জিন (পানীয়)
![]() | এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (জুন ২০২৫) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলি পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
![]() মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে বিক্রির জন্য বোতলজাত জিনের একটি সংগ্রহ (২০১০) | |
প্রকার | অ্যালকোহল |
---|---|
উৎপত্তির দেশ | ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস—এই দুটি দেশেই জিনের ইতিহাস উল্লেখযোগ্য। |
প্রবর্তন | ১৩ শতাব্দী |
পরিমাণ অনুযায়ী অ্যালকোহল | ৩৫–৬০% |
প্রমাণ (যুক্তরাষ্ট্র) | ৭০–১৪০° |
রং | স্বচ্ছ |
উপাদান | যব বা অন্য শস্য, জুনিয়ার বেরি |
সংশ্লিষ্ট পণ্য | জিনভার |
জিন ( /dʒɪn/ ) একটি পাতিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, যা প্রধানত জুনিপার ফল (জুনিপার বেরি) দ্বারা স্বাদযুক্ত করা হয়। এর পাশাপাশি অন্যান্য ভেষজ ও উদ্ভিদজাত উপাদানও এতে ব্যবহার করা হয় স্বাদ-বৈচিত্র্য আনার জন্য। [১][২]
জিনের উৎপত্তি হয়েছে ইউরোপজুড়ে সন্ন্যাসী ও রসায়নবিদদের তৈরি একটি প্রাচীন ঔষধি মদ হিসেবে। আধুনিক জিনের রূপ ফ্ল্যান্ডার্স ও নেদারল্যান্ডসে আঙ্গুর ও শস্য থেকে পাতিত অ্যাকোয়া ভিটা প্রস্তুতের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে, যা পরবর্তীতে মদ শিল্পে একটি বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়। 'জেনিভার' নামক ডাচ ও বেলজিয়ান মদের প্রবর্তনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে জিনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। যদিও এই বিকাশ ১৭শ শতকের গোড়া থেকে শুরু হয়েছিল, ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবের (উইলিয়ামের নেতৃত্বে) পর এবং ফরাসি ব্র্যান্ডির আমদানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর জিন ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। ১৬৯৫ থেকে ১৭৩৫ সালের ‘জিন ক্রেজ’ সময়কালে, জিন ইংল্যান্ডের জাতীয় অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জিন বিভিন্ন প্রকার ভেষজ উপাদান থেকে তৈরি হয়, যার ফলে এর বিভিন্ন ধরণ ও ব্র্যান্ড বিদ্যমান। জুনিপারের পর, জিন সাধারণত ভেষজ, মসলা, ফুল, ফল বা এদের সংমিশ্রণ দ্বারা স্বাদযুক্ত করা হয়। এটি সাধারণত ‘জিন অ্যান্ড টনিক’ নামক পানীয়ে টনিক জলের সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। জিনকে বেস স্পিরিট হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্বাদযুক্ত, জিন-ভিত্তিক লিকার তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্লো জিন, যা ঐতিহ্যগতভাবে ফল, স্বাদ এবং চিনি যোগ করে তৈরি করা হয়।