জামিক সুঙ্গাই জাম্বু মসজিদ
জামিক সুঙ্গাই জাম্বু মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | জুরুং সুঙ্গাই জাম্বু, সুঙ্গাই জাম্বু নাগারি, পারিয়ানগান জেলা, তানাহ দাতার রিজেন্সি, পশ্চিম সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
ভূমি খনন | ১৯১৮ |
জামিক সুঙ্গাই জাম্বু মসজিদ হলো ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। এটি জোরং সুঙ্গাই নদী, সুঙ্গাই জাম্বু নাগারি, প্যারিয়াঙ্গন জেলা, তানাহ দাতার রিজেন্সি ও পশ্চিম সুমাত্রায় অবস্থিত। মসজিদটি মারাপি পর্বতের পাদদেশে ১৯১৮ সালে নির্মিত হয়েছে। এর বিকাশের সময় দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিচালনা উভয় ক্ষেত্রেই অনেক উন্নতি করেছে। ইন্দোনেশিয়ান মসজিদ কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত প্রাদেশিক স্তরের জন্য পরিবেশ-ভিত্তিক মসজিদের মূল্যায়নে ২০১২সাল সহ মসজিদটি বেশ কয়েকবার প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।
বর্তমানে, ইসলামিক উপাসনামূলক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা ছাড়াও, মসজিদটি আশেপাশের সম্প্রদায়ের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার স্থান হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই মসজিদে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ড অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মসজিদটি সুঙ্গাই জাম্বু নগরী, প্যারিয়াঙ্গন জেলা, তানাহ দাতার রিজেন্সিতে অবস্থিত, যা মিনাংকাবাউ-এর প্রাচীনতম নাগরীগুলির মধ্যে একটি হিসেবে তাম্বো মিনাংকাবাউ-এ উল্লেখ করা হয়েছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯১৮ সালে।[১] বিদেশী এবং স্থানীয় জনসংখ্যা উভয়ের তহবিল প্রবাহের সাথে ভবনটির কাঠামো অবশেষে ১৯৮৮ সালে স্থায়ীভাবে স্থিতিশীল এবং নিরাপদ করা হয়েছিল। মসজিদের পরবর্তী উন্নয়ন ছিল এর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। এর কার্যক্রমের সংশোধন আনয়ন। যাতে মসজিদটিকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত করা যায়।
মসজিদ কেন্দ্রিক সম্প্রদায় ভিত্তিক সামাজিক কর্মকান্ডের উত্থান ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার মসজিদটিকে প্রদেশের জন্য সেরা মসজিদ হিসেবে নির্বাচিত করেছে।[২] জাতীয় পর্যায়ে মসজিদটি এনভায়রনমেন্টাল প্লেনারি অবজারভেটরিরও প্রার্থী।[৩]
কর্মকান্ড
[সম্পাদনা]উপাসনার স্থান হিসেবে এর প্রধান কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মকান্ড ও সামাজিক কর্মকান্ডেরও নিয়মিত আয়োজন করা হয় এই মসজিদে। যে ধর্মীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে 'পন্ডোক আল-কুরআন' নামক একটি প্রোগ্রাম। যার লক্ষ্য হল কুরআন মুখস্থ করার ক্ষমতাকে আরও গভীর করা যা ইমামদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়।[১] এছাড়াও, এখানে আরবি ও ইংরেজি শেখার কোর্সও রয়েছে।
৬০০ বর্গ মিটার ক্ষেত্র বিশিষ্ট ভবনের মসজিদটিতে শতাধিক শিরোনামের সংগ্রহ সহ একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে। জনসাধারণের এবং ধর্মীয় উভয় উদ্দেশ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রের পাশাপাশি মসজিদটি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে। নিয়মিতভাবে,মসজিদে বালাই কেসেহাতান মসজিদ নামে একটি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রতি রবিবারে একটি মেডিকেল চেকআপ করা হয় যা কাছাকাছি পুস্কেমাস (সাম্প্রদায়িক স্বাস্থ্য কেন্দ্র) থেকে আমন্ত্রিত ডাক্তারদের কাছ থেকে ফি সংগ্রহ না করেই করা হয়।[২] অন্যদিকে, সম্প্রদায়ের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য মসজিদটিও সহযোগিতার আকারে ব্যবসায় সহায়তা করে।[১] মসজিদটি মসজিদের আশেপাশের এতিমদের সহায়তা প্রদানের জন্য যাকাত হিসেবে সংগ্রহ করা তহবিলও পরিচালনা করছে।[৩][১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ফুটনোট
- ↑ ক খ গ ঘ ANTARA 2012।
- ↑ ক খ Pemerintah Kabupaten Tanah Datar 2012।
- ↑ ক খ Kemkominfo 2012।
- গ্রন্থপঞ্জি
- "Pemda Harapkan Masjid Bukan Tempat Penerima Sumbangan"। ANTARA। ২০১২-০৮-০২। ২০১৪-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-০২।
- "Masjid Jami Sungai Jambu Masjid Teladan Tingkat Sumbar"। Kementerian Komunikasi dan Informatika। ২০১২-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-০২।
- "Tim Safari Ramadhan Pemkab Tanah Datar Turun ke Masjid Jami' Sungai Jambu"। Pemerintah Kabupaten Tanah Datar। ২০১২-০৮-০১। ২০২৩-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-০২।