জো হামফ্রিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জো হামফ্রিস
আনুমানিক ১৯০৮ সালের অঙ্কিত সিগারেট কার্ডের প্রতিকৃতিতে জো হামফ্রিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামযোসেফ হামফ্রিস
জন্ম(১৮৭৬-০৫-১৯)১৯ মে ১৮৭৬
স্টোনব্রুম, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৭ মে ১৯৪৬(1946-05-07) (বয়স ৬৯)
চেস্টারফিল্ড, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৮)
১ জানুয়ারি ১৯০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৭ ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৯৯ - ১৯১৪ডার্বিশায়ার
১৯০৪ - ১৯১৪মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩০২
রানের সংখ্যা ৪৪ ৫,৪৬৪
ব্যাটিং গড় ৮.৮০ ১৪.১৯
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৬ ৬৮
বল করেছে ৬১
উইকেট
বোলিং গড় - ১৪.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ১/৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/০ ৫৬৪/১১১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

যোসেফ হামফ্রিস (ইংরেজি: Joe Humphries; জন্ম: ১৯ মে, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ৭ মে, ১৯৪৬) ডার্বিশায়ারের স্টোনব্রুম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন জো হামফ্রিস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

জন টমাস হামফ্রিস ও এলিজা দম্পতির পুত্র তিনি। তার পিতা খনি শ্রমিক ছিলেন।[২] ১৮৯৯ সাল থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত জো হামফ্রিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডার্বিশায়ারের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা লাভ করেছেন।

উইকেট-রক্ষক হিসেবে ১৮৯৯ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। তবে, এ পর্যায়ে উইলিয়াম স্টোরারের সহযোগী হিসেবেই তাকে খেলতে হয়। ১৯০২ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ডার্বিশায়ারের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগে পাননি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জো হামফ্রিস। ১ জানুয়ারি, ১৯০৮ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৮ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯০৭-০৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। তিন টেস্টের সবগুলোই এ সফরে খেলেন। এ সফরটি তার জন্যে দূর্ভাগ্যজনক ছিল। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে ইংরেজ অধিনায়ক এ. ও. জোন্স তাকে বিশ্রামে রাখতে বাধ্য হন। এরফলে সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি। প্রথম খেলায় কেমব্রিজসাসেক্সের ক্রিকেটার আর. এ. ইয়ং চশমা পরিধান করে খেলেন। তবে, তিনি ব্যাটিংয়ে হামফ্রিসের তুলনায় শ্রেয়তর ছিলেন। তাসত্ত্বেও, চার ইনিংসে ইয়ং মাত্র ২৭ রান তুলতে পেরেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, পঞ্চম টেস্ট পর্যন্ত হামফ্রিসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ছয় ইনিংসে তিনি ৪৪ রান করেছিলেন।

জানুয়ারি, ১৯০৮ সালে মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নাটকীয় জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রান তুলে টাইবিহীন অবস্থায় দলকে ১ উইকেটে জয় এনে দেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

স্যার হোম গর্ডন হামফ্রিসের ৫৪৫ ক্যাচ ও ১০৩ স্ট্যাম্পিংয়ের কৃতিত্ব প্রদর্শনকে বেশ সুন্দর ঘটনারূপে আখ্যায়িত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। এ পর্যায়ে তিনি ১৪.১৫ গড়ে ৫,৪৩৬ রান তুলতে পেরেছিলেন।

নিজস্ব ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের দশদিন পূর্বে ৭ মে, ১৯৪৬ তারিখে ৭০ বছর বয়সে চেস্টারফিল্ড এলাকায় জো হামফ্রিসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ১৬ অক্টোবর, ২০১৯
  2. British Census 1881
  3. BBC – Classic Test Matches

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]