জ্যাক কার্বি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাক কার্বি
১৯৯২ সালে কার্বি
জন্মজ্যাকব কার্টসবার্গ
(১৯১৭-০৮-২৮)২৮ আগস্ট ১৯১৭
নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪(1994-02-06) (বয়স ৭৬)
থাউসেন্ড ওকস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তাআমেরিকান
ছদ্মনামজ্যাক কার্টিস, কার্ট ডেভিস, লেঞ্চ কার্বি, টেড গ্রে, চার্লস নিকোলাস, ফ্রেড সেন্ড, টেডি
উল্লেখযোগ্য কাজ
ক্যাপ্টেন আমেরিকা, ফ্যান্টাসটিক ফোর, থোর, অ্যাভেঞ্জারস, আয়রন ম্যান, হাল্ক, ব্ল্যাক প্যান্থার, দ্য ফোর্থ ওয়ার্ল্ড টাইটেলস, কামান্ডি, ম্যানহান্টার, নিউজবয় লিগিওন, এক্স ম্যান
পুরস্কারঅ্যালে অ্যাওয়ার্ডস, সেরা পেন্সিল আর্টিস্ট (১৯৬৭), বিভিন্ন গল্পের জন্য আরো অনেক পুরস্কার, শাজাম অ্যাওয়ার্ডস, নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষ সম্মাননা (১৯৭১)
দম্পতিরোজ গোল্ডস্টেইন (বি. ১৯৪২)
সন্তান

জ্যাক কার্বি (জন্ম জ্যাকব কার্টসবার্গ, আগস্ট ২৮ ১৯১৭- ফেব্রুয়ারি ৬ ১৯৯৪) একজন আমেরিকান কমিক বই আর্টিস্ট, লেখক এবং সম্পাদক ছিলেন। তিনি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর উদ্ভাবক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে বেড়ে উঠেন, এবং কমিক বইয়ের চরিত্রগুলো দেখে আঁকা শেখেন। তিনি ১৯৩০ এর দশকে কমিক ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন বিভিন্ন ছদ্মনামে, জ্যাক কার্বি নামে পুরোপুরি স্থায়ী হওয়ার পূর্বে। ১৯৪০ এর দশকে সে এবং লেখক-সম্পাদক জো সিমন মার্ভেল কমিকস এর শাখা টাইমলি কমিকস এর জন্য তৈরি করে সবচেয়ে সফল সুপারহিরো চরিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকা। ১৯৪০ এর দশকের মাঝে সে এবং সিমন একসাথে অনেকগুলো চরিত্র তৈরি করে সেই কোম্পানি এবং ন্যাশনাল কমিকস পাবলিকেশন্স এর জন্য, পরবর্তীতে ডিসি কমিকস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে ইউরোপিয়ান থিয়েটার এর হয়ে কাজ করে। কার্বি ডিসি কমিকস, হার্ভি কমিকস, হিলম্যানস পিরিওডিক্যালস এবং অন্যান্য প্রকাশকের জন্য কাজ করতে থাকে। ক্রেস্টউড পাবলিকেশন্স এর হয়ে সে এবং সিমন রোমান্স কমিকস এর ধারা সৃষ্টি করে, এবং পরবর্তীতে নিজেদের স্বল্পস্থায়ী কমিক কোম্পানি মেইনলাইন পাবলিকেশন্স তৈরি করে। ১৯৬০ এর দশকে লেখক-সম্পাদক স্ট্যান লির অধীনে মার্ভেল কমিকস এর জন্য কার্বি অনেক বিখ্যাত চরিত্র তৈরি করে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্যান্টাসটিক ফোর, হাল্ক এবং এক্স-ম্যান। লি-কার্বি জুটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি এবং সমালোচক এর প্রশংসা পায়। কিন্তু ১৯৭০ সালে, কার্বির মনে হয় তার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। বিশেষভাবে লেখায় তার নাম উল্লেখ এবং সৃষ্টিকারীর অধিকার নিয়ে। পরে প্রতিপক্ষ কোম্পানি ডিসি কমিকস এর জন্য কার্বি মার্ভেল ছেড়ে দেয়।

ডিসি তে কার্বি তার ফোর্থ ওয়ার্ল্ড সৃষ্টি করে যেটি কয়েকটি কমিকের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই সিরিজ গুলো বাণিজ্যিক ভাবে অসফল হয় এবং বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ফোর্থ ওয়ার্ল্ডের "নিউ গডস" তখনো ডিসি ইউনিভার্সের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চলতে থাকে। কার্বি ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি মার্ভেলে ফিরে আসে। এবং টেলিভিশন এনিমেশনস্বাধীন এনিমিশনে মনোনিবেশ করে। পরবর্তী বছর গুলোতে কার্বিকে কমিকসের উইলিয়াম ব্লেইক নামে ডাকা হতো।[১] তিনি কর্মজীবনে অনেক পরিচিতি লাভ করে তার অর্জনের জন্য। ১৯৮৭ সালে তিনি ওই তিনজনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যারা সর্বপ্রথম উইল এসনার কমিক বুক হল অফ ফেম এ অন্তর্ভুক্ত হয়। কার্বিকে লি এর সাথে প্রকাশনায় তার সহ-সৃষ্টিমূলক কাজের জন্যই শুধু ডিজনি লিজেন্ড বলা হয় না, বরং ওই সৃষ্টিগুলোর জন্যই দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি গণমাধ্যমে বাণিজ্যিক সাফল্য এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুঁড়ায়।

কার্বি ১৯৪২ সালে রোজালিন্ড গোল্ডস্টেইন কে বিবাহ করে। তাদের চারটি সন্তান রয়েছে। তাদের বিবাহ ১৯৯৪ সালে তার মরণের আগ পর্যন্ত টিকে ছিল। তার সম্মানার্থে জ্যাক কার্বি অ্যাওয়ার্ড এবং জ্যাক কার্বি হল অফ ফেম চালু করা হয়। তিনি তার ক্ষেত্রে মহান যোগদান এর জন্য ভক্তদের কাছে দ্য কিং নামে পরিচিত।

প্রাথমিক জীবন (১৯১৭-১৯৩৫)[সম্পাদনা]

জ্যাকব কার্টজবার্গ ১৯১৭ সালের ২৮ আগস্ট এসেক্স স্ট্রিট এর পূর্বে ম্যানহাটন নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি বেড়ে উঠেন।[২] তার মা-বাবা হলো রোজ (বার্নস্টেইন) এবং বেঞ্জামিন কার্টজবার্গ,[২] ছিলেন অস্ট্রিয়ান ইহুদি অভিবাসী। তার বাবা গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আয় করতো।[৩] তিনি যুবক থাকাকালীন তার প্রতিবেশীর সাথে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতো, তাই বিভিন্ন জায়গায় যেতো ছবি আঁকা সম্পর্কে আরো জানতে।[৪] প্রয়োজনানুসারে নিজ শিক্ষায় [৫] কার্বি কার্টুন স্ট্রিপ শিল্পী মিল্টন ক্যানিফ, হাল ফোস্টার এবং অ্যালেক্স রেইমন্ড সহ মূল কার্টুন শিল্পী সি এইচ সাইক্স, ডিং ডার্লিং এবং রোলিন কার্বিকে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে মানে।[৫] কার্বি জানান তাকে দ্য এডুকেশনাল অ্যালায়েন্স দ্বারা বর্জন করা হয়েছিল কারণ তিনি অনেক দ্রুত আঁকেন।

১৪ বছর বয়সে কার্বি ব্রুকলিন এর প্রাট ইন্সটিটিউট এক সপ্তাহ পরেই ছেড়ে চলে যান। কার্বি বলেন "আমি ওই ধরনের ছাত্র ছিলাম না যেমন প্রাট খুঁজছিল। তারা চাইত মানুষ একটি জিনিসের উপরই সবসময় কাজ করে যাক। আমি কখনোই একটি প্রজেক্টের উপর সারাজীবন কাজ করতে চাই নি। আমি কাজ করে যেতে চাই।"[৬]

কমিকে প্রবেশ (১৯৩৬-১৯৪০)[সম্পাদনা]

ক্যাপ্টেন আমেরিকা #১ (১৯৪১ সালের মার্চ মাসের কভার) কভার কার্বি এবং জো সিমন এর আঁকা

১৯৩৬ সালে কার্বি লিংকন নিউজপেপার সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়। সেখানে তিনি ১৯৩৯ সালের শেষ পর্যন্ত কাজ করতে থাকেন। এরপর চলচ্চিত্র এনিমেশন কোম্পানি ফ্লেইস্চার স্টুডিওস পাপাই কার্টুনের ইনবিটুইনার (এমন একজন শিল্পী যে ফ্রেম এর মধ্যকার বেশিরভাগ চলাচল ঘটায়) হিসেবে কাজ করে।"[৭]

এসময় আমেরিকান কমিক বই ইন্ড্রাস্ট্রি প্রসার লাভ করে। কার্বি তখন কমিক বই প্যাকেজার এইসনার এবং ইগার এর জন্য আঁকা এবং লেখা শুরু করেন, যা তিনি প্রকাশকদের চাহিদা হলে তৈরি করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় কার্বি তার প্রথম কমিক বই ওয়াইল্ড বয় ম্যাগাজিন প্রকাশ করে।[৮] এটিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল সাইন্স ফিকশন ধর্মী অ্যাডভেঞ্চার স্ট্রিপ "দ্য ডায়রি অফ ড. হাওয়ার্ড" (কার্ট ডেভিস নামে), পশ্চিমা সন্ত্রাসবিরোধী "উইল্টন অফ দ্য ওয়েস্ট" (ফ্রেড সেন্ড হিসেবে), রোমাঞ্চ ধর্মী "দ্য কাউন্ট অফ মন্টো ক্রিস্টো" (জ্যাক কার্টিস হিসেবে) এবং রম্য "আব্দুল জোনাস" (টেড গ্রে হিসেবে), "সোকো দ্য সিডগ" (টেডি হিসেবে)। এগুলোর সবগুলো ছিল জাম্বু কমিকস এবং এসনার-ইগার এর জন্য।[৯] তিনি সর্বপ্রথম কার্বি নামটি ব্যবহার করেন লান্চ কার্বি দুটি "লোন রাইডার" এর পশ্চিমা গল্প ইস্টার্ন কালার প্রিন্টিং এর ফেমাস ফানিস এর #৬৩-৬৪ (অক্টো-নভে ১৯৩৯) পৃষ্ঠায়।[৯] তিনি তার ছদ্মনাম হিসেবে জ্যাক কার্বি স্থায়ী করেন কারণ এটি অভিনেতা জেমস কাগনির ছিল। যাইহোক তিনি তাদের উপর ক্ষোভ করেন যারা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল নাম বদলে ফেলার যেনো ইহুদি প্রত্নসম্পদ লুকিয়ে ফেলতে পারে।[১০]

জো সিমনের সাথে সখ্যতা[সম্পাদনা]

কার্বি কমিক বই প্রকাশক এবং সংবাদপত্রের সিন্ডিকেট ফক্স ফিচার সিন্ডিকেটে চলে যায় প্রতি সপ্তাহে $১৫ বেতনে। তিনি তখন সুপারহিরো কার্টুন স্ট্রিপ দ্য ব্লু ব্যাটেল এর মুখ্য হিসেবে কাজ করেন যা জানুয়ারি থেকে মার্চ ১৯৪০ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময়ে তিনি কার্টুনিস্ট এবং ফক্স এর সম্পাদক জো সিমন এর সাথে মিলে কাজ করতে থাকে। সিমন ১৯৮৮ সালে এটি স্মরণ করে বলে "আমি জ্যাকের কাজ ভালোবাসি, এবং আমি যখন তাকে প্রথমবার দেখি আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না কি দেখছি। সে আমাকে জিজ্ঞাস করলো যদি আমরা একসাথে কিছু মুক্ত পেশা করি। আমি খুশি হয় এবং তাকে আমার ছোট্ট অফিস রুমে নিয়ে যাই। আমরা ব্লু বোল্ট এর দ্বিতীয় ইস্যু থেকে ২৫ বছরের মতো একসাথে কাজ করি।[১১]

এই দুজনকে পাল্প ম্যাগাজিন এর প্রকাশক মার্টিন গুডম্যান এর টাইমলি কমিকস (পরবর্তীতে মার্ভেল কমিকস) এর জন্য ভাড়া করা হয়। সেখানে ১৯৪০ এর শেষের দিকে সিমন এবং কার্বি সৃষ্টি করে দেশপ্রেমী সুপারহিরো ক্যাপ্টেন আমেরিকা[১২] সিমন যে পরবর্তীতে কোম্পানির সম্পাদক হয়েছিল ও কার্বি শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। তাদেরকে সৃষ্টিকর্মের লাভের শতকরা ২৫ ভাগ দিতো গুডম্যান।[১৩] ক্যাপ্টেন আমেরিকা'র প্রথম খন্ড প্রকাশ হয়েছিলো ১৯৪১ সালের শুরুর দিকে [১৪] যা কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এবং দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য মিলিয়ন কপি ছাপানো হয়। এই সাফল্যের দরুন এই জুটিকে ইন্ড্রাস্ট্রির উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।[১৫] প্রথম সংস্করণের সাফল্যের পর সিমন কার্বিকে টাইমলি স্টাফের শিল্প নির্দেশক হিসেবে যোগ দিতে বলে।[১৬]

ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে সাফল্যের পর, সিমন বলে তার মনে হয় গুডম্যান তাদের ন্যায্য লাভের অংশ দিচ্ছে না। এজন্য তারা ন্যাশনাল কমিক্স পাবলিকেশন্স (পরবর্তীতে ডিসি কমিক্স) এ কাজের জন্য যোগাযোগ করে।[১৩] কার্বি এবং সিমন তাদের (ন্যাশনাল কমিকস) একটি চুক্তি দেয় যেখানে বলা হয় তাদের দুজনকে প্রতি সপ্তাহে $৫০০ করে দেওয়া হোক, যেখানে টাইমলি থেকে তারা যথাক্রমে $৭৫ এবং $৮৫ করে পেত।[১৭] তবে তারা গুডম্যানের ভয়ে ছিল। যদি সে জেনে যায় তারা ন্যাশনাল কমিক্সে চলে যাচ্ছে তাহলে তাদের বেতন দেবে না। কিন্তু অনেকেই তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি জানতো যার মধ্যে উল্লেখ্য টাইমলির সম্পাদকীয় সহকারী স্ট্যান লি[১৮] যখন গুডম্যান বিষয়টি জানতে পারে সে তাদের ক্যাপ্টেন আমেরিকা #১০ এর কাজ শেষ করে যেতে বলে।[১৮]

কার্বি এবং সিমন ন্যাশনাল কমিক্সে তাদের প্রথম সপ্তাহ কাটায় কীভাবে নতুন চরিত্র তৈরি করা যায়, যেখানে ন্যাশনাল ভাবছিলো কীভাবে এই জুটির সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়।[১৯] কিছু ব্যর্থ সম্পাদকীয় ভৌতিক কার্টুনের পর, ন্যাশনাল কমিক্সের জ্যাক লাইবোটজ বলে তাদের যা ইচ্ছা করতে। এই জুটি তখন তৈরি করে অ্যাডভেঞ্চার কমিক্স এ প্রকাশিত স্যান্ডম্যান এবং সৃষ্টি করে সুপারহিরো ম্যানহান্টার[২০][২১] জুলাই ১৯৪২ এ তারা বয় কমান্ডো ফিচার শুরু করে। চলমান "কিড গ্যাং" সিরিজটি একই নামে একই বছরে প্রকাশিত হয়।[২২] এক মাসের মধ্যেই এটির মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়, যেটি ছিল ন্যাশনালের তৃতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি।[২৩] ২০১০ সালে ডিসি কমিক্সের লেখক এবং নির্বাহী পল লেভিটজ বলে "জেরি সিগ্যাল এবং জো সাস্টার এর মতো, জো সিমন এবং জ্যাক কার্বির সৃজনশীল দল প্রমাণ করে তাদের রেকর্ড ভাঙ্গার গুণ আছে।[২৪]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৪৩-১৯৪৫)[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে লিওবোটিজ আশা করে সিমন এবং কার্বি কে স্থানান্তর করা হবে। তাই সে তাদের এমন কিছু বানাতে বলে যা তাদের অনুপস্থিতিতে প্রকাশ করা যাবে। তখন এই জুটি লেখক, ইনকার্স, লেটারার্স ও কালারিস্টদের ভাড়া করে এবং বছর ধরে চালানো যাবে এমন জিনিস তৈরি করে।[২৩] কার্বিকে জুন ৭, ১৯৪৩ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয়।[২৫] ক্যাম্প স্টুয়ার্ড এ কিছু প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পরে তাকে সাভানা, জর্জিয়ার কাছে কোম্পানি এফ এর ১১ ইনফান্ট্রি রেজিমেন্টে প্রেরণ করা হয়।[২৬] তিনি আগস্ট ২৩, ১৯৪৪ ডি-ডের আড়াই মাস পরে ওমাহা সৈকত এ অবতরণ করেন।[২৬]

যুদ্ধপরবর্তী জীবন (১৯৪৬-১৯৫৫)[সম্পাদনা]

ইয়ং রোমান্স#১ (অক্টোবর ১৯৪৭) কভার এঁকেছেন কার্বি এবং সিমন

যুদ্ধের পরে সিমন কার্বি এবং নিজের জন্য হার্ভে কমিক্স এ কাজ জোগাড় করে।[২৭] ১৯৫০ এর শুরুর দিকে তারা দুজনে সৃষ্টি করে দ্য কিড গ্যাং অ্যাডভেঞ্চার বয় এক্সপ্লোরার কমিকস, দ্য কিড গ্যাং ওয়েস্টার্ন বয়্স রাঞ্চ, সুপারহিরো কমিকস স্টান্টম্যান এবং "ভোগ" এর ৩-ডি চলচ্চিত্র ক্যাপ্টেন ৩-ডি। কার্বি এবং সিমন মূলত হিলম্যান পিরিওডিক্যালস এবং ক্রিস্টওড পাবলিকেশন্স এর হয়ে কাজে নিয়োজিত ছিলো।[৯]

যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এই জুটি রোমান্টিক কমিকস সৃষ্টি করে চরম সাফল্য পায়। সিমন ম্যাকফ্যাডন পাবলিকেশন্স এর রোমান্টিক-কনফেশন্স ম্যাগাজিন ট্রু স্টোরি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কার্বির সাথে মিলে তৈরি করে ইয়ং রোমান্স এর প্রথম সংস্করণ।[২৮] সিমন ক্রিস্টওড পাবলিকেশন্স কে এটি দেখায় এর প্রকাশক থেকে কমিক এর ৫০% চায় এবং তারা দিতে রাজি হয়।[২৮] বছর ঘুরতে "ইয়ং রোমান্স #১" জ্যাক এবং জো'র সেরা হিট বলে বিবেচিত হয়।[২৯] প্রথম প্রকাশনাতেই এটির ছাপার ৯২% বিক্রি হয়ে যায়। ফলে ক্রিস্টওড তৃতীয় সংস্করণে এসে এটির ছাপা তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়।[৩০] সিমন এর বর্ণনাতে, "ইয়ং রোমান্স" কয়েকমাস পরপর ছাপানো হলেও তখন এটি প্রতি মাসেই ছাপানো হতো। এবং এটির একটি স্পিন অফ ইয়ং লাভ বের করা হয়। এই দুই কমিকসেরই প্রতি মাসে দুই মিলিয়ন কপি বিক্রি হতো।[৩১]

সিমনের পরে (১৯৫৬-১৯৫৭)[সম্পাদনা]

ক্রিস্টওডের সসাথে মনমালিন্যের জন্য কার্বি এবং সিমন তাদের নিজস্ব কমিক কোম্পানি মেইনলাইন পাবলিকেশন্স প্রতিষ্ঠা করে।[৩২][৩৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Morrison, Grant (জুলাই ২৩, ২০১১)। "My Supergods from the Age of the Superhero"The Guardian। London, United Kingdom। নভেম্বর ১০, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১১ 
  2. Evanier, Mark; Sherman, Steve; ও অন্যান্য। "Jack Kirby Biography"। Jack Kirby Museum & Research Center। সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২ 
  3. Hamilton, Sue L. Jack Kirby. ABDO Group, 2006. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৯২৮-২৯৮-৫, p. 4
  4. Jones, Gerard (২০০৪)। Men of Tomorrow: Geeks, Gangsters, and the Birth of the Comic BookBasic Books। পৃষ্ঠা 195–96। আইএসবিএন 978-0-465-03657-8 
  5. Mark Evanier, Mark (২০০৮)। Kirby: King of Comics। New York, New York: Abrams। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 978-0-8109-9447-8 
  6. "'I've Never Done Anything Halfheartedly'"। The Comics Journal। Seattle, Washington: Fantagraphics Books (134)। ফেব্রুয়ারি ১৯৯০।  Reprinted in George, Milo, সম্পাদক (২০০২)। The Comics Journal Library, Volume One: Jack Kirby। Seattle, Washington: Fantagraphics Books। পৃষ্ঠা 22আইএসবিএন 978-1-56097-466-6 
  7. Interview, The Comics Journal #134, reprinted in George, p. 24
  8. Interview, The Nostalgia Journal #30, November 1976, reprinted in George, p. 3
  9. Jack Kirby at the Grand Comics Database.
  10. Jones, p. 197
  11. "More Than Your Average Joe - Excerpts from Joe Simon's panels at the 1998 San Diego Comic-Con International"The Jack Kirby Collector। Raleigh, North Carolina: TwoMorrows Publishing (25)। আগস্ট ১৯৯৯। নভেম্বর ৩০, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. Sanderson, Peter; Gilbert, Laura, ed. (২০০৮)। "1940s"। Marvel Chronicle A Year by Year History। London, United Kingdom: Dorling Kindersley। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-0756641238Simon and Kirby decided to create another hero who was their response to totalitarian tyranny abroad. 
  13. Ro, Ronin (২০০৪)। Tales to Astonish: Jack Kirby, Stan Lee and the American Comic Book RevolutionBloomsbury USA। পৃষ্ঠা 25আইএসবিএন 978-1-58234-345-7 
  14. Markstein, Don (২০১০)। "Captain America"Don Markstein's Toonopedia। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৯, ২০১২Captain America was the first successful character published by the company that would become Marvel Comics to debut in his own comic. Captain America Comics #1 was dated March, 1941. [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  15. Jones, p. 200
  16. Ro, p. 21
  17. Ro, p. 25-26
  18. Ro, p. 27
  19. Ro, p. 28
  20. Ro, p. 30
  21. Wallace, Daniel; Dolan, Hannah, ed. (২০১০)। "1940s"। DC Comics Year By Year A Visual Chronicle। London, United Kingdom: Dorling Kindersley। পৃষ্ঠা 41আইএসবিএন 978-0-7566-6742-9Hot properties Joe Simon and Jack Kirby joined DC ... [and] after taking over the Sandman and Sandy, the Golden Boy feature in Adventure Comics #72, the writer and artist team turned their attentions to Manhunter with issue #73. 
  22. Wallace "1940s" in Dolan, p. 41 "The inaugural issue of Boy Commandos represented Joe Simon and Jack Kirby's first original title since they started at DC (though the characters had debuted earlier that year in Detective Comics #64.)"
  23. Ro, p. 32
  24. Levitz, Paul (২০১০)। "The Golden Age 1938–1956"। 75 Years of DC Comics The Art of Modern Mythmaking। Cologne, Germany: Taschen। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 9783836519816 
  25. Ro, p. 33
  26. Evanier, p. 67
  27. Ro, p. 45
  28. Simon, Joe, with Jim Simon. The Comic Book Makers (Crestwood/II, 1990) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৮৭৫৯১-৩৫-৫; reissued (Vanguard Productions, 2003) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৮৭৫৯১-৩৫-৫, pp. 123-125
  29. Ro, p. 46
  30. Howell, Richard (১৯৮৮)। "Introduction"। Real Love: The Best of the Simon and Kirby Love Comics, 1940s-1950s। Forestville, California: Eclipse Books। আইএসবিএন 978-0913035634 
  31. Simon, p. 125
  32. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Ro, p. 54 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  33. Beerbohm, Robert Lee (আগস্ট ১৯৯৯)। "The Mainline Story"The Jack Kirby Collector। Raleigh, North Carolina: TwoMorrows Publishing (25)। মে ২৬, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৬, ২০০৮