জিঘাংসা (১৯৫১-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জিঘাংসা ১৯৫১ সালে প্রকাশিত একটি বাংলা রহস্য চলচ্চিত্র যা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী বাস্কারভিলের কুকুর-এর ছায়ায় নির্মিত। এই সিনেমাটির পরিচালক অজয় কর এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

কাহিনী[সম্পাদনা]

অভিশপ্ত রত্নগড় রাজপরিবারের নতুন কুমার বাহাদুর সূর্যকান্ত আসার আগেই তার কাকা বাড়ির কর্তা অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে মারা পড়েন। রাজপরিবারের বন্ধু ডাক্তার পালিত (কমল মিত্র) তদন্তের অনুরোধ নিয়ে আসেন গোয়েন্দা স্মরজিত সেনের (শিশির বটব্যাল) কাছে। সকলের অনুমান স্থানীয় জলার কোনো ভৌতিক আত্মা খুনটা করেছে, যার মহিলা কন্ঠে গান শোনা যায় গভীর রাত্রে। গোয়েন্দা সেন তার সহকারী বিমলকে রত্নগড় পাঠান কুমার বাহাদুরের নিরাপত্তার স্বার্থে। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তি রহস্যময় ভাবে চলাফেরা করেন। তাদের মধ্যে দাবাড়ু ও মৃত রাজার এক বন্ধু আছেন আর আছেন প্রবীন উদ্ভিদবিজ্ঞানী প্রফেসর গুপ্ত (বিকাশ রায়)। বাড়ির চাকর লক্ষনকেও সন্দেহ করতে থাকে বিমল। জলার ধারে একটি তরুনীর (মঞ্জু দে) গান শুনে কুমার আকৃষ্ট হন ও বার বার ছুটে যান সেখানে। তার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। ইতিমধ্যে ছদ্মবেশে গোয়েন্দা সেন হাজির হন ও বিশালদেহী জলার ভুত কে আবিষ্কার করেন। কিন্তু আসল অপরাধী হলো এই রাজবংশেরই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি যার প্রতিশোধস্পৃহা জন্ম দিয়েছে জলার ভুতের কাহিনী। একদম শেষে স্মরজিত সেনের গুলিতে আসল অপরাধীর মৃত্যু ঘটে।

অভিনয়[সম্পাদনা]

অভিযোজন[সম্পাদনা]

এটিই ছিল বাংলায় শার্লক হোমসের বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী বাস্কারভিলের কুকুর-এর প্রথম চলচ্চিত্র অভিযোজন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে এই গল্পের ছায়ায় হিন্দি ভাষাতে বিশ সাল বাদ নামে একটি বলিউড চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যার পরিচালক ছিলেন বীরেন নাগ[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 1951। "Jighansa"IMDb। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. 1951। "Jighansa(Ajoy Kar)"। ইন্ডিয়াসিনেমা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭