জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান
جماعت اسلامی پاکستان
ইসলামি মহাসভা পাকিস্তান
সংক্ষেপেJI
প্রেসিডেন্টসিরাজুল হক
সাধারণ সম্পাদকআমির উল আজিম
প্রতিষ্ঠাতাআবুল আ'লা মওদুদী
প্রতিষ্ঠা২৬ আগস্ট ১৯৪১
(৮২ বছর আগে)
 (1941-08-26) লাহোর, ব্রিটিশ ভারত,
১৯৪৭
(৭৭ বছর আগে)
 (1947) (পাকিস্তানে)
পূর্ববর্তীজামায়াতে ইসলামী
পরবর্তীবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী[১]
সদর দপ্তরমুলতান রোড, মনসুরা, লাহোর
সংবাদপত্রডেইল জাসরাত
ছাত্র শাখাইসলামী জামায়াতে তলাবা
যুব শাখাশাবাবে মিল্লি[২]
জে আই ইয়ুথ[৩]
ভাবাদর্শইসলামবাদ
সর্ব-ইসলামবাদ
ইসলামী গণতন্ত্র
পুঁজিবাদবিরোধীতা
কমিউনিজমবিরোধীতা
উদারনীতিবাদবিরোধীতা
রাজনৈতিক অবস্থানডানপন্থী রাজনীতি
ধর্মইসলাম[৪]
জাতীয় অধিভুক্তিমুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমাল
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তিJI (ভারত)
JI (বাংলাদেশ)
JI (কাশ্মীর)
JI (Srilanka)
আনুষ্ঠানিক রঙ             সবুজ , সাদা
নির্বাচনী প্রতীক
দলীয় পতাকা
ওয়েবসাইট
www.jamaat.org/en/ (ইংরেজি ভাষায়)
www.jamaat.org (উর্দু ভাষায়)

জামায়াতে ইসলামি (উর্দু : جماعتِ اسلامی) বা JI হল পাকিস্তানে সক্রিয় একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। এটি ১৯৪১ সালে ঔপনিবেশিক ভারতে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত-ই-ইসলামির পাকিস্তানি উত্তরসূরি। [৫] এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, পাকিস্তানকে একটি ইসলামি রাষ্ট্রে রূপান্তর করা, যা শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে তা ধীরে ধীরে আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে বলে দলটি অভিমত ব্যক্ত করে। [৬] জামাত দলটি পুঁজিবাদ, কমিউনিজম, উদারনীতিধর্মনিরপেক্ষতার পাশাপাশি ব্যাংক সুদের মতো অর্থনৈতিক অনুশীলনের তীব্র বিরোধিতা করে।

দলটির প্রধান নেতাকে আমীর বলা হয়। যদিও এটির বিরাটসংখ্যক জনপ্রিয় অনুসারী নেই; তবে দলটি বেশ প্রভাবশালী এবং দেওবন্দীবেরেলভী ( জমিয়তে উলেমা-ই ইসলামজমিয়তে উলেমা-ই-পাকিস্তান) দলের সাথে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান ইসলামি দল হিসাবে বিবেচিত হয়।[৭] জামায়াত-ই-ইসলামি ১৯৪১ সালে মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক ও সামাজিক-রাজনৈতিক দার্শনিক আবুল আলা মওদুদির দ্বারা ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি মুঘল সম্রাট আলমগীরের শরিয়াভিত্তিক শাসন দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত ছিলেন। [৮] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মওদুদী ও জামায়াত-ই-ইসলামী ভারত ভাগের বিরোধিতার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিল।[৯][৫][১০]

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর দলটি দুটি সংগঠনে বিভক্ত হয়: জামায়াত-ই-ইসলামী পাকিস্তান ও জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ[১১] জামায়াতের অন্যান্য শাখার মধ্যে রয়েছে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীর, ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামী আজাদ কাশ্মীর ও ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১৯৪৮, ১৯৫৩ এবং ১৯৬৩ সালে জামায়াত-ই-ইসলামী পাকিস্তান কঠোর সরকারি দমন-পীড়নের মধ্যে পড়ে।[১২] জেনারেল মুহম্মদ জিয়া-উল-হকের শাসনামলের প্রথম দিকে জামাতের অবস্থানের উন্নতি হয়।[১৩]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অন্য পাকিস্তানি রাজনৈতিক দলগুলির মতো জামায়াতও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে।[১৪] যুদ্ধের পর ১৯৭৫ সালে আমীর হিসাবে আব্বাস আলীর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। [৬] ১৯৮০ এর দশকের দিকে পাকিস্তানি জামায়াত কাশ্মীরের জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন জোগায়। [১৫][১৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rubin, Barry A. (২০১০)। Guide to Islamist Movements। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 59। আইএসবিএন 978-0-7656-4138-0 
  2. "JI chief Sirajul-Haq announces to change Shabab-e-Milli in party's youth wing"92 News HD। ১৫ নভেম্বর ২০১৫। ২১ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  3. "JI launches it youth wing"DAWN। ১৬ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. Campo, Juan Eduardo (২০০৯)। Encyclopedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 390। আইএসবিএন 978-1-4381-2696-8 
  5. Rasheed, Nighat। A critical study of the reformist trends in the Indian Muslim society during the nineteenth century (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 336। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০২০ 
  6. Haqqani, Pakistan between Mosque and Military (2005).
  7. Roy, Olivier (১৯৯৪)। The Failure of Political Islam। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 88আইএসবিএন 9780674291409 
  8. Jackson, Roy (২০১০)। Mawlana Mawdudi and Political Islam: Authority and the Islamic State। Routledge। আইএসবিএন 9781136950360 
  9. Oh, Irene (২০০৭)। The Rights of God: Islam, Human Rights, and Comparative Ethics (ইংরেজি ভাষায়)। Georgetown University Press। পৃষ্ঠা 45আইএসবিএন 978-1-58901-463-3 
  10. Gupta, Shekhar। "Why Zakir Naik is dangerous" (ইংরেজি ভাষায়)। Rediff। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২০ 
  11. Guidere, Islamic Fundamentalism (2012), p. 223.
  12. Nasr, Mawdudi and Islamic Revivalism (1996).
  13. Kepel, Jihad, (2002), pp.98, 100, 101
  14. Schmid (2011); Tomsen (2011)
  15. Jamal 2009
  16. Sirrs 2016