জ্যাক নিটস্কে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাক নিটস্কে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামহোমসডেল কার্ল নিটস্কে
জন্ম১৪ এপ্রিল, ১৯০৫
অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২
উত্তর অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামজ্যাক, স্লিং বা স্লিঙ্গার
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৭)
২৭ নভেম্বর ১৯৩১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১৮ ডিসেম্বর ১৯৩১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৫
রানের সংখ্যা ৫৩ ৩৩২০
ব্যাটিং গড় ২৬.৫০ ৪২.০২
১০০/৫০ ০/০ ৯/১৬
সর্বোচ্চ রান ৪৭ ১৭২
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/০ ২২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ জানুয়ারি ২০২০

হোমসডেল কার্ল নিটস্কে (ইংরেজি: Jack Nitschke; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯০৫ - মৃত্যু: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ‘জ্যাক’, ‘স্লিং’ বা ‘স্লিঙ্গার’ ডাকনামে পরিচিত জ্যাক নিটস্কে। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৩৪-৩৫ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক নিটস্কে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে বামহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। বেশ কয়েক বছর অস্ট্রেলিয়ার দূর্বলতম দল হিসেবে পরিচিত সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যথেষ্ট সংখ্যায় রান তুলেছিলেন। তবে জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে নিজের স্বর্ণালী বছরগুলোয় সেরা ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল।

১৯৩২-৩৩ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে ডগলাস জারদিনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষে দুইটি খেলায় অংশ নেন। ৬৭, ২৮, ৩৮ ও ৮৭ রান তুলে ইংরেজদের কাছে বিশ্বাসের পাত্রে পরিণত হন যে টেস্ট খেলাগুলোয় তিনি আরো সফলতম হবেন।

উপর্যুপরী চার মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। তন্মধ্যে, শেষ মৌসুমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে দলের ২৪৬ রানের মধ্যে তার অবদান ছিল ১৩০ রান। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে অ্যাডিলেডে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ভি. ওয়াই. রিচার্ডসন, লোনারগান ও সি. এল. ব্যাডককের পর প্রথম চারজন ব্যাটসম্যানের একজন হিসেবে তিনি সেঞ্চুরি করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান দূর্দান্ত ছিল। সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৪২.০৩ গড়ে নয় সেঞ্চুরি সহযোগে ৩,৩২০ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক নিটস্কে। ২৭ নভেম্বর, ১৯৩১ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩১ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

নিটস্কে মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে ব্রিসবেন ও সিডনিতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে খেলেন। তবে, দূর্ভাগ্যবশতঃ একই সময়ে নিজের সেরা দিনগুলোয় ডন ব্র্যাডম্যান, বিল পন্সফোর্ড, বিল উডফুল, আর্চি জ্যাকসন, স্ট্যান ম্যাককাবেঅ্যালান কিপাক্সের দলে অন্তর্ভূক্তিতে তাকে আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ দেয়নি। প্রথম টেস্টে মোটে ৬ রান ও দ্বিতীয় টেস্টে ৪৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি।

অবসর[সম্পাদনা]

ই. ডব্লিউ. সোয়ানটন মন্তব্য করেন যে, তিনি বামহাতি যুদ্ধংদেহী চিত্তের অধিকারী ও নতজানুহীন খেলোয়াড় ছিলেন।[১] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ঘোড়দৌড়ের উপযোগী ঘোড়া উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘোড়া উৎপাদনে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন জ্যাক নিটস্কে। ১৯৭৩ সালে ডায়ানা পার্থ কাপে বিজয়ী হয়।[১]

২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অ্যাডিলেড এলাকায় জ্যাক নিটস্কে’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Melford, p. 208.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]