জিম ম্যাককোনন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিম ম্যাককোনন
১৯৫৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জিম ম্যাককোনন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস এডওয়ার্ড ম্যাককোনন
জন্ম(১৯২২-০৬-২১)২১ জুন ১৯২২
বার্নপফিল্ড, কাউন্টি ডারহাম, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৬ জানুয়ারি ২০০৩(2003-01-26) (বয়স ৮০)
অ্যালট্রিনচাম, বৃহত্তর ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৭৪)
২২ জুলাই ১৯৫৪ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১২ আগস্ট ১৯৫৪ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৫৬
রানের সংখ্যা ১৮ ৪৬৬১
ব্যাটিং গড় ৯.০০ ১৪.৩৮
১০০/৫০ –/– –/১৩
সর্বোচ্চ রান ১১ ৯৫
বল করেছে ২১৬ ৩৭৪৪৯
উইকেট ৮১৯
বোলিং গড় ১৮.৫০ ১৯.৮৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪৯
ম্যাচে ১০ উইকেট ১২
সেরা বোলিং ৩/১৯ ৮/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ১৫১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ অক্টোবর ২০২০

জেমস এডওয়ার্ড ম্যাককোনন (ইংরেজি: Jim McConnon; জন্ম: ২১ জুন, ১৯২২ - মৃত্যু: ২৬ জানুয়ারি, ২০০৩) কাউন্টি ডারহামের বার্নপফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন জিম ম্যাককোনন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

কাউন্টি ডারহামের বার্নপফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম ম্যাককোনন[১] বেশ দেরীতে ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বে ফুটবল খেলতেন। অ্যাশটন ভিলা, নিউপোর্ট কাউন্টি দলে ফুটবল খেলেছেন। হাঁটুর আঘাতের কারণে তাকে খেলা বদলাতে হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দীর্ঘকায় আঙ্গুলের সদ্ব্যবহারে সক্ষম হন ও স্পিন বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ পর্যায়ে তিনি জিম লেকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন।[১]

১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত জিম ম্যাককোননের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তবে, তার মাঝে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। ১৯৫০ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলেন। তবে, ১৯৫৬ সালটি ব্যতিক্রম ছিল। এ পর্যায়ে তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে বার্নলি দলের পক্ষে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সবমিলিয়ে ২০-এর কম গড়ে ৮১৯টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।

স্বর্ণালী মুহূর্ত[সম্পাদনা]

১৯৫০ সালের শুরুতে ২৮ বছর বয়সে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় সারের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। ২৯ এপ্রিল, ১৯৫০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঐ একই খেলায় ডন শেফার্ডেরও অভিষেক ঘটেছিল। তিন মৌসুমে শত উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৯৫১ সালে ব্যক্তিগত সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৬.০৭ গড়ে ১৩৬ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। লেন মান্সারের সাথে দলে স্থান পাকাপোক্ত করেন।

১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের বিপক্ষে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। মান্সার-ম্যাককোনন জুটির অফ স্পিন বোলিংয়ে কুপোকাত হয়। ১১১ রানে উভয় দলই তাদের ইনিংস শেষ করে। দ্বিতীয় ইনিংসে গ্ল্যামারগন মাত্র ১৪৭ রান তুলে। দ্বিতীয় দিনে বিনা উইকেটে ৫৪ রান করার পর জয়ের দিকে চলে যায়। তবে, প্রথম ইনিংসে মান্সার ৭/৪৫ বোলিংয়ের পাশাপাশি ৮.৫ ওভারে ৪/১৬ নেন। অন্যদিকে, জিম ম্যাককোনন দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাট্রিকসহ ৬/২৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্ল্যামারগন দলকে ৬৪ রানে বিজয়ী করান। প্রায় ত্রিশ হাজার দর্শক খেলাটি দেখেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিম ম্যাককোনন। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২২ জুলাই, ১৯৫৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১২ আগস্ট, ১৯৫৪ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় ওভারে ৩/১২ পান ও খেলায় চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। অনেকটা বিতর্কিতভাবে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অ্যাশেজ সফরের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। জিম লেকারকে অস্ট্রেলিয়া সফরে রাখা হয়নি।[২] তবে, সফরকারী চলাকালীন আঙ্গুলে আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে, তাকে শুরুতেই দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়।[১]

অবসর[সম্পাদনা]

১০৫৬ সালে পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশ নেন ও বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ৬.৮০ গড়ে ৫২ উইকেট নিয়ে লীগের শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।[৩] ঐ মৌসুমে বার্নলি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করে।[৪] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে চলে আসার পর মাইনর কাউন্টিজে কয়েক মৌসুম খেলেন। এ পর্যায়ে তিনি চেশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

গোঁড়ালির আঘাত ও পিঠের সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন টেস্ট অঙ্গনে অবস্থান করতে পারেননি। সবমিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯.৮৮ গড়ে ৮১৯ উইকেট, ১৫২ ক্যাচ ও ৪,৬৬১ রান সংগ্রহ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। পলিন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির মাইকেল, ক্যাথরিন ও ক্রিস্টোফার নামীয় তিন সন্তান ছিল।[৫] ২৬ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে ৮০ বছর বয়সে বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের অ্যালট্রিনচাম এলাকায় জিম ম্যাককোননের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 114–115আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Brian Scovell (২০০৬)। Jim Laker: Nineteen for Ninety (2006 সংস্করণ)। The History Press। আইএসবিএন 978-0-7524-3932-7 
  3. 1956 averages
  4. 1956 table
  5. [১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]