ঝাড়খণ্ড সরকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঝাড়খণ্ড সরকার
সরকারের আসনরাঁচি
কার্যনির্বাহী
রাজ্যপালদ্রৌপদী মুর্মু
মুখ্যমন্ত্রীহেমন্ত সোরেন
আইনসভা
বিধানসভা
স্পিকারনেই
বিধানসভার সদস্য৮১
বিচার বিভাগ
উচ্চ আদালতঝাড়খণ্ড উচ্চ ন্যায়ালয়
প্রধান বিচারপতিবিচারপতি রবি রঞ্জন

ঝাড়খণ্ড সরকার হচ্ছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য তথা এর অন্তর্ভুক্ত ২৪টি জেলার সর্বোচ্চ শাসনতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষ। এটি ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার কিংবা স্থানীয়ভাবে রাজ্য সরকার হিসাবেও পরিচিত। ঝাড়খণ্ড সরকার একজন রাজ্যপালের নেতৃত্বে নির্বাহী বিভাগ, একটি বিচার বিভাগ এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নামে একটি আইনসভা নিয়ে গঠিত। রাঁচি হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যের রাজধানী এবং এখানে রাজ্যের বিধানসভা (আইনসভা) এবং সচিবালয় অবস্থিত।

নির্বাহী বিভাগ[সম্পাদনা]

ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রধান হলেন রাজ্যপাল (গভর্নর)। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। তিনি ঝাড়খণ্ডের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ায় তার পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। বর্তমানে দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন হচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হলেন সরকারের নির্বাহী প্রধান এবং তার উপরেই সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার বেশিরভাগই ন্যস্ত থাকে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নিয়োগকৃত মন্ত্রিসভার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।

আইনবিভাগ[সম্পাদনা]

ঝাড়খণ্ডের বর্তমান বিধানসভাটি এককক্ষবিশিষ্ট। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা মোট ৮১ জন বিধায়কের (সদস্য বা এম.এল.এ) সমন্বয়ে গঠিত। কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিধানসভা ভেঙ্গে না গেলে এর মেয়াদ ৫ বছর।[১]

বিচার বিভাগ[সম্পাদনা]

ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে ঝাড়খণ্ড উচ্চ ন্যায়ালয় অবস্থিত। এই আদালত ঝাড়খণ্ড রাজ্যে উদ্ভূত মামলাগুলির ক্ষেত্রে এখতিয়ার এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jharkhand Legislative Assembly"Legislative Bodies in India। National Informatics Centre, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১২ 
  2. "Jurisdiction and Seats of Indian High Courts"। Eastern Book Company। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১২