জাফেরা মাদ্রাসা
জাফেরা মাদ্রাসা | |
---|---|
উঠানসহ জাফেরা মাদ্রাসা | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থা | পর্যটন কেন্দ্র |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০০′৩৫″ উত্তর ২৮°৫৮′৪৪″ পূর্ব / ৪১.০০৯৬৪° উত্তর ২৮.৯৭৮৮৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | মিমার সিনান |
ধরন | মাদ্রাসা |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১৫৫৯ |
জাফেরা মাদ্রাসা বা জাফেস আঘা মাদ্রাসা[১] (তুর্কি: Caferağa Medresesi ) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত একটি প্রাক্তন মাদ্রাসা। এটি আয়া সোফিয়ার পাশে অবস্থিত। ১৫৫৯ সালে মাদ্রাসাটি সুলতান প্রথম সুলাইমান (১৫২০-১৫৬৬) রাজত্বকালে ক্যাফের আঘার নির্দেশে মিমার সিনান দ্বারা নির্মাণ করা হয়।[২]
১৯৮৯ সালে তুর্কি সাংস্কৃতিক পরিষেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাদ্রাসাটিকে ১৫টি প্রদর্শনী কক্ষসহ একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়। পর্যটন কেন্দ্রে একটি বড় বৈঠকখানা এবং একটি বাগান রয়েছে। সেই বাগানে চারুলিপি, সিরামিকস, গহনা ইত্যাদির মতো ঐতিহ্যবাহী তুর্কি হস্তশিল্পগুলো শেখানো, তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। তুর্কি সংস্কৃতির পরিষেবা ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত এটি এখন তুর্কি শাস্ত্রীয় কলাগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত। [৩] প্রতি বছর শেষে এখানে একটি বার্ষিক প্রদর্শনী হয়। যেখানে বিভিন্ন শ্রেণীতে (সিরামিক, মোজাইক ইত্যাদি) শিক্ষার্থীদের তাদের কাজগুলি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়, যা তাদের শিক্ষকদের দ্বারা এই বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য পূর্বনির্ধারিত থাকে।
মাদ্রাসাটি আয়া সোফিয়া নিকটে অবস্থিত। সিঁড়িটি ছোট রাস্তায় এসে মিশেছে এবং তোপকাপি প্রাসাদের দিকে নিয়ে যায়। কাঠামোটিতে মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করা যায়। প্রবেশপথের পরে অভ্যন্তরে একটি উঠোন রয়েছে। উঠানের চারপাশে প্রাক্তন শিক্ষার ঘরগুলি অবস্থিত। ভিতরে একটি রেস্তোঁরা রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের তুর্কি খাবার সরবরাহ করে।
মাদ্রাসাটি ইস্তাম্বুলের সুলতানাহমেট জেলার ঐতিহাসিক কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত এবং যেমনটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সংরক্ষণ অঞ্চলে আসে যা পুরো জেলা জুড়ে অবস্থিত।[৪]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Cafer Aga Madrasa Restoration"। Archnet। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০১।
- ↑ "Türk Kültürüne Hizmet Vakfı"। TKHV.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১২।
- ↑ "Caferağa Medresesi: Sanatı koşulsuz sevenlerin adresi"। www.aa.com.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২০।
- ↑ Centre, UNESCO World Heritage। "Historic Areas of Istanbul"। UNESCO World Heritage Centre (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২০।
