জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরা
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৩১/১৯৩৬
প্রতিষ্ঠাতাশামসুল হক ফরিদপুরী[১][২][৩]
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিআল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
শিক্ষার্থী১০০০ (২০১৩)[৪]
অবস্থান
শিক্ষাঙ্গনশহর
সংক্ষিপ্ত নামবড় কাটরা মাদ্রাসা

আল জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরা (সংক্ষেপে বড় কাটরা মাদ্রাসা) পুরান ঢাকার চকবাজারের বড় কাটরায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। স্থানীয় ধর্মপরায়ন ব্যক্তিদের সহায়তায় ১৯৩১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর নানাবিধ কারনে কিছুদিন বন্ধ থাকে। ১৯৩৬ সালে স্থানীয় ব্যবসায়ী মুহাম্মাদ হোসাইনের সহযোগিতায় শামসুল হক ফরিদপুরী এ মাদ্রাসা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তার সহযোগী ছিলেন আবদুল ওয়াহহাব পীরজীমোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী। বিখ্যাত আলেম ও মুহাদ্দিসদের পাঠদানের সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে এসে ভর্তি হয়। এ মাদ্রাসায় জাফর আহমদ উসমানি, উবায়দুল হক, মুহাম্মাদ তফজ্জল হোসাইন, মাওলানা হিদায়াতুল্লাহ সহ প্রমুখ খ্যাতিমান আলেম শিক্ষকতা করেন। বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে এ মাদ্রাসা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। আজিজুল হক, আমিনুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, আবদুল জব্বার, মমতাজ উদ্দীন সহ প্রমুখ খ্যাতিমান আলেম এ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আজমী, নূর মুহাম্মদ (২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। বাংলাবাজার, ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয়। পৃষ্ঠা ২৯৪। 
  2. আলম, মো. মোরশেদ (২০১৪)। হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান (১৯৭১-২০১২)বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২২২। 
  3. নান্টু, ইকবাল হাসান। "জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসা পাগড়ী প্রদান ও খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত"ইনকিলাব 
  4. গোলাম ছরোয়ার, মুহাম্মদ (নভেম্বর ২০১৩)। "বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৩০৪–৩০৫।