বিষয়বস্তুতে চলুন

জাফর ইবনে আলি আল হাদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আবু আব্দুল্লাহ জাফর ইবনে আলি আল হাদী  ( ৮৪০ থেকে ৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ) হলেন একজন সুন্নি মুসলিম পন্ডিত। তিনি সুন্নি সুফিবারো ইমামিয়া শিয়া মতাদর্শের দশম ইমাম আলী আল-হাদির তৃতীয় পুত্র ছিলেন। তিনি নিজেকে ইমাম বলে দাবি করেছিলেন এবং তার অনুসারীদের একটি নিজস্ব সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাদের কাছে তিনি আল-জাকি (অর্থাৎ বিশুদ্ধ একজন) নামে পরিচিত ছিলেন।

পরিবার

[সম্পাদনা]

জাফর ইবনে আলির বাবার নাম ইমাম আলী আল-হাদী। তার ভাই হাসান আল-আসকারি একাদশ ইমাম হিসেবে শিয়া ও সুফী মতাদর্শীদের মধ্যে পরিচিত। এছাড়া জাফর ইবনে আলির একজন বড় ভাই ছিল, যার নাম মুহাম্মদ। তিনি তার পিতার মৃত্যুর আগেই মারা যান।[]

সংঘাত

[সম্পাদনা]

ইমামত ব্যবস্থা নিয়ে জাফর ইবনে আলি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। কিছু মানুষ তাকে ইমাম হিসেবে স্বীকৃতি দিতো। তবে অনেকেই তাকে মেনে নেয় নি।

আলি আল-হাদির মৃত্যুর পর

[সম্পাদনা]

জাফর ইবনে আলির বাবা আলী আল-হাদীর মৃত্যুর পর জাফর ইমামতি দাবি করেন। বারো ইমামিয়া শিয়ারা বিশ্বাস করতেন যে, নৈতিক দিক দিয়ে তিনি ইমাম হওয়ার যোগ্য ছিলেন না।[][] তবে বাহাই মতাদর্শীরা বিশ্বাস করেন যে, তিনি একজন সত্যবাদী ইমাম ছিলেন।[] তার পক্ষে অনুসারীরা দাবি করেছিলেন যে, তার ব্যক্তিত্ব তার যৌবন থেকে পরিবর্তিত হয়েছিল।[] পরবর্তীতে তার অনুসারীরা জাফরিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। অপর দিকে যারা তার ভাই আল-আসকারিকে ইমাম হিসেবে অনুসরণ করতো, তারা বর্তমানে ইসনা আশারিয়া নামে পরিচিত।[]

হাসান আল-আসকারির মৃত্যুর পর

[সম্পাদনা]

হাসান আল-আসকারির মৃত্যুর পর, জাফর ইবনে আলি তার সম্পত্তির দাবি করেন, যদিও আল-আসকারির মা তখনও জীবিত ছিলেন।[] তিনি দাবি করেছিলেন যে তার ভাইয়ের কোন উত্তরাধিকার ছিলো না।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Reza, Saiyed Jafar (২০১২)। The Essence of Islam। Concept Publishing Company, 2012। পৃষ্ঠা 254। আইএসবিএন 9788180698323 
  2. Modarressi, Hossein (১৯৯৩)। Crisis and Consolidation in the Formative Period of Shi'Ite Islam: Abu Ja'Far Ibn Qiba Al-Razi and His Contribution to Imamite Shi'Ite Thought (পিডিএফ) (English and Arabic সংস্করণ)। Darwin Press, Incorporated (June 1, 1993)। আইএসবিএন 978-0878500956। জুন ১৬, ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৬, ২০২৪ 
  3. ""Regarding the one who related the existence of the Qáʼim…""Adib Masumian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬ 
  4. Momen, Moojan (১৯৮৫)। An Introduction to Shiʻi Islam: The History and Doctrines of Twelver Shiʻism। Yale University Press; New edition (September 10, 1987)। পৃষ্ঠা 161–163। আইএসবিএন 978-0300035315 
  5. Imam, Sayyid Imdad। "Misbah-uz-Zulam, Roots of the Karbala' Tragedy"। Ansariyan Publications - Qum।