জিবুতি বন্দর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিবুতি বন্দর
জিবুতি বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল।
অবস্থান
দেশজিবুতি
অবস্থানজিবুতি শহর
বিস্তারিত
পরিচালনা করেজিবুতি বন্দর ও মুক্ত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ
পোতাশ্রয়ের ধরনসমুদ্র বন্দর
পরিসংখ্যান
জলযানের আগমন১৮৪১ (২০১৬)
বার্ষিক কার্গো টন৬.৫২৪ মিলিয়ন টন (২০১৬)
বার্ষিক কন্টেইনারের আয়তন৯,৭৮,১৮৯ টিইইউ (২০১৬) [১]
ওয়েবসাইট
www.portdedjibouti.com
একটি ইথিওপিয়ান মালবাহী জাহাজ জিবুতি বন্দরে নৌঙর করেছে।

জিবুতি বন্দর জিবুতির হল রাজধানী জিবুতি শহরের একটি বন্দর। এটি কৌশলগতভাবে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ব্যস্ত জল পথে অবস্থিত, যা বন্দরটিকে ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য, আফ্রিকার অন্তরীপ এবং পারস্য উপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বন্দরটি একটি প্রধান জ্বালানি ভরার এবং ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে এবং এটি প্রতিবেশী ইথিওপিয়ায় আমদানি এবং রপ্তানি করার জন্য প্রধান বন্দর।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জিবুতি বন্দর একটি প্রধান সামুদ্রিক উত্তরণ এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি প্রধান বাণিজ্যিক পথ হিসাবে ৩,৫০০ বছর পূর্বে লৌহিত সাগরের সামুদ্রিক অনুসন্ধানের সময় পর্যন্ত প্রসারিত। উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা এবং আরব উপদ্বীপের মধ্যে একটি কৌশলগত জলভাগ লোহিত সাগর মিশরীয়দের, ফিনিশিয়ান, টোলমিস্ট, রোমান, গ্রীক, বাইজেন্টাইন, আরবদের দ্বারা এবং তারপর মসলা বাণিজ্যের পথ অনুসন্ধানের জন্য ইউরোপীয়দের দ্বারা ব্যবহৃত যোগাযোগ এবং উত্তরণের স্থান ছিল। এরপর বন্দরটির গুরত্ব আরও বৃদ্ধি পায় সুয়েজ খাল খোলার পর।

ইথিওপিয়া থেকে একটি সামুদ্রিক বহির্গমনপথের জন্য বন্দরটি উদ্ভূত হয়েছিল এবং জিবুতির উপকূলে সহজ প্রবেশাধিকার এবং আশ্রয়স্থল উভয়ই সরবরাহ করেছিল। ফ্রাঙ্কো-ইথিওপিয়ান এথিয়ো-জিবুতি রেলপথের কাজটি ১৮৯৭ সালে শুরু হয় এবং ১৯১৭ সালে সম্পন্ন হয় এবং ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আববাকে জিবুতি বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। রেলপথ সমাপ্তির ফলে বন্দরে ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে চারটি গভীর জলের জেটি নির্মাণ এবং বন্দরের মূল চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বন্দরে উন্নয়নের আরও বৃদ্ধি ঘটে। জমি, নতুন গুদাম ও তেল সঞ্চয়ের সুবিধা নির্মিত হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ করা হয়েছে এবং রেলওয়ে লাইন স্থাপন করা হয়েছে বন্দরে।

পরিচলন ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]

ইথিওপীয় বাণিজ্য[সম্পাদনা]

ইথিওপিয়ার বিদেশি বাণিজ্যের ৯৫% এরও বেশি অংশ এই বন্দরের দ্বারা পরিবহন করা হয়, যা বন্দরটির পণ্য সরবরাহের সত্তর ভাগ।[৩][৪] ইথিওপিয়া-জিবুতি রেলওয়ে বন্ধ করার সময় ইথিওপিয়া বন্দরটিতে সরাসরি রেলওয়ে প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। ২০১৭ সালে চালু হওয়া আদ্দিস আবাবা-জিবুতি রেলপথ, নিকটবর্তী ডরলেহের বন্দরকে যুক্ত করে ইথিওপিয়ার সঙ্গে যায়।

বিদেশী নৌবাহিনী[সম্পাদনা]

এডেন উপসাগরীয় কৌশলগত অবস্থান বন্দরটিকে বৃহত্ত শক্তিগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করে। বন্দরে বেশ কয়েকটি জেটি (বার্থ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এবং ফরাসি নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত। চীনা নৌবাহিনীও জিবুতি বন্দর ব্যবহার করে, তবে চীনা নৌবাহিনী কাছাকাছি ডোরলেহে বন্দরে একটি বিশেষ সুবিধা সঙ্গে স্থান্তরিত হচ্ছে।[৫]

ভবিষ্যৎ[সম্পাদনা]

সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে, দামেরজোগ লাইভস্টক বন্দর এবং ডোরলেহ বহুমুখী বন্দরে নির্মাণ শুরু হয়। ডোরলেহে বন্দরটি মূল জিবুতি বন্দরে জাহাজের অতিরিক্ত ভিড় উপশম করবে, এবং বার্ষিক ২৯ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন ক্ষমতা যোগ করবে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Statistics 2016"। www.portdedjibouti.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "CIA World Factbook - Djibouti"The World Factbook। CIA। মে ৪, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৩ 
  3. Meseret, Elias (অক্টোবর ৫, ২০১৬)। "Ethiopia's new coastal rail link runs through restive region"। Associated Press। অক্টোবর ৯, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৮, ২০১৮ 
  4. Maasho, Aaron (ডিসেম্বর ১৭, ২০১১)। "Ethiopia signs Djibouti railway deal with China"। Reuters। নভেম্বর ২৪, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৮, ২০১৮Ethiopia and Djibouti's economies are reliant on each other with about 70 percent of all trade through Djibouti's port coming from its land-locked neighbour. 
  5. Page, Jeremy (১৯ আগস্ট ২০১৬)। "China Builds First Overseas Military Outpost"Wall Street Journal 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]