংস উপহার দেন। ঐ মৌসুমে তিনি ইয়র্কশায়ারের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। ১৯০৩ সালের শীতকালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দল সংক্ষিপ্ত সফরে ইংল্যান্ডে আসলেও দূর্ভাগ্যবশতঃ তখন তিনি জাপানে অবস্থান করছিলেন। গ্রীষ্মে ইয়র্কশায়ার দল তার অনুপস্থিতির বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পায়। ১৯০৪ সালে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে, প্রকৌশল খাতে নিজেকে মনোনিবেশ ঘটানোয় ১৯০৬ সালের জুলাই ও আগস্ট মাস ব্যতীত তার পক্ষে তিনদিনের ক্রিকেটে সময় দেয়া বেশ কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়।

অনুশীলনীর অভাবে তেরো খেলায় তার গড় ২১.০০ হয় ও কেবলমাত্র দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন। তাসত্ত্বেও, গ্রীষ্মের ভেজা দিনগুলোয় ইয়র্কশায়ারের অমূল্য সম্পদ হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছিলেন। ১৯০০ থেকে ১৯০২ সময়কালে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন ইয়র্কশায়ারের পক্ষে সফলতম সময় অতিবাহিত করেছেন।[২]

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

শৌখিন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে ব্যাপক পরিচিতি পান। তবে, ১৯০২ সালের পর প্রকৌশল খাতে সময় দেয়ার ফলে স্বল্পকালীন খেলোয়াড়ী জীবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার সম্মাননা লাভের দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছিলেন। ১৯০২ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত লর্ডস টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে যুৎসই ছিলেন। ইয়র্কশায়ারের বোলিং উপযোগী পিচেও দূর্দান্ত সফলতা পেয়েছেন। তবে, নিশ্চিতরূপেই ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯২৭ সালে স্ট্যানলি জ্যাকসনের সাথে তিনিও ইয়র্কশায়ার ক্লাবের আজীবন সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে স্ট্যানলি জ্যাকসনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ৮১ বছর বয়সে ১৬ মার্চ, ১৯৬০ তারিখে লিডসের চ্যাপল অলার্টনে দেহাবসানের পূর্ব-পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন।[৩]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি লন টেনিস ও ফিল্ড হকিতেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন টম টেলর। হকিতে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর স্বীকৃতিস্বরূপ ব্লু লাভ করেন ও কেমব্রিজ দলের অধিনায়কত্ব করাসহ ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Taylor, Tom Lancelot (TLR896TL)"A Cambridge Alumni Databaseকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় 
  2. Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 379। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4 
  3. Kilburn, p.122.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জী[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]