বিষয়বস্তুতে চলুন

জাপানি শিল্পকলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাপানি শিল্পকলা
কাতসুশিকা হকুসাই এর আঁকা কানাগাওয়ার লহরীতলে
১২ শতকে আঁকা একটি দৃশ্য

জাপানি শিল্প বিস্তৃত শিল্প শৈলী এবং মাধ্যমে সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মৃৎশিল্প, ভাস্কর্য, সিল্ক ও কাগজে কালি অঙ্কন এবং চারুলিপি, উকিও-ই অঙ্কন এবং কাঠের ব্লকের ছাপা, সিরামিকস, অরিগামি, বনসাই এবং সম্প্রতি মাঙ্গা এবং অ্যানিমে । জাপানি শিল্পের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা খ্রিস্টপূর্ব ১০ম সহস্রাব্দে জাপানে মানুষের বসবাসের সূচনা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিস্তৃত।

জাপান কখনো নতুন ধারণার সংস্পর্শে এসেছে আবার কখনো দীর্ঘ সময়ের জন্য বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ সীমিত ছিল। সময়ের সাথে সাথে দেশটি বিদেশী সংস্কৃতির উপাদানগুলো শোষণ, অনুকরণ এবং অবশেষে আত্তীকরণ করেছে, যা ইতিমধ্যেই বিদ্যমান নান্দনিক পছন্দগুলির পরিপূরক হয়ে ওঠে৷ জাপানের প্রাচীনতম জটিল শিল্প ৭ম এবং ৮ম শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল যা ছিল বৌদ্ধধর্মের সাথে সম্পর্কিত। ৯ম শতাব্দীতে, জাপানিরা চীন থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে এবং নিজস্ব অভিব্যক্তির রূপ বিকাশ করতে শুরু করে। ধর্মনিরপেক্ষ শিল্প ক্রমাগত গুরত্ব পেতে থাকে। ১৫ শতকের শেষ অবধি, ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় শিল্পই বিকশিত হয়েছিল। ওনিন যুদ্ধের পর(১৪৬৭-১৪৭৭), জাপান রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অশান্তির একটি সময় প্রবেশ করেছিল যা চলেছিল এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে৷ তোকুগাওয়ার নেতৃত্বে যে রাজ্যের উদ্ভব হয়েছিল, তাতে সংগঠিত ধর্ম মানুষের জীবনে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং যে শিল্পগুলি বেঁচে ছিল তা প্রাথমিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল৷ মেইজি যুগ (১৮৬৮-১৯১২) পশ্চিমা শৈলীর আকস্মিক প্রবাহ দেখেছিল, যা শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।

চিত্রাঙ্কন হলো জাপানে পছন্দের শৈল্পিক অভিব্যক্তি, যা সাধারণ মানুষ থেকে পেশাদার শিল্পী সবাই অনুশীলন করত। আধুনিক সময় পর্যন্ত, জাপানিরা কলমের পরিবর্তে রঙতুলি দিয়ে লিখত। রঙতুলি ব্যাবহারের কৌশলগুলির সাথে পরিচিতি তাদের অঙ্কনের মূল্যবোধ এবং নান্দনিকতার প্রতি সংবেদনশীল করে তুলে। এদো যুগে জনপ্রিয় সংস্কৃতির উত্থানের সাথে, কাঠের ব্লকের ছাপার একটি শৈলী উকিও-ই (ukiyo-e) শিল্পের একটি প্রধান রূপ হয়ে ওঠে। এর কৌশলগুলি সংস্কার করে বিপুল পরিমানে রঙিন ছবি তৈরি করার জন্য ব্যাবহৃত হয়। এই সময়ে জাপানিরা ভাস্কর্যকে শৈল্পিক অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে মনে করত না। বেশিরভাগ বড় বড় জাপানি ভাস্কর্য ছিল ধর্মীয়, এবং ঐতিহ্যগত বৌদ্ধধর্মের গুরুত্ব হ্রাসের সাথে সাথে শিল্পের মাধ্যম হিসেবে এর গুরুত্ব কমতে থাকে।

জাপানি মৃৎশিল্প বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং প্রাচীনতম জাপানি নিদর্শন এর অন্তর্ভুক্ত; জাপানি চীনামাটির বাসন রপ্তানি বিভিন্ন সময়ে একটি প্রধান শিল্প ছিল। তাছাড়াও জাপানি বার্নিশশিল্প বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিল্প ও কারুশিল্পগুলির মধ্যে একটি। maki-e পদ্ধতিতে সুন্দরভাবে সজ্জিত করে তা ইউরোপ এবং চীনে রপ্তানি করা হতো, ১৯ শতক পর্যন্ত এটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি ছিল।[] স্থাপত্যশৈলীতে, জাপানিরা প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্থানের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া পছন্দ করে।

জোমন শিল্পকলা

[সম্পাদনা]
Middle Jōmon vase; circa 3000-2000 BCE

জাপানের প্রথম বাসিন্দা ছিল জোমন (আনু. ১০৫০০ - আনু. ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) লোকেরা। তারা ছিল যাযাবর শিকারী-সংগ্রহকারী জাতি, পরবর্তিতে কৃষিকাজ শুরু করে এবং শহর গড়ে তুলে। তারা কাঠ দিয়ে সাধারণ ঘর বানাতো, যার মাচা ছিল মাটির অগভীর গর্তে যাতে মাটির উষ্ণতা পেতে পারে। তারা সৌখিনভাবে সাজানো মৃৎপাত্র, 'দগু' নামের মাটির মুর্তি, স্ফটিক গয়না তৈরি করেছিল।[]

প্রাথমিক জোমন যুগ

[সম্পাদনা]

প্রাথমিক জোমন যুগের (৫০০০ - ২৫০০ পূর্বাব্দ)[] নিদর্শন হিসেবে দৈনন্দিন ব্যবহারে জিনিস যেমন- পানি ফুটানোর মৃৎপাত্র পাওয়া যায়। এইসব পাত্রে সমতল তলা এবং বাঁশের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি বিস্তৃত নকশা ছিল। []

মধ্য জোমন যুগ

[সম্পাদনা]
Jar; middle to late Jomon period; 35th-11th century BCE

মধ্য জোমন যুগ (২৫০০-১৫০০ পূর্বাব্দ),[] প্রাথমিক জোমন যুগ থেকে অনেক ভিন্ন ছিল। এই সময় তারা যাযাবর জীবন ছেড়ে গ্রামে বাস করা শুরু করে। তারা খাদ্য সংগ্রহ এবং শিকারের জন্য বিভিন্ন দরকারি জিনিস তৈরি করা শুরু করে। এই সময়ের পাওয়া অসংখ্য নান্দনিক সিরামিকের মাধ্যমে, এটি স্পষ্ট যে তাদের একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং আরও অবসর সময় ছিল। পাত্রের সজ্জা ছিল আগের তুলনায় অনেক বাস্তবসম্মত।

শেষ জোমন যুগ ও তার পরবর্তি সময়

[সম্পাদনা]
Dogū figurine from the site Ebisuda of Ōsaki, Miyagi prefecture (1000–400 BCE)

শেষ জোমন যুগ ও তার পরবর্তি সময়ে(১৫০০-৩০০ পূর্বাব্দ),[] আবহাওয়া আরো ঠান্ডা হয়ে ওঠে, যা বাসিন্দাদের পাহাড় থেকে দূরে সরে আস্তে বাধ্য করে। তাদের খাদ্যের প্রধান উৎস ছিল মৎস শিকার। যার ফলে বিভিন্ন মৎস শিকারের অস্ত্র এবং কৌশল আয়ত্তে আনে। এ সময় পাত্রের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল, যা নির্দেশ করে সকলের নিজস্ব সংগ্রহ ছিল। কিছু পাত্র ধর্মীয় আচারে ব্যবহার হত। এই সময়ের মুর্তিগুলো ছিল মাংশাল ও বড় বড় ছোখবিশিষ্ট। []

দগু মুর্তি

দগু ("মাটির মুর্তি") ছিল জোমন যুগের শেষের দিকের মানবীয় এবং পশুর মুর্তি। তারা ওকিনাওয়া ছাড়া সমগ্র জাপানজুড়ে তৈরি হয়েছিল। [] কিছু পণ্ডিতদের মতে, 'দগু' ছিল মানুষের মুর্তি এবং হয়তো জাদুতে ব্যাবহৃত হতো। [] দগু ছিল ছোট মাটির আকৃতি, সাধারণত ১০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার (৪ থেকে ১২ ইঞ্চি) উচ্চতার। [] বেশিরভাগ ছিল নারী, বড় চোখ, ছোট কোমর এবং চওড়া নিতম্ববিশিষ্ট। [] অনেকের চওড়া পেট ছিল, যা নির্দেশ করে তারা মা দেবী ছিল।[]

ইয়াওয়ি শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

অভিবাসীদের পরবর্তী তরঙ্গ ছিল ইয়াওই জনগণ। টোকিওর যে জায়গায় তাদের বসতির অবশিষ্টাংশ প্রথম আবিষ্কার হয় তার নাম অনুযায়ী এ নামকরণ করা হয়েছিল। এরা প্রায় ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জাপানে এসেছিল। [] তারাই প্রথম জাপানে জলাভূমিতে ধান চাষ, তামার অস্ত্র তৈরি, ব্রোঞ্জের ঘণ্টা (ডোটাকু) এবং চাকা ঘুরিয়ে মৃৎপাত্র তৈরি ও চুল্লিতে পোড়ানো সিরামিক তৈরির বিষয়ে তাদের জ্ঞান নিয়ে আসে।

কোফুন শিল্পকলা

[সম্পাদনা]
Tomb of Emperor Nintoku located in Sakai, Japan. The keyhole-like tomb is 486 metres long, 305 metres wide at the bottom and 245 metres in diameter.

জাপানের প্রাচীন ইতিহাসের তৃতীয় পর্যায় হলো কোফুন যুগ (৩০০-৭১০ খ্রিস্টাব্দ),[] ইয়াওয়ি সংস্কৃতির পরিবর্তিত রূপ, যা হয় অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন অথবা বাহ্যিক প্রভাবের কারণে হয়েছে। এই যুগটি এর সমাধীস্থল তৈরির রীতির জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোফুন যুগ ধরে, সমাধীস্থল তৈরির ধরণ পরিবর্তন হয়েছে, পাহাড়ের চুড়ায় ছোট সমাধীস্থল থেকে সমতলে তৈরি বিশাল সমাধীস্থল। জাপানের সবচেয়ে বড় সমাধীস্থল হলো সম্রাট নিনতোকুর সমাধীস্থল, এখনে ৪৬ টি কবরের ঢিবি রয়েছে এবং এটির আকৃতি অনেকটা চাবির গর্তের মতো। [][] যা, পরবর্তী কোফুন সমাধিগুলির মধ্যে পাওয়া একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। []

আসুকা এবং নারা শিল্পকলা

[সম্পাদনা]
A dragon-head pitcher with Pegasus pattern incised, gilded bronze with silver, Asuka period, 7th century, former Horyu-ji Temple treasures

আসুকা এবং নারা যুগে(৫৪২-৭৮৪ খ্রিস্টাব্দ) জাপান এশিয়া মহাদেশীয় সংস্কৃতির ঢেউ অনুভব করে। এই নামকরন হয় জাপানি সরকারের আসন আসুকা উপত্যকা (৫৪২-৬৪৫) ও নাইরা শহরে (৬৪৫-৭৮৪) ছিল। এই সময় চীন থেকে কোরিয়া হয়ে জাপানে বৌদ্ধধর্ম প্রবেশ করে। এটি তাদের চীনা লেখা, সরকার ব্যবস্থা, স্থাপত্যশৈলীর, শিল্পকলার সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। নারায় অবস্থিত "হরিউ-জি মন্দির" "তোদাই-জি মন্দির" জাপানের প্রাচীন বৌদ্ধধর্মের কয়েকটি নিদর্শন। এই সময়ে ভাষ্কর্য, চিত্রাঙ্কন, কামারশিল্প এর উন্নতি হয়েছিল, যাতে স্পষ্ট চীনা ও কোরীয় সংস্কৃতির প্রাভাব ছিল।

হেইয়ান শিল্পকলা

[সম্পাদনা]
Taizokai (womb realm) Mandala on a silk hanging scroll, 9th century CE
Taishakuten Śakra, 839, Tō-ji

৭৯৪ থেকে ১১৮৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে বলা হয়, হেইয়ান যুগ। ৭৯৪ সালে জাপানের আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজধানী হেইয়ান-কিয়ো (বর্তমান কিয়োটো) তে পরিবর্তন হয় এবং ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত তা সেখানে ছিল। হেইয়ান যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় প্রাথমিক হেইয়ান যুগ ও পরবর্তি হেইয়ান যুগ বা ফুজিওয়ারা যুগ।

প্রাথমিক হেইয়ান যুগ: বৌদ্ধধর্মের ক্রমবর্ধমান সম্পদ ও শক্তির প্রতিক্রিয়ায় যাযক কুকাই (কোবো দাইশি নামে পরিচিত, ৭৭৪-৮৩৫) শিঙ্গোন বৌদ্ধধর্ম শিখার জন্য চীনে যান। এটি একধরনে বজ্রযান বৌদ্ধধর্ম, যা তিনি ৮০৬ সালে জাপানে পরিচিত করেন। জাপানের বৌদ্ধধর্মীয় স্থাপত্যশৈলী স্তূপের সাথেও মানিয়ে নেয় চীনা-শৈলীর প্যাগোডা রূপে, যা ছিল মূলত ভারতীয় স্থাপত্য। এই নতুন সম্প্রদায়ের মন্দিরগুলি রাজধানী এবং সাধারণ জনগণ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ে নির্মিত হয়েছিল। যার ফলে মন্দিরের গঠনে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। ছাদে সিরামিক টালির পরিবর্তে সাইপ্রেস গাছের বাকল, মাটির মেঝের পরিবর্তে কাঠের তক্তা ব্যবহার করা হয়েছিল এবং প্রধান মন্দিরের সামনে সাধারণ লোকদের জন্য একটি পৃথক উপাসনা এলাকা যুক্ত করা হয়েছিল। এই ধরণের মন্দিরের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো মুরো-জি মন্দির (৯ম শতকে স্থাপিত)।

ফুজিওয়ারা শিল্প: ফুজিওয়ারা যুগে, শুদ্ধভূমি বৌদ্ধধর্ম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যাতে বলা হয় অমিদা বুদ্ধে বিশ্বাস করলে সহজে পাপমুক্তি পাওয়া যায়। এই যুগটি তখনকার সবচেয়ে প্রভাবশালী ফুজিওয়ারা পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়, যারা সম্রাটের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করত, কার্যত বেসামরিক স্বৈরাশাসক। তারআ নতুন ধরণের বুদ্ধ হল তৈরি করে, অমিদা হল, যা একটি আভিজাত্যময় ম্যনসন যাতে এক বা একাধিক বৌদ্ধের ছবি থাকে। ফুজিওয়ারা অমিদা হলের একটি উদাহরণ হলো বিয়োদো-ইন ফোনিক্স হল (১০৫৩ সালে কাজ সম্পন্ন)। এর সামনে রয়েছে একটি কৃত্রিম পুকুর, যার দু পাশে L আকৃতির রাস্তা। এর ভেতরে উচু স্তম্ভে রয়েছে বুদ্ধের একটি সোনালি ছবি। এর দেয়ালে ও দরজায় বিভিন্ন কারুকাজ রয়েছে।

Byōdō-in Phoenix Hall, Uji, Kyoto

ই-মাকি: হেইয়ান যুগের শেষ শতকে সামনে আসে একধরনে আনুভুমিক, চিত্রিত বর্ণনামূলক হ্যান্ডস্ক্রোল, যা ই-মাকি (絵巻, অর্থ "ছবি স্ক্রল") নামে পরিচিত। এর সবচেয়ে প্রাচীন উদাহরণ হলো মুরাসাকি শিকিবুর লেখা উপন্যাস গেঞ্জির উপাখ্যান (The Tale of Genji)।

"YUGIRI" of Genji Monogatari Emaki

কামাকুরা শিল্পকলা

[সম্পাদনা]
Muchaku by Unkei, Kōfuku-ji, 1212, National Treasure

১১৮০ সালে তাইরা ও মিনামোতো দুই শক্তিশালী গোষ্ঠির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে, ৫ বছর ১৮৮৫ সালে পর মিনামোতো জয়ী হয়। তারা একটি সমুদ্র সংলগ্ন গ্রাম কামাকুরা থেকে শাসন চালাতে থাকে যা ১৩৩৩ সাল পর্যন্ত বজায় ছিল। ১১৮০ থেকে ১৩৩৩ সাল পর্যন্ত এই সময়কে বলা হয় কামাকুরা যুগ। এই যুগের শিল্পে বাস্তবিকতা প্রাধান্য পেয়েছে। ভাষ্কর্য তৈরি, চারুলিপি ও অঙ্কন এ যুগের প্রধান শিল্পকর্ম ছিল।

মুরোমাচি শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

আজুছি-মোমোয়ামা শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

এদো যুগের শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

যুদ্ধ পূর্ব যুগের শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

যুদ্ধ পরবর্তী যুগের শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Masayuki Murata. 明治工芸入門 p.24. Me no Me, 2017 আইএসবিএন ৯৭৮-৪-৯০৭২১১-১১-০
  2. Mason, Penelope (১৯৯৩)। History of Japanese Artবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Harry N. Abrams, Inc., Publishers। পৃষ্ঠা 13। আইএসবিএন 0-8109-1085-3 
  3. "土偶" [Dogū]। Dijitaru Daijisen (জাপানি ভাষায়)। Tokyo: Shogakukan। ২০১২। ওসিএলসি 56431036। ২০০৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২০ 
  4. "土偶" [Dogū]। Kokushi Daijiten (জাপানি ভাষায়)। Tokyo: Shogakukan। ২০১২। ওসিএলসি 683276033। ২০০৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২১ 
  5. "Jōmon figurines"Encyclopedia of Japan। Tokyo: Shogakukan। ২০১২। ওসিএলসি 56431036। ২০০৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২১ 
  6. Bleed, Peter (১৯৭২)। "Yayoi Cultures of Japan: An Interpretive Summary"। Arctic Anthropology9 (2): 1–23। জেস্টোর 40315778 
  7. Hong, Wontack (২০০৫)। "Yayoi Wave, Kofun Wave, and Timing: The Formation of the Japanese People and Japanese Language"। Korean Studies29 (1): 1–29। আইএসএসএন 1529-1529ডিওআই:10.1353/ks.2006.0007অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  8. Kidder jr, J. Edward (২০০৩)। "Nintoku, tomb of Emperor"। Oxford Art Online। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/gao/9781884446054.article.t062565