জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা
![]() | |
ধরন | ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮৬ |
অধ্যক্ষ | হিফযুর রহমান |
শিক্ষার্থী | ১২,০০০[১] |
অবস্থান | , বাংলাদেশ |
ওয়েবসাইট | rahmaniadhaka |
![]() |
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া হচ্ছে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য কওমি মাদ্রাসা।[১] এই জামিয়া ১৯৮৬ সনে শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক ঢাকার মোহাম্মদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ২০১১ সালের হিসাব অনুসারে, মাদ্রাসাটিতে ২০০০ ছাত্র এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ৬২ জন শিক্ষক রয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ হাইয়াতুল উলইয়ার অধীনে হয়ে থাকে।[৩]
শিক্ষাগত অবস্থান[সম্পাদনা]
এই জামিয়াটি দক্ষ এবং বুদ্ধিজীবী ওলামা তৈরির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গণ্ডিতে পৌঁছে গেছে।[৪] কারণ, এখানে প্রাথমিক স্তর থেকে দাওরায়ে হাদিস, ইফতা, তাফসির, উসুলুল হাদিস, ইসলামি ইতিহাস, আরবি সাহিত্য এবং বাংলা সাহিত্য বিষয়সমূহের উপর পড়াশোনা হয়ে থাকে। ইসলামি বিষয়সমূহের পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিতশাস্ত্র, দর্শনশাস্ত্র, ইতিহাস ও ভূগোলও পড়ানো হয়। এই শিক্ষাঙ্গনে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনেক সভা-সম্মেলনের আয়োজন করা হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
এই মাদ্রাসা থেকে মাসিক রাহমানী পয়গাম নামে বাংলা ভাষায় একটি মাসিক ইসলামি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। আজিজুল হক ১৯৯৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রকাশের অল্প সময়ে পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক মামুনুল হক। পত্রিকাটির তত্ত্বাবধান করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের বর্তমান মহাসচিব মাহফুজুল হক। প্রথমদিকে পত্রিকাটি হক পয়গাম নামে প্রকাশিত হত। ২০১২ সালে পত্রিকাটি শায়খুল হাদিস সংখ্যা বের করেছিল। ২০১৫ সালে মুফতি আব্দুর রহমান স্মরণ সংখ্যা বের করা হয়। পরে নিবন্ধন জটিলতায় এর নাম পরিবর্তন করে রাহমানী পয়গাম করা হয়।[৫][৬]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Bano, Masooda (২০০৮)। Working Paper No. 13: Allowing for Diversity: State-Madrasa Relations in Bangladesh (PDF)। Religions and Development Research Programme, University of Birmingham, UK। আইএসবিএন 0-7044-2567-X।
- ↑ "Bengali Part"। Fahad Mahdi। ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Jamia Rahmania Arabia Dhaka" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ওয়াদুদী, আব্দুল বারী (২০১৯)। এমফিল অভিসন্দর্ভ। "হাদিস চর্চায় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক ও মুফতী আমীমুল এহসানের অবদান" (PDF)। আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৮৬।
- ↑ আবুল কালাম সিদ্দীক, কাজী (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "বাংলা চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছেন কওমি আলেমরা"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]