জামান শাহ দুররানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামান শাহ দুররানি
আফগানিস্তানের বাদশাহ
জামান শাহ দুররানির স্কেচ
রাজত্বদুররানি সাম্রাজ্য: ১৭৯৩ – ১৮০০
পূর্বসূরিতিমুর শাহ দুররানি
উত্তরসূরিমাহমুদ শাহ দুররানি
জন্ম১৭৭০
মৃত্যু১৮৪৪
পূর্ণ নাম
জামান শাহ দুররানি
রাজবংশদুররানি রাজবংশ
পিতাতিমুর শাহ দুররানি

জামান শাহ দুররানি, (পশতু, ফার্সি, উর্দু, আরবি: زماں شاہ درانی), (c. ১৭৭০ – ১৮৪৪) ছিলেন দুররানি শাসক। ১৭৯৩ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি শাসন করেছেন। তিনি ছিলেন আহমদ শাহ দুররানির নাতি এবং তিমুর শাহ দুররানির পঞ্চম পুত্র।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

দরবারে জামান শাহ দুররানি

পিতা তিমুর শাহ দুররানির মৃত্যুর পর জামান শাহ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি বারাকজাই প্রধান সর্দার পায়েন্দা খানের সহায়তায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইদের পরাজিত করেন। তার শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদের কাছ থেকে তিনি আনুগত্য আদায় করতে সক্ষম হন এবং তাকে হেরাতের গভর্নরের পদ দেয়া হয়। এর ফলে ক্ষমতা হেরাত ও কাবুলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভাজন শতাব্দীকাল ধরে টিকে ছিল। কাবুল ছিল ক্ষমতার মুল কেন্দ্র। অন্যদিকে হেরাত আধাস্বাধীন অবস্থায় ছিল।

তার শাসনামলে তিনি তার পিতা তিমুর শাহ কর্তৃক বহিষ্কৃত আত্মীয়দের সম্মিলিত করার উদ্যোগ নেন। তার চাচা সাইফুল্লাহ খান দুররানিসহ কিছু আত্মীয় আকোরা খাট্টাকে (বর্তমান পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া) বসবাস করছিলেন। তাদের আফগানিস্তান ফিরে আসতে বলা হয়। তবে এতে সফল হওয়া যায়নি। সাইফুল্লাহ খানের মৃত্যুর পর ফয়জুল্লাহ খান পরিবারের প্রধান হন। ফয়জুল্লাহ খান পরিবারের সদস্য আবদুল্লাহ খান ও বশির আহমাদ খানের বদঅভ্যাস অপছন্দ করার কারণে আত্মীয়দের না জানিয়ে আকোরা খাট্টাক ত্যাগ করে বান্নু চলে যান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পরে স্ত্রীর মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ খান ১৭৯১ খ্রিষ্টাব্দে কোহাত চলে আসেন। জামান শাহ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিজ পরিবারের সদস্যদেরকে একত্রিত করার সর্বো‌চ্চ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে তাদের অনেকেই অজ্ঞাতে জীবন কাটাচ্ছিলেন।

তার পিতার মত তিনিও ভারতে সাফল্য লাভের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শিখরা তার অভিযানকে প্রতিহত করে। এছাড়াও তিনি ব্রিটেনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ব্রিটিশরা দুররানিদের আক্রমণের জন্য পারস্যের শাহকে উৎসাহিত করে যাতে জামান শাহ নিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় ব্যস্ত থাকেন।

নিজ অঞ্চলে পরিস্থিতি প্রথমদিকে ভালো ছিল। তিনি মাহমুদকে হেরাত থেকে পারস্যে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেন। তবে মাহমুদ ফাতেহ খানের সাথে মিত্রতা গড়ে তোলেন এবং ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে তার সহায়তায় ক্ষমতা পান। এরপর জামান শাহ পেশাওয়ারের দিকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি ধরা পড়েন। তাকে অন্ধ করে কাবুলের বালা হিসার দুর্গে বন্দী করে রাখা হয়। তার জীবনের পরের অংশ বেশি জানা যায় না। তবে তিনি এরপর মৃত্যুর আগপর্যন্ত প্রায় ৪০ বছর বন্দী ছিলেন হতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
তিমুর শাহ দুররানি
আফগানিস্তানের আমির
১৭৯৩–১৮০১
উত্তরসূরী
মাহমুদ শাহ দুররানি