জেজু প্রদেশ
জেজু প্রদেশ | |
---|---|
বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ | |
জেজু বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ | |
Dol hareubang at Seongeup Folk Village Daepo Jusangjeolli Cliff Sanbangsan Doldam walls and rapeseed flowers Seongsan Ilchulbong | |
![]() | |
দেশ | দক্ষিণ কোরিয়া |
অঞ্চল | জেজু |
দক্ষিণ জোয়েলা প্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় | ১ আগস্ট ১৯৪৬ |
বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ | ১ জুলাই ২০০৬ |
রাজধানী | জেজু শহর |
উপবিভাগ | ২ শহর; ৫ কাউন্টি |
সরকার | |
• গভর্নর | Oh Young-hun (Democratic) |
• বডি | জেজু প্রাদেশিক কাউন্সিল |
• National Representation - National Assembly | ৩ / ২৫৩ 1.19% (constituency seats) |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮৪৯ বর্গকিমি (৭১৪ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৯ম |
জনসংখ্যা (নভেম্বর, ২০২০) | |
• মোট | ৬,৭০,৮৫৮ |
• ক্রম | ৯ম |
• জনঘনত্ব | ৩৬০/বর্গকিমি (৯৪০/বর্গমাইল) |
মেট্রোপলিটিয়ান প্রতিক | |
• ফুল | রোদরঞ্জন |
• গাছ | কর্পূর গাছ |
• পাখি | কাঠঠোকরা |
জিডিপি[১] | |
• মোট | KR₩ 31 trillion US$ 23 billion (2024) per capita US$ (2024)25,580$ |
এলাকা কোড | +82-64 |
ভাষা | জেজু, কোরিয়ান |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৭) | 0.888[২] খুব ভালো |
ওয়েবসাইট | Official website (English) |
জেজু প্রদেশ, আনুষ্ঠানিকভাবে জেজু বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হলো দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি প্রদেশ। এতে আটটি জনবসতিপূর্ণ ও ৫৫টি জনবসতিবিহীন দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যাতে দেশটির সর্ববৃহৎ দ্বীপ জেজু দ্বীপ অন্তর্ভূক্ত। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষুদ্রতম প্রদেশ।
প্রদেশটি কোরিয়ান প্রণালীতে অবস্থিত, যার উত্তর-পশ্চিমে কোরিয়ান উপদ্বীপ, পূর্বে জাপান, এবং পশ্চিমে চীন অবস্থিত। প্রদেশটির দুটি শহর রয়েছে: দ্বীপের উত্তর অংশে রাজধানী জেজু শহর এবং দ্বীপের দক্ষিণ অংশে সেওগুইপো শহর। দ্বীপটিতে রয়েছে হাল্লাসান ঢাল আগ্নেওগিরি, যা দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু। জেজু ও কোরিয়ান ভাষা হলো প্রদেশটির সরকারী ভাষা এবং এর বেশির বাসিন্দাই দ্বিভাষী।
জেজু দ্বীপে প্রথম মানুষ বসবাস শুরু করে ৮০০০ থেকে ১০০০০ বছর আগে। দ্বীপের এখন পর্যন্ত জানা সবচেয়ে পুরোনো সভ্যতা হলো তাম্না রাজ্য। পঞ্চম শতাব্দীর শুরুর দিকে, রাজ্যটি বিভিন্ন কোরিয়ান রাজ্যের করদাতা রাজ্যে পরিণত হয়। কিছু সময়ের জন্য দ্বীপটি মঙ্গোল সামজ্যের দখলে আসে। এরপর ১১০৫ সালে দ্বীপটি গোরেও রাজ্যে সংযুক্ত হয় এবং পরে ১৩৯২ সালে জোসেওন রাজ্যের অংশ হয়। জোসেওন দ্বীপটিকে নির্মমভাবে শাসন এবং বিভিন্ন বিদ্রোহ ঘটে। জেজু দ্বীপ ও কোরিয়া মূল ভূখন্ড ১৯১০ সালে জাপান সাম্রাজ্যের দখলে আসে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পনের পর দ্বীপটি দক্ষিণ জেওলা প্রদেশের অংশ হয়। ১৯৪৬ সালের ১ আগস্ট এটি আলাদা প্রদেশে পরিণত হয়। ২০০৬ সালের ১ জুলাই দ্বীপটি বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বহু সংখ্যক দ্বীপ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে জেজু দ্বীপ অবস্থিত। পশ্চিম থেকে পূর্বে এটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার এবং উত্তর তেকে দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। [৩] এর আয়তন ১৮৪৬ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১ হাজার ৯৫০ মিটার। জেজু দ্বীপটি গঠিত হয়েছে ৩৬০টি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে। ভূতত্ত্ববিদ জি.সি. রবার্টের ভাষ্য অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি। জেজু দ্বীপটিকে দূর থেকে দেখতে অতি চমৎকার। সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি, যে কারণে ১৯১০ সালে জেজু দ্বীপকে ডাকা হতো জি.জি ক্যাডা নামে। স্থানীয় জনগণের ভাষ্য মতে, জি.জি ক্যাডা মানে আগ্নেয়গিরি। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্যাডার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জেজু দ্বীপ। কখন কখন এটিকে সামাদো দ্বীপ বলেও অভিহিত করা হয়।[৩]
জেজু দ্বীপের নাম পরিবর্তন হলেও এর আয়তন পরিমাপ করতে আরও অনেক বছর সময় লেগে যায়। ১৯৫৫ সালের দিকে জেজু দ্বীপটির আয়তন পরিমাপ করা হয়। সমুদ্রের কূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান হওয়ায় সহজে জেজু দ্বীপে যাওয়া যায় না। জাহাজ কিংবা বড় কোনো নৌযান নিয়ে জেজু দ্বীপে যেতে হয়। জেজু দ্বীপে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপ ছাড়াও রয়েছে এক বা একাধিক পাহাড়। জেজু দ্বীপে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পাহাড় হ্যালোসান দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু। জেজু দ্বীপে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির ডাইসন, বিরল প্রজাতির সাপ ও হনুমান। [৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ 2024년 지역소득। www.kosis.go.kr। ২০২৩-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১১।
- ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।
- ↑ ক খ Volcanic Jeju, Island of the Gods
- ↑ Jeju-Paradise of Nature in the North Pacific[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "http://www.new7wonders.com/archives/wonder/jeju-island"। ১২ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১১।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)