জিকিউ
 | |
 অক্টোবর ২০১৮ সংখ্যার প্রচ্ছদে দিনো মোরিয়া এবং পত্রিকার ৬১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন | |
| প্রধান সম্পাদক | উইল ওয়েলচ |
|---|---|
| বিভাগ | পুরুষদের |
| প্রকাশনা সময়-দূরত্ব | বছরে ১০ বার |
| প্রকাশক | কন্ডে ন্যাস্ট ইনক. |
| মোট কপিসংখ্যা | ৯৩৪,০০০ (২০১৯)[১] |
| প্রথম প্রকাশ | ১৯৩১ (অ্যাপারেল আর্টস নামে) ১৯৫৭ (জেন্টলম্যানস কোয়ার্টারলি নামে) ১৯৬৭ (জিকিউ নামে) |
| কোম্পানি | অ্যাডভান্স পাবলিকেশনস |
| দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
| ভিত্তি | নিউ ইয়র্ক সিটি |
| ভাষা | চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, জাপানি, কোরিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ |
| ওয়েবসাইট | |
| আইএসএসএন | ০০১৬-৬৯৭৯ |
জিকিউ ( জেন্টলমেনস কোয়ার্টারলির সংক্ষিপ্ত রূপ এবং পূর্বে অ্যাপারেল আর্টস নামে পরিচিত) হল নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মাসিক পুরুষদের ফ্যাশন ম্যাগাজিন যা ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রকাশনাটি পুরুষদের ফ্যাশন, স্টাইল এবং সংস্কৃতির উপর আলোকপাত করে, যদিও খাবার, সিনেমা, ফিটনেস, যৌনতা, সঙ্গীত, ভ্রমণ, সেলিব্রিটিদের খেলাধুলা, প্রযুক্তি এবং বই সম্পর্কিত নিবন্ধগুলিও এখানে প্রদর্শিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ম্যাগাজিন এপারেল আর্টস ১৯৩১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চালু করা হয়েছিল[২] পুরুষদের ফ্যাশন ম্যাগাজিন হিসেবে, মূলত বস্ত্র ব্যবসার হোলসেল ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য। শুরুতে এর প্রিন্ট সংখ্যা খুব সীমিত ছিল এবং এটি শুধুমাত্র শিল্প সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ পরামর্শদাতাদের জন্য aimed ছিল, যাতে তারা তাদের গ্রাহকদের পরামর্শ দিতে পারে। খুচরা গ্রাহকদের মধ্যে ম্যাগাজিনের জনপ্রিয়তা, যারা প্রায়ই এটি বিক্রেতাদের কাছ থেকে নিত, ১৯৩৩ সালে Esquire ম্যাগাজিনের সৃষ্টি প্রেরণা দেয়।[৩][৪]
Apparel Arts ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চালু ছিল, যখন এটি পুরুষদের জন্য একটি ত্রৈমাসিক (quarterly) ম্যাগাজিনে রূপান্তরিত হয়, যা বহু বছর ধরে Esquire Inc. দ্বারা প্রকাশিত হয়।[৫] ১৯৫৮ সালে বসন্ত সংখ্যার পর লোগো থেকে "Apparel" শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, এবং Gentlemen's Quarterly নামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[৬]
জেন্টলম্যানস কুয়ারটেরলি ১৯৬৭ সালে পুনঃব্র্যান্ডিং করে GQ নামে পরিচিত হয়।[২] ১৯৭০ সালে প্রকাশের হার ত্রৈমাসিক থেকে মাসিক করা হয়।[২] ১৯৭৯ সালে Condé Nast এটি কিনে নেয়, এবং সম্পাদক Art Cooper ম্যাগাজিনের ধারা পরিবর্তন করেন, ফ্যাশনের বাইরে বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করে এবং GQ কে একটি সাধারণ পুরুষদের ম্যাগাজিন হিসেবে Esquire এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত করেন।[৭]
১৯৮৪ সালে ননি মুরে জিকিউ তে ফ্যাশন সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন, আগে তিনি একই পদে Mademoiselle এবং Harper's Bazaar এ কাজ করেছেন। ম্যাগাজিনের ফ্যাশন ডিরেক্টর জিম মুর, যিনি ২০০৯ সালে তার মৃত্যুর সময় ছিলেন, এই নির্বাচনের ব্যাখ্যা দেন: "তিনি পুরুষদের পোশাক থেকে আসেননি, তাই অনেকেই বলেছিলেন তিনি অদ্ভুত নির্বাচন, কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে পারফেক্ট ছিলেন"। জিম মুর আরও উল্লেখ করেন যে তিনি প্রকাশনাটির আরও স্বতঃস্ফূর্ত লুক পরিবর্তন করেছেন: "তিনি পৃষ্ঠাগুলোকে সাজাতে সাহায্য করেছিলেন, যেমনটি পুরুষদের সাজানোর ক্ষেত্রেও, এবং এটি আরও উত্তেজনাপূর্ণ, বৈচিত্র্যময় ও সহজগম্য করে তুলেছিলেন।"[৮]
GQ ঘনিষ্ঠভাবে মেট্রোসেক্সুয়ালতার সঙ্গে যুক্ত। লেখক মার্ক সিম্পসন এই শব্দটি ব্রিটিশ পত্রিকা The Independent এ তার লন্ডনের একটি GQ প্রদর্শনীর ভ্রমণ সম্পর্কে একটি নিবন্ধে প্রবর্তন করেন: "মেট্রোসেক্সুয়ালিটির প্রচার পুরুষদের স্টাইল ম্যাগাজিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যেমন The Face, GQ, Esquire, Arena এবং ফর্ম। এগুলো তাদের ম্যাগাজিনে নরমিশিক যুবক পুরুষদের ফ্যাশনেবল পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিহিত চিত্রে ভরিয়ে তুলত, এবং অন্য যুবকদেরও তাদের অনুকরণ করতে উৎসাহিত করত।"[৯][১০] ম্যাগাজিনটি জীবনধারা সম্পর্কিত বিষয়ের বাইরে সম্প্রসারিত হয়েছে।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Williams, Alex (৭ নভেম্বর ২০১৯)। "As Men Are Canceled, So Too Their Magazine Subscriptions"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০।
- 1 2 3 Sterlacci, Francesca; Joanne Arbucklee (২০০৯)। The A to Z of the Fashion Industry। Lanham, MD: Scarecrow Press। পৃ. ১০১। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮১০৮৭০৪৬৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Esquire | American magazine"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "History of Eire Magazine"। DKC (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০১৫। ৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Magazine Data, page 140: Gentlemen's Quarterly"। ১২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "GQ: American magazine"। Encyclopædia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Condé buys a men's magazine"। The New York Times। ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। আইএসএসএন 0362-4331। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Hevesi, Dennis (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Nonnie Moore, Fashion Editor at Magazines, Dies at 87"। The New York Times। ১৭ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Simpson, Mark (১৫ নভেম্বর ১৯৯৪)। "Here Come the Mirror Men"। The Independent। London।
- ↑ Safire, William (৭ ডিসেম্বর ২০০৩)। "On Language; Metrosexual"। The New York Times (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০।
- ↑ "The Creep with the Golden Tongue" (পিডিএফ)। sabrinaerdely.com। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)।