বিষয়বস্তুতে চলুন

জো ত্লাং

স্থানাঙ্ক: ২১°৪০′২৩.৭৬″ উত্তর ৯২°৩৬′১৬.০৩″ পূর্ব / ২১.৬৭৩২৬৬৭° উত্তর ৯২.৬০৪৪৫২৮° পূর্ব / 21.6732667; 92.6044528
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জো ত্লাং
জো তলাং, জো ত্ল্যাং, জোতলাং, রিয়াং হাফং
নিকটবর্তী দলিয়ান পাড়া গ্রাম থেকে জো ত্লাংয়ের দৃশ্য
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা১,০২১.৬৯ মিটার (৩,৩৫২.০ ফুট)
সুপ্রত্যক্ষতা১৩০ মিটার (৪৩০ ফুট) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
বিচ্ছিন্নতা১৩ কিলোমিটার (৮.১ মাইল) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
তালিকাভুক্তিবাংলাদেশের পর্বতের তালিকা
স্থানাঙ্ক২১°৪০′২৩.৭৬″ উত্তর ৯২°৩৬′১৬.০৩″ পূর্ব / ২১.৬৭৩২৬৬৭° উত্তর ৯২.৬০৪৪৫২৮° পূর্ব / 21.6732667; 92.6044528
ভূগোল
জো ত্লাং বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
জো ত্লাং
জো ত্লাং
জো ত্লাংয়ের অবস্থান
জো ত্লাং মিয়ানমার-এ অবস্থিত
জো ত্লাং
জো ত্লাং
জো ত্লাংয়ের অবস্থান
অবস্থানবাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্ত
পর্বতশ্রেণীমোদক রেঞ্জ

জো ত্লাং (বিকল্প বানান জো তলাং, জো ত্ল্যাং বা জোতলাং) বা রিয়াং হাফং হলো বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত একটি পর্বত। এর উচ্চতা ১,০২২ মিটার (৩,৩৫৩ ফুট)।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বম ভাষায় "জো" শব্দটি দিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের "মিজো" জাতিকে বুঝানো হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে বাংলাদেশ বৃহত্তর ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে সম্ভবত পর্বতের এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে "ত্লাং" শব্দের অর্থ পর্বত। বিভিন্ন মার্কিন ও রুশ ভৌগোলিক মানচিত্রে জো ত্লাংকে "মোদক মুয়াল" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলা ট্রেক অনুযায়ী এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত। তবে সরকারিভাবে এটি স্বীকৃত নয়। অনেক স্থানীয় পর্যটকদের কাছে এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পর্বতচূড়া হিসেবে স্বীকৃত।

২০০৭ সালের বাংলাদেশি পর্বতারোহী সুব্রত দাশ নীতিশ ও বিজয় শঙ্কর কর প্রথমবারের মতো এর চূড়ায় আরোহন করেন। এই দলটি ২০০৭ সালে আবারও এর চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন। তবে, এই দুই অভিযানে জিপিএস যন্ত্র না থাকায় এর উচ্চতা নির্ণয় করা যায়নি। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি তাশদীদ রেজওয়ান মুগ্ধ, তারিকুল আলম সুজন, সালেহীন আরশাদী ও এসএম মঈনুলের সমন্বয়ে গঠিত বাংলা ট্রেকের একটি দল তৃতীয়বারের মতো এই পর্বতে আরোহণ করেন এবং সঠিকভাবে এর ভৌগোলিক অবস্থান ও উচ্চতা পরিমাপ করেন। দলের দুইজন সদস্য মুগ্ধ ও সুজন অভিযান শেষে বান্দরবান ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন। সালেহীন ও মঈনুল দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন।

২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর শাহজামান চৌধুরী হীরার নেতৃত্বে তৃতীয় আরেকটি দল পর্বতচূড়ায় আরোহন করেন। এই দলের ছয়জন সদস্য ছিলেন। তারা হলেন: সরফরাজ চৌধুরী জনি, সিদরাতুল আফিয়া মোহনা, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আনাস অনি ও বাকি বিল্লাহ মিলন।[] এই দলের একজন নারী সদস্য প্রথমবারের মতো জো ত্লাংয়ের চূড়ায় আরোহন করেন। পরবর্তীতে পর্বতারোহীদের আরও দল এই চূড়ায় আরোহন করেছেন।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Zow Tlang (Mowdok Mual) as seen from the nearest mountain village Dowlian Para"প্যানোরামিও (ইংরেজি ভাষায়)।