বিষয়বস্তুতে চলুন

জুডিথ বাটলার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুডিথ বাটলার
২০১২ সালের মার্চ মাসে বাটলার
জন্ম
জুডিথ পামেলা বাটলার

(1956-02-24) ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৯)
শিক্ষা
সঙ্গীওয়েন্ডি ব্রাউন
সন্তান
যুগ২০তম-/২১তম-শতাব্দী দর্শনশাস্ত্র
অঞ্চলপাশ্চাত্য দর্শন
ধারা
প্রতিষ্ঠানক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে ইউরোপিয়ান গ্র্যাজুয়েট বিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টামরিস নাটানসন
প্রধান আগ্রহ
উল্লেখযোগ্য অবদান

জুডিথ বাটলার [] (জন্ম; ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) একজন আমেরিকান নারীবাদী দার্শনিক এবং লিঙ্গ অধ্যয়নের পণ্ডিত যাঁর কাজ রাজনৈতিক দর্শন, নীতিশাস্ত্র এবং তৃতীয়-তরঙ্গ নারীবাদ,[] কুইয়ার তত্ত্ব,[] এবং সাহিত্য তত্ত্বের ক্ষেত্রগুলিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে।[]

১৯৯৩ সালে, জুডিথ পামেলা বাটলার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলেতে অলঙ্কারশাস্ত্র বিভাগে যোগদান করেন, এবং সেখানে থেকে তারা []১৯৯৮ সালে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে এবং সমালোচনামূলক তত্ত্বের কার্যসূচীতে ম্যাক্সিন এলিয়ট অধ্যাপক হন। তারা ইউরোপীয় গ্র্যাজুয়েট স্কুল (ইজিএস) এ হান্না আরেন্ড্ট চেয়ারও ধরে রাখেন।[]

বাটলার তাদের "জেন্ডার ট্রাবল: ফেমিনিজম অ্যান্ড দ্য সাবভার্সন অফ আইডেন্টিটি" (১৯৯০) এবং "বডিজ দ্যাট ম্যাটার: অন দ্য ডিসকারসিভ লিমিটস অফ সেক্স" (১৯৯৩) বইয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেখানে তারা লিঙ্গের প্রচলিত, ভিন্নধর্মী ধারণাগুলিকে দাবি করেন এবং লিঙ্গ কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তাদের তত্ত্ব প্রকাশিত করেন। এই তত্ত্বটি নারীবাদী এবং সমকামী বৃত্তির উপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে।[] তাদের কাজ প্রায়শই চলচ্চিত্র অধ্যয়ন পাঠ্যক্রমে অধ্যয়ন এবং বিতর্কিত হয় যেখানে লিঙ্গ অধ্যয়ন এবং কর্মক্ষমতার উপর জোর দেওয়া হয়।

বাটলার ইসরায়েলি রাজনীতি এবং এলজিবিটি অধিকারের সমর্থন সহ অনেক সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রশ্নে কথা বলেছেন।[][১০][১১]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

জুডিথ বাটলার ১৯৫৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে[১২] হাঙ্গেরীয়-ইহুদি এবং রাশিয়ান-ইহুদি বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১৩] তাদের মাতামহীর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে শোয়াতে হত্যা করা হয়েছিল।[১৪] বাটলারের বাবা-মা সংস্কারবাদী ইহুদি ধর্ম পালন করতেন। তাদের মা সনাতন বা অর্থোডক্স ভাব ধারায় বেড়ে ওঠার জন্য রক্ষণশীল ইহুদি ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে পড়েন, পরে অবশেষে যখন তাদের বাবা সংস্কারসাধনে রত হয়েছিলেন তখন নিজেকে পরিবর্তন করেন। শিশু এবং কিশোর বয়সে, বাটলার হিব্রু স্কুল এবং ইহুদি নীতিশাস্ত্রের উপর বিশেষ ক্লাস উভয় ক্ষেত্রেই পড়াশোনা করেছিলেন, যেখানে তারা "দর্শনশাস্ত্রের প্রথম প্রশিক্ষণ" পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে হারেটজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বাটলার বলেছিলেন যে তারা ১৪ বছর বয়সে নীতিশাস্ত্রের শিক্ষা শুরু করেছিলেন এবং বাটলারের হিব্রু বিদ্যালয়ের রাব্বি সেটা শাস্তি হিসেবে তৈরি করেছিলেন কারণ তারা "শ্রেণীতে খুব বেশি কথাবার্তা বলত",[১৪] এবং প্রায়শই তাদের ঠাট্টা করার অভিযোগও করা হত।[১৫] বাটলার বলেন যে তারা এই গৃহশিক্ষক-সম্বন্ধীয় বা টিউটোরিয়ালগুলির ধারণাটি দ্বারা "মজা" পেতেন। এই বিশেষ অধিবেশনগুলিতে তারা কী অধ্যয়ন করতে চান জানতে চাইলে, বাটলার তিনটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যা তাদের সেই সময়ে ভাবিয়ে তুলেছিল: "কেন স্পিনোজাকে সিনাগগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল? জার্মান আদর্শবাদকে কি নাৎসিবাদের জন্য দায়ী করা যেতে পারে? এবং মার্টিন বুবারের কাজ সহ অস্তিত্ববাদী ধর্মতত্ত্ব কীভাবে বোঝা যায়?" [১৫][১৬]

বাটলার একজন লেসবিয়ান,[১৭] ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে আইনত নন-বাইনারি,[১৮] এবং তিনি বলেছেন ২০২০ সাল থেকে, তারা একবচন তারা/তাদের এবং সে/তাহার উভয় সর্বনামই ব্যবহার করেন কিন্তু একবচন তারা/তাদের সর্বনাম ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।[] বাটলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে জন্মের সময় নারী হিসেবে নির্ধারিত হওয়ার কারণে তারা "কখনও বাড়িতে ছিলেন না"।[]

তারা তাদের সঙ্গী ওয়েন্ডি ব্রাউন এবং ছেলের সাথে বার্কলেতে থাকে।[১৯]

  1. বাটলার সে/তার এবং তারা/তাদের (লিঙ্গ নিরপেক্ষ একবচন) সর্বনাম ব্যবহার করেন।[] কিন্তু ২০২০ সালে বলেন যে তিনি পরেরটি পছন্দ করছেন।[] এই নিবন্ধে ধারাবাহিকতার জন্য তারা/তাদের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে, যদিও বাংলায় সর্বনাম লিঙ্গ নিরপেক্ষ।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ="Duignan 2018">Encyclopædia Britannica 
  2. Rottenberg, Catherine (২৭ আগস্ট ২০০৩)। "Judith Butler"। The Literary Encyclopedia। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২২ 
  3. Halberstam, Jack (২০১৪-০৫-১৬)। "An audio overview of queer theory in English and Turkish by Jack Halberstam"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪ 
  4. Kearns, Gerry (২০১৩)। "The Butler affair and the geopolitics of identity" (পিডিএফ): 191–207। ডিওআই:10.1068/d1713 
  5. Ferber, Alona (২০২০-০৯-২২)। "Judith Butler on the culture wars, JK Rowling and living in 'anti-intellectual times'"New Statesman (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭Many people who were assigned "female" at birth never felt at home with that assignment, and those people (including me) tell all of us something important about the constraints of traditional gender norms for many who fall outside its terms. ... *Judith Butler goes by she or they 
  6. Kathryn Fischer (১৩ জুলাই ২০২০)। "The Pronoun is free from the Body - but it is not free from Gender (Das Pronomen ist frei vom Körper - aber es ist nicht frei vom Geschlecht)"Der Tagesspiegel (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২১Which pronoun do I prefer? Butler laughs ... . 'It is they', Butler says ... . It is the year 2020, and Butler outs themselves as "they" - a truly historic moment. (Welches Pronomen bevorzuge ich? Butler lacht .. . 'Es ist they', sagt Butler ... . Wir haben das Jahr 2020 und Butler outet sich als "they" - ein wahrhaft historischer Moment.) 
  7. "Judith Butler, European Graduate School"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৫ 
  8. Thulin, Lesley (১৯ এপ্রিল ২০১২)। "Feminist theorist Judith Butler rethinks kinship"Columbia Spectator। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  9. "Judith Butler"McGill Reporter। McGill। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  10. Gans, Chaim (ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)। "Review of Judith Butler's "Parting Ways: Jewishness and the Critique of Zionism""। সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩ 
  11. Butler, Judith (২০২৩-১০-১৩)। "The Compass of Mourning"London Review of Books (ইংরেজি ভাষায়)। 45আইএসএসএন 0260-9592। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৮ 
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Duignan 2018 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. Regina Michalik (মে ২০০১)। "Interview with Judith Butler"Lola Press। ডিসেম্বর ১৯, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১০ 
  14. Udi, Aloni (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Judith Butler: As a Jew, I was taught it was ethically imperative to speak up"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  15. Segal, Parul (২৯ এপ্রিল ২০২৪)। "Who's Afraid of Judith Butler?"newyorker.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  16. "Judith Butler and Michael Roth: A Conversation at Wesleyan University's Center for Humanities"। Wesleyan University। মার্চ ২০১৩। 
  17. Daughenbaugh, Lynda Robbirds; Shaw, Edward L. (২০১৩)। "Judith Butler: Philosophy of Resistance"। A Critical Pedagogy of Resistance। Transgressions। পৃষ্ঠা 17–20। আইএসবিএন 978-94-6209-374-4ডিওআই:10.1007/978-94-6209-374-4_5 
  18. Butler, Judith (২০২৪)। Who's afraid of gender?। Allen lane। পৃষ্ঠা 165–166। আইএসবিএন 978-0-241-59582-4 
  19. Molly Fischer (২০১৬-০৬-২১)। "Think Gender Is Performance? You Have Judith Butler to Thank for That"The Cut (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৪, ২০১৭ 

আরও পড়া

[সম্পাদনা]

 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]