জুলফিকার আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুলফিকার আহমেদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজুলফিকার আহমেদ
জন্ম(১৯২৬-১১-২২)২২ নভেম্বর ১৯২৬
লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৩ অক্টোবর ২০০৮(2008-10-03) (বয়স ৮১)
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, লাহোর, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩)
২৩ অক্টোবর ১৯৫২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১১ অক্টোবর ১৯৫৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬১
রানের সংখ্যা ২০০ ৯৭৫
ব্যাটিং গড় ৩৩.৩৩ ১৯.১১
১০০/৫০ ০/১ ০/৪
সর্বোচ্চ রান ৬৩* ৭৩
বল করেছে ১,২৮৫ ৯,৩৩৭
উইকেট ২০ ১৬৩
বোলিং গড় ১৮.৩০ ২১.৮৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৪২ ৭/৬৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ২১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ মে ২০২০

জুলফিকার আহমেদ (উর্দু: ذوالفقار احمد‎‎; জন্ম: ২২ নভেম্বর, ১৯২৬ - মৃত্যু: ৩ অক্টোবর, ২০০৮) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও পাঞ্জাব দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

লাহোরের ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত জুলফিকার আহমেদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মূখ্যতঃ অফ স্পিন বোলিং করতেন। পাশাপাশি, নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে জুলফিকার আহমেদের সুনাম ছিল।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জুলফিকার আহমেদ। ২৩ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে লখনউয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ অক্টোবর, ১৯৫৬ তারিখে করাচীতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৫২-৫৩ মৌসুমে ভারতে তাদের উদ্বোধনী টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণকারী অন্যতম সদস্য ছিলেন। লখনউয়ে তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯৫৪ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ড ও ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে নিজ দেশে মুখোমুখি হন। সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকৃত নয় টেস্ট থেকে দুইশত রান ও ২০ উইকেট পেয়েছেন। ওভালে দশ নম্বরে ব্যাটিং নেমে মহামূল্যবান ৩৪ রান তুলে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন।

নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি[সম্পাদনা]

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দল পাকিস্তান গমন করে। করাচীতে অনুষ্ঠিত টেস্টে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। খেলায় তিনি ৭৯ রান খরচায় ১১ উইকেট পান।[২] লাহোরের পরের টেস্টে পাকিস্তানের শেষ চার উইকেটে ৪৫০ রান যুক্ত করার ন্যায় রেকর্ডের পিছনে ভূমিকা রাখেন। এক পর্যায়ে তার দল ১১১/৬ ছিল ও শেষ পর্যন্ত ৫৬১ রান তুলতে সমর্থ হয়। দলের সংগ্রহ ৪৮২/৮ থাকা অবস্থায় মাঠে নামেন ও ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। অতঃপর ৩ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে ৮১ বছর বয়সে লাহোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জুলফিকার আহমেদের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন মোহাম্মদ আসলামের পর তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Former Test cricketer Zulfiqar passes away"Daily Times। ৪ অক্টোবর ২০০৮। ৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. Pakistan v New Zealand, Karachi 1955-56

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]