টনি পিগট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টনি পিগট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যান্থনি চার্লস শ্যাকলটন পিগট
জন্ম (1958-06-04) ৪ জুন ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)
ফুলহাম, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ডাকনামলেস্টার
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৫০৪)
৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৬০
রানের সংখ্যা ১২ ৪৮৪১
ব্যাটিং গড় ১২.০০ ১৯.২৮
১০০/৫০ –/– ১/২০
সর্বোচ্চ রান ৮* ১০৪*
বল করেছে ১০২ ৩৮০৫৩
উইকেট ৬৭২
বোলিং গড় ৩৭.৫০ ৩০.৯৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭৫ ৭/৭৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ১২১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

অ্যান্থনি চার্লস শ্যাকলটন পিগট (ইংরেজি: Tony Pigott; জন্ম: ৪ জুন, ১৯৫৮) লন্ডনের ফুলহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও সাসেক্স এবং নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘লেস্টার’ ডাকনামে পরিচিত টনি পিগট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

হ্যারো স্কুলে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টনি পিগটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। হ্যারোভীয় টনি পিগটের এক টেস্টে অংশগ্রহণের বিষয়টি সৌভাগ্যজনকভাবে সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে ঘটেছিল।

নিজের সেরা দিনগুলোয় তিনি যথোপযুক্ত ও প্রাণবন্ত ডানহাতি বোলার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতেন। এছাড়াও, নিচেরদিকে মাঝারিসারির মারকূটে ভঙ্গীমায় ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখাতেন। এক সময়কার প্রতিশ্রুতিশীল ফাস্ট বোলার হিসেবে টনি পিগটের আবির্ভাব ঘটেছিল। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন দলের পক্ষেও খেলেছেন তিনি। প্রচলিত নিয়মে শীতকালে নিজ এলাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি পুড়েন। বিবাহ করার আয়োজন চলাকালীন আকস্মিকভাবে নিজ দেশের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। ফলশ্রুতিতে, তার বিয়ে স্থগিত রাখতে হয়।[২]

সাসেক্স দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন। পরবর্তীতে সারে ক্লাবে চলে যান। ১৯৭৮ সালে সাসেক্সের সদস্যরূপে সারের বিপক্ষে প্রথম তিন উইকেট হ্যাট্রিকের মাধ্যমে লাভ করেন।[৩] এ পর্যায়ে তাকে বেশ চমৎকার অল-রাউন্ডার হিসেবে ভাবা হতো। তবে, তার খেলোয়াড়ী জীবনে পিঠের আঘাত নিত্যসঙ্গী ছিল। সারে দলে চলে যাবার পর তিনি একেবারেই কাবু হয়ে পড়েন। সবমিলিয়ে তিনি ৩১-এর কম গড়ে ৬৭২টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। অপরাজিত ১০৪ রানের একমাত্র শতরান করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টনি পিগট। ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৮৪ সালে নিউজিল্যান্ডে সফরকারী ইংরেজ দলের সদস্যরূপে যোগ দেয়ার জন্যে তাকে জরুরীভিত্তিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঐ সময়ে তিনি প্রাদেশিক ক্রিকেটে খেলার জন্যে অবস্থান করছিলেন। আঘাতের কারণে দলের সদস্যের সঙ্কট ঘণীভূত হয়। তবে, ক্রিকইনফোর প্রতিবেদক মার্টিন উইলিয়ামসন মন্তব্য করেন যে, টনি পিগট দল নির্বাচকমণ্ডলীর নজরে ছিলেন না।[৪][৫] বেশ ভালোভাবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। নিজস্ব সপ্তম বলেই নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। তবে, তলানীতে ঠেকা দলটিকে ইংল্যান্ড দল দুইবার শতরানের নিচে গুটিয়ে ফেলে। খেলায় তার দল ৮২ ও ৯৩ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে, খেলার মোট বারো ঘণ্টারও কম সময়ে তার দল পরাজিত হতে বাধ্য হয়।[১] তিনি ২/৭৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।

অবসর[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। সারে দ্বিতীয় একাদশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সাসেক্সের প্রধান নির্বাহী হন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, আমি সাসেক্সের সন্তান। ক্লাবে এ পদে কেউ আগ্রহী নয় বিধায় আমাকে মনোনীত করেছে।[৬] তবে, দায়িত্ব পালনে খামখেয়ালীপণার কারণে ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৯৯৯ সালে পদত্যাগ করেন।[৭]

বর্তমানে তিনি হার্স্টপিরপয়েন্টে মদ্য পানশালা পরিচালনা করছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 132আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "A verdict on spot-fixing"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. Frindall, Bill (১৯৯৮)। The Wisden Book of Cricket Records (Fourth সংস্করণ)। London: Headline Book Publishing। পৃষ্ঠা 279আইএসবিএন 0747222037 
  4. Cricinfo - Eleven quirky debuts
  5. Cricinfo - Once more into the breach
  6. [১]
  7. "Tony Pigott"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]