জিম পার্কস (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯০৩)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিম পার্কস, সিনিয়র
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস হোরেস পার্কস
জন্ম(১৯০৩-০৫-১২)১২ মে ১৯০৩
হেওয়ার্ডস হিদ, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২১ নভেম্বর ১৯৮০(1980-11-21) (বয়স ৭৭)
কাকফিল্ড, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো-মিডিয়াম
সম্পর্কহ্যারি পার্কস (ভ্রাতা)
জিম পার্কস জুনিয়র (পুত্র)
ববি পার্কস (নাতি)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৯৫)
২৬ জুন ১৯৩৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৪–১৯৩৯সাসেক্স
১৯৪৬–১৯৪৭ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৬৮
রানের সংখ্যা ২৯ ২১,৩৬৯
ব্যাটিং গড় ১৪.৫০ ৩০.৭৪
১০০/৫০ ০/০ ৪১/৯৪
সর্বোচ্চ রান ২২ ১৯৭
বল করেছে ১২৬ ৬০,৮০৬
উইকেট ৮৫২
বোলিং গড় ১২.০০ ২৬.৭৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৪
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২৬ ৭/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৩২৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জেমস হোরেস পার্কস (ইংরেজি: Jim Parks; জন্ম: ১২ মে, ১৯০৩ - মৃত্যু: ২১ নভেম্বর, ১৯৮০) হেওয়ার্ডস হিদে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ও নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে স্লো মিডিয়াম বোলিংয়ে স্বীয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন জিম পার্কস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

জিম পার্কস ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ইনসুইঙ্গার সহযোগে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। ১৯২৪ সালে সাসেক্স দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯২৭ থেকে দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পান। ১৯৩৯ সাল বাদে প্রত্যেক বছরই সহস্রাধিক রানের সন্ধান পেয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে জিম পার্কসের। ১৯৩৫ সালে আদর্শ অল-রাউন্ডার হিসেবে সহস্রাধিক রানের পাশাপাশি শত উইকেট সংগ্রহের ন্যায় ডাবল লাভ করেছিলেন। তবে আহামরি ধরনের ছিল না তার খেলোয়াড়ী জীবন। ১৯৩৭ সালের পূর্ব-পর্যন্ত সাধারণমানের কাউন্টি ক্রিকেটার হিসেবে তার স্বীকৃতি ছিল। ১৯৩৭ সালে ৩,০০৩ রান তোলার সাথে সাথে ঐ মৌসুমে ১০১ উইকেটও পেয়েছিলেন তিনি।[১] এরফলে বিরল রেকর্ড স্থাপন করেন যা নিশ্চিতরূপেই কখনো সমান হবে না।[২] এক ইংরেজ মৌসুমে কেবলমাত্র ১৩জন ক্রিকেটার দুই সহস্রাধিক রান ও ১০০ উইকেট পেয়েছেন। কোন ক্রিকেটারই তিন সহস্র রান ও ১০০ উইকেট পাননি। এ অবস্থায় ১১ সেঞ্চুরি হাঁকান ও ২১ ক্যাচও তালুবন্দী করেছিলেন জিম পার্কস। তার এ সাফল্যে উইজডেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৭ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে টেস্ট খেলার জন্য মনোনীত হন। ২৬ জুন, ১৯৩৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে দলের অপর অন্তর্ভুক্ত লেন হাটনের সাথে তারও টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৩] ঐ টেস্টে তিনি ২২ ও ৭ রান তুলেন। এছাড়াও বল হাতে নিয়ে তিন উইকেট দখল করেন। এরপর তাকে আর খেলার জন্য মনোনীত করা হয়নি। পরের বছর ১৯৩৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জিম পার্কস ল্যাঙ্কাশায়ারের লীগ ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৬০-এর দশকে সাসেক্সের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২১ নভেম্বর, ১৯৮০ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের কাকফিল্ড এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে।

তিনি জিম পার্কস সিনিয়র নামে চিহ্নিত হয়েছেন। কেননা, তার পুত্র জেমস মাইকেল পার্কস সাসেক্স, সমারসেট ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে সফলতম খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। পাশাপাশি তার সহোদর ভাই হ্যারি পার্কস সাসেক্সের পক্ষাবলম্বন করেছেন। নিজ নাতি ববি পার্কস হ্যাম্পশায়ারের ক্লাব ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "When Trumble made 'em tumble"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৭ 
  2. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask BeardersBBC Books। পৃষ্ঠা 154আইএসবিএন 978-1-84607-880-4 
  3. Cricinfo: New Zealand in England Test Series - 1st Test, 1937 season

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]